জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার কাপড় চেক
করবেন,যদি সত্যিই নাপাকির ব্যপারে নিশ্চিত হোন,বা লাগলেও এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি লাগার ব্যপারে নিশ্চিত হোন তাহলে পুনরায় নামাজ আদায় করে নিবেন।
আর যদি কোনো কিছু না পান,তাহলে মনে করবেন যে এটা নিঃসন্দেহে ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহ।
আর ওয়াসওয়াসার নেপথ্যে থাকে শয়তান। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে– ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেয়া এবং যে নামায মুমিনের অন্তরের শীতলতা সে নামাযকে মুমিনের জন্য পেরশানির ‘কারণ’ বানিয়ে দেয়া।
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহ্র যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
যদি এটা ২য় টাই হয়,তাহলে আপনার জন্য উপদেশ হচ্ছে- আপনি সন্দেহকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করবেন না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )
মনে রাখবেন, যদি আপনি শয়তানসৃষ্ট সন্দেহের এ বাতিককে উপেক্ষা করতে পারেন তাহলে আপনি সেটাই করেছেন, যা করার জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে অভিযোগ করলেন যে, তার কাছে মনে হয় যে, সে নামাযের মধ্যে কিছু একটা পাচ্ছে। তখন তিনি বললেন, لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا ، أَوْ يَجِدَ رِيحًا সে যেন শব্দ শুনা কিংবা গন্ধ পাওয়া ছাড়া নামায না ছাড়ে। (সহিহ বুখারী ১৩৭ সহিহ মুসলিম ৩৬১)
এ কথার দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় যে- নাপাক লাগার ব্যাপারে পরিপূর্ণ নিশ্চিত হওয়া ছাড়া আপনি এটাই মনে করবেন যে, আপনার কাপড়ে নাপাক লাগেনি।
নামাযে শরীর থেকে নাপাক বের হওয়া/ কাপড়ে নাপাকি লাগা নিয়ে সন্দেহ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ