আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
456 views
in দাফন ও জানাজা (Burial & Janazah) by
মৃত ব্যক্তির গোসল করানো, জানাজা, দাফন করানোর ব্যাপারে সবাইকে বলতে শুনি কিন্তু দাফন করানোর পর করনীয় ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য খুঁজে পাই না।এই ব্যাপারে আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে।

১.কোন মৃত ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে তার জন্য কি দোআ করা উচিত?কোন স্পেসিফিক দোআ আছে কি না।

২.কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার আমলনামা বন্ধ হয়ে যায়।তিনটি বিষয় ছাড়া। তাহলে মৃত ব্যক্তি যদি আমাদের পরিচিত,আত্মীয় বা বন্ধু হয় তাদের জন্য কি আমরা দোআ করবো না?আমাদের দোআ কি তাদের কাছে পৌছায়? কি ধরনের দোআ করা উচিত।দোআ ছাড়া আর কি কি করা যেতে পারে?

৩.আমার মা ইন্তেকাল করেছেন।নেক সন্তান রেখে গেলে তার দোআ মৃতব্যক্তির আমলনামায় যোগ হয়। আমার কোন পাপের জন্যও কি আমার মা শাস্তি পাবেন?মায়ের জন্য দোআ করার পাশাপাশি আর কি করলে মায়ের আমলনামা ভারী হবে?

৪. মেয়েদের কবর দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে  আদব কি? আমি আমার মায়ের কবর দেখতে যেতে পারবো কি? কবরের পাশে দাড়িয়ে কোন দোআ করা যাবে কি?

 জানিয়ে উপকৃত করবেন।যাজাকুমুল্লাহু খায়েরান।

1 Answer

0 votes
by (720 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

উত্তর: ১. মৃতকে দেখতে গিয়ে স্পেসিফিক দুআ প্রসঙ্গে:  স্থান, কাল-সময় ভেদে মৃত ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত অনেক দুআ; হাদীসের গ্রন্থে এসেছে সহীহ মুসলিম সহ সুনানে হাদীসের গ্রন্থে রাসূল সা. মৃত সাহাবী আবূ সালমাকে দেখতে গিয়ে বলেছেন ‘‘কল্যান-মাগফিরাত ব্যতিরেখে তোমরা মৃতদের জন্য অন্য কোন দুআ করো না।’’  হাদীসের শেষাংসে রাসূল সা. আবূ সালমার জন্য اللهم اغفر لى وله الخ  (আল্লাহ আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করুন...) অনুরূপ দোআ করেছিলেন সর্বোপুরি আমাদের কর্তব্য হলো ,তাদের জন্য মাগফেরাত সূচক বাক্য ব্যবহার করা।

২. হাদীসের ভাষ্যনুযায়ী রাসূল সা. বলেছেন ‘‘কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার পক্ষ থেকে যাবতীয় আমাল  বন্ধ হয়ে যায় বাট তিনটি বিষয় ছাড়া....আর ঈসালে সাওয়াব বা অন্য কর্তৃক আমাল মৃতের রূহে পাঠানো সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয ও উত্তম। তাই উভয় হাদীসের মাঝে কোন বৈপরিত্য নেই।

৩. একজনের বোঝা অপরজন বহন করবে না । আল্লাহর ঘোষণা (ফাতির ১৮/যুমার ৭ ইত্যাদি) । তবে জীবিত কালীন সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট পাপ কাজের সংঘটনে আপনার মায়ের  উৎসাহ বা অনুমোদন-সহযোগীতা থাকে; তখন এর একটি অংশও উনার আমালে যোগ হবে, বলে একটি হাদীসে পাওয়া যায়। (আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন)

৪. বিষয়টি মতবিরোধপূর্ণ একটি মাসআলা ; ‘‘একজন নারী হিসেবে যদি কোন ফেতনা . ভয়, বিলাপের আশংকা ইত্যাদি না হয়, তাহলে  দূর থেকে দেখা, দুআ করা যাবে। তবে কেউ কেউ রায় দিয়েছেন কবর যিয়ারাতের নিয়ত ব্যতিরেখে ‍শুধুমাত্র দেখা ,ইসালে সাওয়াব ইত্যাদি প্রেরণ করা যাবে।  ওয়াল্লাহু আ‘লাম।

উত্তর প্রদানে

আরিফুল ইসলাম

ফিক্বহ ডি. অনলাইন মাদ্রাসা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...