ইমদাদুল হুজুরের নিকট প্রশ্ন।

Question

আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ধরেন স্বামী স্ত্রীর মেসেজে বা কলে কথা হচ্ছিল।ধরেন কোন স্ত্রী যদি বলে আমি চলে যাব থাকতে পারব না তুমার সাথে।তারপর যদি বলে ডিভোর্সের লেটার পাঠিয়ে দিও,সাইন করে দিব।মানে যখন চলে যাবে এরপর পাঠাতে বলেছে ধরেন।ধরেন এখনো যায় নি ভবিষ্যৎ এ পাঠানোর কথা বলেছে,এখন তহ তালাক চায় নি।স্ত্রী ধরেন এমনিতে রাগ করে বলেছে।রাগ কমে যাওয়ার পর সব স্বাভাবিক ।আর ধরেন কথাগুলো মেসেজে হচ্ছিল। তহ এর পর মানে স্ত্রীর কথার পর যদি স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে  ঠিক আছে যাওগা।মানে হয়ত চলে যাব বলেছে যে স্ত্রী এর উত্তরে যাওগা বলেছে আর লেটার পাঠানোর জন্য ঠিক আছে বলেছে। মানে টোটাল উত্তর বলেছে ঠিক আছে যাওগা।জানে না স্ত্রী ধরেন কেন বলেছে।আপনি বলেছিলেন মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পরপর বললে বা তালাক চাওয়ার উত্তরে বললে তালাক হয় যে।আর মেসেজে তালাকের মজলিস হয় না।এমনকি বলেছেন মেসেজে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিবে বললে এরপর স্বামী কেনায়া শব্দ বলল নিয়ত ছাড়া তখনও তালাক হয় না ।আর উপরে তহ স্ত্রী ধরেন এখন তালাক চায় নি।স্বামী যদি বলে নিয়ত ছাড়া বলেছে তাহলে কি তালাক হবে?স্বামী স্ত্রী ধরেন একসাথে থাকতে চায়।

এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।মনে নেই তাই অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।এইটা নিয়ে মারাত্মক ওয়াসওয়াসা আর টেনশন আসতেছে মনে তাই প্রশ্নটা করেছি।অন্যদের দিকে ইন্গিত করে করেছি ওদের তালাক না হলে হয়ত টেনশনটা কমবে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে কি উত্তর দেবো, কিছুই বুঝতেছি না।আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না। আপনারা ওয়াসওয়াসার রোগী।আপনাদের কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

Comments

শায়খ দুঃখিত,আমি জানতে চেয়েছিলাম অন্য কেউ বললে ও তালাক হবে না এই তহ? মানে এটা তহ আমার প্রশ্ন না অন্য কেউ করলেও প্রশ্নটা সে যদি ওয়াওয়াসা রূগী না হয় তাহলে উপরের প্রশ্নটা দ্বারা ওদের ও তালাক হবে না এই তহ?মানে উপরের ঘটনাটা ওদের স্বামী স্ত্রীর ভেতর হলেও কোন তালাক হবে না তাই না? মাফ করবেন শায়খ শুধু এটা জানার ছিল।।।।

---

ওয়াসওয়াসার রোগী না হলে বিধান ভিন্ন হবে।