ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ طَعَامًا ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي
أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ
قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ وَمَنْ لَبِسَ
ثَوْبًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ
وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ
مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ " .
মু’আয ইবন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাওয়ার পর এ দু’আ পাঠ করবেঃ
(অর্থ) ’সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে খাওয়াইছেন এবং আমাকে এ রিযিক
দিয়েছেন, আমার চেষ্টা ও শক্তি ব্যতিরেকে।’ তার জীবনের আগের পরের সব
গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। সুনান আবূ দাউদ,
হাদীস নং- ৩৯৮২
https://ifatwa.info/51189/?show=51189#q51189 নং ফাতাওয়াতে উল্লেখ
রয়েছে যে,
আল্লাহ তাআলা
পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা যে পানি
পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা
চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে
নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছে করলে— তা লবণাক্ত করে দিতে পারি।
তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? (সুরা ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ৬৮-৭০)।
পানি পান করার
সুন্নতগুলোঃ
এক. ডান হাতে পান
করা। কেননা, শয়তান বাম হাত দিয়ে পান
করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭২)
দুই. বসে পান করা, দাঁড়িয়ে পান করা নিষেধ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৩)
তিন. শুরুতে
(বিসমিল্লাহ) পড়া এবং শেষে (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২/১০)
চার. তিন
নিঃশ্বাসে পান করা, নিঃশ্বাস ফেলার সময় গ্লাস
থেকে মুখ আলাদা করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৪)
পাঁচ. গ্লাসের
ভাঙা অংশের দিক দিয়ে পান না করা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২/১৬৭)
ছয়. জগ ইত্যাদি
বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করবেন না। কেননা এতে বেশি পানি চলে আসার বা সাপ-বিচ্ছু
থাকার আশঙ্কা থাকে। (বুখারি, হাদিস : ২/৮৪১; মুসলিম,
হাদিস : ২/১৭৩)
সাত. পান করার পর
অন্যজনকে দিতে হলে— প্রথমে ডান পাশের জনকে দেবেন। সেও তার ডান পাশের জনকে দেবেন, এভাবেই চলবে। পানীয়ের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। (বুখারি,
হাদিস : ২/৮৪০; মুসলিম,
হাদিস : ২/১৭৪)
আট. অজু করার পর
যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেওয়া হয়, সে পাত্রের
অবশিষ্ট পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য
লাভ হয়। (বুখারি, হাদিস : ৫৬১৬)
নয়. পানীয় দ্রব্য
পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেওয়া এবং এই ধারাবাহিকতা
অনুযায়ীই শেষ করা। (বুখারি, হাদিস : ৫৬১৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত দুআটি আহারের শেষের দুআ। অর্থাৎ খাবার খাওয়া শেষ
করার পরে উক্ত দুআটি পড়তে হয়। আর পানি বা পানীয় দ্রব্য পান করার সময় নবীজীর সুন্নাহ হলো শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া এবং শেষে
‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়া। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পানি বা শরবত পান করার সময় নবীজীর সুন্নাহ অনুযায়ী শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ এবং শেষে
‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়বেন।