বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উত্তর: ১. মৃতকে দেখতে গিয়ে স্পেসিফিক দুআ প্রসঙ্গে: স্থান, কাল-সময় ভেদে মৃত ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত অনেক দুআ; হাদীসের গ্রন্থে এসেছে সহীহ মুসলিম সহ সুনানে হাদীসের গ্রন্থে রাসূল সা. মৃত সাহাবী আবূ সালমাকে দেখতে গিয়ে বলেছেন ‘‘কল্যান-মাগফিরাত ব্যতিরেখে তোমরা মৃতদের জন্য অন্য কোন দুআ করো না।’’ হাদীসের শেষাংসে রাসূল সা. আবূ সালমার জন্য اللهم اغفر لى وله الخ (আল্লাহ আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করুন...) অনুরূপ দোআ করেছিলেন সর্বোপুরি আমাদের কর্তব্য হলো ,তাদের জন্য মাগফেরাত সূচক বাক্য ব্যবহার করা।
২. হাদীসের ভাষ্যনুযায়ী রাসূল সা. বলেছেন ‘‘কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার পক্ষ থেকে যাবতীয় আমাল বন্ধ হয়ে যায় বাট তিনটি বিষয় ছাড়া....আর ঈসালে সাওয়াব বা অন্য কর্তৃক আমাল মৃতের রূহে পাঠানো সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয ও উত্তম। তাই উভয় হাদীসের মাঝে কোন বৈপরিত্য নেই।
৩. একজনের বোঝা অপরজন বহন করবে না । আল্লাহর ঘোষণা (ফাতির ১৮/যুমার ৭ ইত্যাদি) । তবে জীবিত কালীন সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট পাপ কাজের সংঘটনে আপনার মায়ের উৎসাহ বা অনুমোদন-সহযোগীতা থাকে; তখন এর একটি অংশও উনার আমালে যোগ হবে, বলে একটি হাদীসে পাওয়া যায়। (আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন)
৪. বিষয়টি মতবিরোধপূর্ণ একটি মাসআলা ; ‘‘একজন নারী হিসেবে যদি কোন ফেতনা . ভয়, বিলাপের আশংকা ইত্যাদি না হয়, তাহলে দূর থেকে দেখা, দুআ করা যাবে। তবে কেউ কেউ রায় দিয়েছেন কবর যিয়ারাতের নিয়ত ব্যতিরেখে শুধুমাত্র দেখা ,ইসালে সাওয়াব ইত্যাদি প্রেরণ করা যাবে। ওয়াল্লাহু আ‘লাম।
উত্তর প্রদানে
আরিফুল ইসলাম
ফিক্বহ ডি. অনলাইন মাদ্রাসা।