বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرَى فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ دُخُولِ سَالِمٍ - وَهُوَ حَلِيفُهُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَرْضِعِيهِ " . قَالَتْ وَكَيْفَ أُرْضِعُهُ وَهُوَ رَجُلٌ كَبِيرٌ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ رَجُلٌ كَبِيرٌ " . زَادَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
তিনি বলেন, সুহায়লের কন্যা সাহলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হায়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার সাথে সালিমের দেখা সাক্ষাৎ করার কারণে আমি আবূ হুযায়ফার মুখমণ্ডলে অসন্তুষ্টির আলামত দেখতে পাচ্ছি অথচ সালিম হল তার হালীফ (পোষ্য পূত্র)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও। তিনি বললেন, আমি কেমন করে তাকে দুধপান করাব, অথচ সে একজন বয়স্ক পূরুষ। এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসি দিলেন এবং বললেন, আমি জানি যে, সে একজন বয়স্ক পুরুষ। আম্র (রাবী) তাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন, সালিম বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর ইবনু আবূ উমরের বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। (সহীহ মুসলিম-৩৪৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই হাদীসের পরিবর্তে জুমহুর উলামায়ে কেরাম ইবনে আব্বাস রাযি সহ অন্যান্য সাহাবী থেকে বর্ণিত হাদীসের উপর আমল করে থাকেন।
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ لَا رَضَاعَةَ إِلَّا لِمَنْ أُرْضِعَ فِي الصِّغَرِ وَلَا رَضَاعَةَ لِكَبِيرٍ
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ’আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেন, ছোট বেলায় যাহাকে দুধ খাওয়ান হয় উহাই গ্রহণযোগ্য, বড়দের দুধ পান করান ধর্তব্য নহে, অর্থাৎ উহাতে রাযী (দুধ পান)- এর ফলে যে হুকুম হয় তাহা হইবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মাযহাবমতে আড়াই বৎসর বয়সের ভিতরে দুধ পান দ্বারা হুরমত প্রমাণিত হয়ে থাকে। কমবেশী যাই শিশু পান করবে, এদ্বারা হুরমত প্রমাণিত হবে।
মাহরাম বানানোর জন্য দুধ পান সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রকম বক্তব্য পাওয়া যায়। দারুল উলূম বিন্নুরী টাউন মাদরাসার ওয়েব সাইটে রুখসত দেয়া হয়েছে।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
کیا دیور اپنی بھابھی کا محرم بننے کے لیے اس کا دودھ پی سکتا ہے؟
جواب
واضح رہے کہ حرمتِ رضاعت کا ثبوت مدتِ رضاعت میں دودھ پینے سے ہے، اور مدتِ رضاعت (مفتیٰ بہ قول کے مطابق) دو سال ہے۔ یعنی اگر کوئی بچہ دو سال کی عمر مکمل ہونے سے پہلے (اور امام ابوحنیفہ رحمہ اللہ کے ہاں ڈھائی سال کے اندر اندر) کسی خاتون کا دودھ پی لے تو مذکورہ خاتون اس کے لیے رضاعی ماں بن جائے گی، تاہم مدتِ رضاعت مکمل ہونے کے بعد اگر دودھ پیا تو اس سے حرمتِ رضاعت کا ثبوت نہ ہوگا، اور مدتِ رضاعت مکمل ہونے کے بعد کسی بھی خاتون کا دودھ پلانا اور کسی کے لیے اس کا پینا جائز نہیں۔
پس صورتِ مسئولہ میں اگر دیور کی عمر دو سال سے کم ہو تو اسے دودھ پلانے سے دیور اور بھابھی کے درمیان حرمتِ رضاعت کا ثبوت ہوجائے گا، بصورتِ دیگر دودھ پلانا بھی جائز نہیں ہوگا اور حرمتِ رضاعت بھی ثابت نہیں ہوگی۔ فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144103200717
তবে অন্যত্র পাওয়া যায় যে, মানুষের শরীরের অংশ অন্য মানুষের জন্য হারাম।শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময়েই জায়েয হয়। মাহরাম বানানো যেহেতু জরুরতের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই মাহরাম বানানোর জন্য দুধ পান করানো জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মাহরাম বানানোর জন্য দুধপান হাদীসে এসেছে, তাই মাহরাম বানানোর জন্য দুধ পান করানো জায়েযই হবে।
(২)
অন্যর সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য স্বামীর অনুমতি নিতে হবে।
م - اسْتِئْذَانُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا فِي إِرْضَاعِ غَيْرِ وَلَدِهَا:
٣٢ - إِذَا أَرَادَتِ الْمَرْأَةُ إِرْضَاعَ غَيْرِ وَلَدِهَا فَعَلَيْهَا اسْتِئْذَانُ زَوْجِهَا فِي ذَلِكَ، إِلاَّ إِذَا تَعَيَّنَتْ لإِِرْضَاعِهِ، فَإِنَّ عَلَيْهَا إِرْضَاعَهُ وَلَوْ بِغَيْرِ اسْتِئْذَانٍ (٢) (ر: رَضَاع)
স্ত্রী যদি অন্যর সন্তানকে দুধ পান করাতে চায়, তাহলে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।তবে যদি উক্ত মহিলা ব্যতিত দুধ পান করানোর মত অন্য কোনো মহিলা না থাকে, তাহলে তখন উক্ত মহিলাই নির্দিষ্ট হয়ে যাবে।অর্থাৎ স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩/১৫৭)