আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
edited by
১. কেও যদি কাওকে হারাম কাজে উৎসাহিত করে এতে কি কুফর হয়? যেমন বললোঃ "হালাল ভাবে কতো টাকা রুজি করো?এরচে ভালো ঘুষ খাওয়া শুরু করো" বা "একা একা থাকার চেয়ে একটা প্রেম করো" ইত্যাদি কথা।

২.হারাম কাজ করাকে ভালো বলে অবিহিত করা কি কুফর?

৩. নামাজে না গিয়ে পড়তে বসা বা অন্য কোনো হারাম/হালাল কাজ করতে উদ্ভুদ্ধ করা মানুষকে কি কুফরের মধ্যে ফেলা যায়?

৪. দ্বীনের অকাট্য ভাবে প্রমানিত বিষয়াদি কোনগুলো যে গুলোকে জেনে বুঝে হালাল কে হারাম,  আর হারাম কে হালাল  বললে ইমান থাকে না, আমরা দ্বীনের অকাট্য বিষয় কোনগুলো আর ইখতেলাফ কোনগুলো তা চেনার উপায় আছে?

৫. হারাম উপার্জনকৃত কারো বাসায় খাওয়া অনেকে জায়েজ মনে করেন,  এরা কি কুফর করছে? তারা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর একটি কথার দলিল দেন।

৬. বউ যদি বলে "আমার অত লম্বা দাড়ি ভালা লাগেনা,অন্যরার থাকুক সমস্যা না"  "দাড়ি রাখার আগে সুন্দর লাগতো" "তুমি তো হুজুর ওই যাইরায়" " আমি কখনো ইরম দাড়িওয়ালা বিয়া করমু ভাবছিনা" ইত্যাদি বললে কি ইমানের সমস্যা হবে?
৭.দাড়ি বা আমল নিয়ে ঠিক বললে ওর ইমানে সমস্যা হবে?

৮ ম্যাসেজো লেখার সময় ." কিতা কইবায়, আল্লাহ হয়তো ভালা বুঝিয়া ইরকম বুঝ দিছেন" এটা লেখার পর হয়তো কেটে " কিতা কইবায়, আল্লাহ ভালা বুঝিয়া ইরকম বুঝ দিছইন" লিখে দিয়েছি।   "আল্লাহ হয়তো ভালো বুঝিয়া....." এই লাইন লেখায় কোনো সমস্যা হবে? না কি এইভাবে লেখা যায়

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা যাবেনা,অন্যকে সেই গুনাহের কাজে আদেশ বা সেই গুনাহের কাজ করতে কাউকে সহযোগিতাও করা যাবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুফর হবেনা।
তবে মারাত্মক গুনাহ হবে।

(০২)
সেটিকে হালাল মনে করলে কুফর হবে।
তবে হারাম ধরে নিয়ে কারনবশত ভালো বললে কুফর হবেনা।

(০৩)
না,তাকে কুফরের মধ্যে ফেলানো যায়না।

(০৪)
কুরআনে বর্ণিত যাবতীয় হালাল হারাম বিষয় এখানে উদ্দেশ্য। 

(০৫)
বিষয়টি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা হওয়ায় তাকে কাফের বলে ফতোয়া দেয়া যাবেনা। 
,
(০৬)
তার ঈমানের সমস্যা হবে।
তবে সে যদি ঘৃণা না করে,ঠাট্রা না করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৭)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। 
কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করলে ভালো হতো।

(০৮)
এতে তার ঈমান সংক্রান্ত সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (60 points)
edited by
(০৫);ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, مَهْنَأَهُ لَكَ وَإِثْمُهُ عَلَيْهِ ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২০০১), ২০১ পৃঃ) 
বিঃদ্রঃ আহলে হাদীস বা সালাফীরা এই হাদীস দিয়ে দলিল দেন। এবং জায়েজ এর দিকে নিয়ে যেতে চান।

(০৬) আমার মোটামুটি বড় দাড়ি আছে তবে তা এক মুষ্টি নয়। তার  এই  দাড়িতে সমস্যা নাই।  লম্বা দাড়ি সে এই বাক্যে বললো ভালো লাগে না। আর সে এই বাক্যেই বললো অন্যরা রাখুক সমস্যা না। (তাকে এই নিয়ে কিছু জিগ্যাস করতে চাই না আপাদত)
তার কথায় কি সে কাফের হয়ে গেছে? এখন আমি কি করবো?
by (559,140 points)
(০৫)
যেহেতু মতবিরোধ রয়েছে, সুতরাং এতে কুফর হবেনা।

(০২)
উক্ত দাড়ি নিয়ে তিনি যেহেতু ঠাট্রাচ্ছলে কিছু বলেননি,সুতরাং তিনি কাফের হবেননা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...