আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
463 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার আম্মু-আব্বু চায় আমি চাকরি করি। সরকারি চাকরি বা হাই প্রোফাইলড কোনো চাকরি। তারা আমাকে নিয়ে অনেক আশা রাখে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পড়তেছি তাই তাদের এক্সপেকটেশন আরো বেশি। আমাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি। আমি যদি চাকরি করি তাহলে তাদের হেল্প হবে। কিন্তু আমার চাকরি করার কোনো নিয়ত নেই এটা বলার পর থেকে তারা খুব বেশি আপসেট, আম্মু কান্না করে।

এখন সমস্যা হচ্ছে তারা আমাকে মেন্টালি প্রেসার দিচ্ছে চাকরির জন্য।
আমি তাদের সাথে কিভাবে এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলবো যাতে তারা কস্ট না পায়।

আর আমি কি তাদেরকে সাপোর্ট হিসেবে চাকরি করতে পারবো?
মেয়েদের চাকরির বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত বললে ভালো হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহের পূর্বে মহিলাদের ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার পিতার উপর।পিতা না থাকলে বড় ভাই বা অন্যান্য গার্জিয়ানদের উপর।আর বিবাহের পর তার স্বামীর উপর।অতঃপর ছেলের উপর। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মহিলাদের ভবিষ্যৎ চিন্তার আশু কোন প্রয়োজন নেই।কারণ, আল্লাহ তা'আলা এটা বহু পূর্বেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তবে যদি দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি না থাকে অথবা থাকা সত্ত্বেও দেখাশুনা না করে বা করতে না পারে, তখন নিজের চলার জন্য নারী এমন কোনো পেশা গ্রহণ করতে পারে যেখানে শর'য়ী পর্দা লংঘিত হববে না। যেমনঃ- নুরানী মুআল্লীম ট্রেনিং নিয়ে বাড়ীতে বসে মহিলাগণকে কুরআনের তা'লীম দেওয়া, হাতের কাজ করা ইত্যাদি।সর্বাবস্থায় সহ-চাকুরী থেকে বিরত থাকবে,কিন্ত যদি পূর্ণ পর্দার সাথে চাকুরী করতে অপরগ হয় অথবা সহ-চাকুরী ব্যতীত জীবিকানির্বাহের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে এতমাবস্থায় অন্যান্য হারাম কাজে জড়িত না হয়ে ইস্তেগফারের সাথে উক্ত চাকুরী করবে এবং সাথে সাথে পর্দাসহ চাকুরীকে খুজতে থাকবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৬৩২


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার জন্য চাকুরী করা জুরুতের আওতাধীন নয়।বিশেষকরে ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে আপনার জন্য চাকুরীর কোনো অনুমোদন নেই।

আপনার সামনে দু'টি রাস্তা রয়েছে,
হয়তো মাতাপিতাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিজেকে চাকুরী থেকে বিরত রাখবেন।যদি তাদেরকে বুঝানোর সর্বাত্মক চেষ্টার করার পরও তারা না বুঝে তাহলে পর্দা মেইন্টেইন হয় এমন কোনো চাকুরীতে জয়েন হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...