ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি যে আ'মলের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটা করতে পারেন।একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪নং আয়াতও পড়তে পারেন।অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।
তাছাড়া থানভী রাহ কর্তৃক লিখিত 'আ'মলে কুরআনি কিতাব দ্বারা আ'মল করতে পারবেন।তবে অন্তরকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।এগুলো শুধুমাত্র একটা পরামর্শ। আল্লাহ চাইলে কবুল করতেও পারেন আবার না ও করতে পারেন।এগুলোর নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।বরং এগুলো নেককার বান্দাদের কিছু দ্বীনী পরামর্শ মাত্র।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
এই হাদীসের আলোকে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দিয়ে কোনো এক জায়গায় বিয়ে ঠিক করার দৃঢ় মনোভাব রাখুন।ইনশা'আল্লাহ, আল্লাহ একটি সুন্দর ব্যবস্থা করবেন।