বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ ﻗَﺪْ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻟِﺒَﺎﺳًﺎ ﻳُﻮَﺍﺭِﻱ ﺳَﻮْﺀَﺍﺗِﻜُﻢْ ﻭَﺭِﻳﺸًﺎ ﻭَﻟِﺒَﺎﺱُ ﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯَ ﺫَﻟِﻚَ ﺧَﻴْﺮٌ ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺕِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺬَّﻛَّﺮُﻭﻥَ
তরজমাঃ-হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।[সূরা আল আ’রাফ ২৬]
পোষাকের ক্ষেত্রে ইসলামের কতিপয় মূলনীতির প্রতি লক্ষ্য রেখে একজন মুসলিম যে কোন পোষাক পরতে পারবে। ইসলামে তার অনুমোদন রয়েছে।মূলনীতি গুলো যেমন-
সতরকে আবৃত করে রাখা।সতর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/975
পোষাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1036
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মেয়েদের জন্য কামিজ পড়া জায়েজ আছে।
তবে তাহা ঢিলেঢালা হতে হবে।
গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সামনে গেলে পরিপূর্ণ শরীর ঢেকে যেতে হবে।
পূর্ণ পর্দা করতে হবে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «صنفان من أهل النار لم أرهما، قوم معهم سياط كأذناب البقر يضربون بها الناس، ونساء كاسيات عاريات مميلات مائلات، رءوسهن كأسنمة البخت المائلة، لا يدخلن الجنة، ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,জাহান্নামের দু'টি দল,যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি।(ক)ঐ দল যাদের সাথে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা লোকদিগকে প্রহার করবে।(খ)ঐ সমস্ত পোশাকধারী উলঙ্গ মহিলা,যারা আকৃর্ষিত হবে এবং পুরুষদেরকে আকর্ষৃত করবে।তাদের মাথা উঠের পিঠের মত কুজো এবং আকর্ষনকারী হবে।তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।এমনকি তারা তার সুঘ্রাণ ও পাবে না।অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূরত্ব থেকে সহজেই পাওয়া যাবে।সহীহ মুসলিম-২১২৮
★নামাজের জন্য ও সাধারণ সময়ের জন্য ঢিলেঢালা ম্যাক্সি,লম্বা গোল জামা পরিধান করাই উত্তম।
হিজাব বানিয়ে নিয়ে নামাজের সময় হিজাব পড়তে হবে।
আরো জানুনঃ-