আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
301 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,মুহতারাম, আমার স্ত্রীর সাথে রাগ করে যদি বলি অমুক দিন অব্দি তোমার সাথে কথা বলবনা(বা ফোন দূরে রাখব মানে যেহেতু ফোনেই কথা হয়) তাহলে তার আগে কথা বললে কি সমস্যা হবে? এখানে এটা শপথ অর্থে বলিনি,সাময়িক রাগ থেকে বলেছি।

এভাবে কি শপথ কায়েম হয়? কারণ এখানেত বলিনি আমি শপথ করছি বা বলিনি আল্লাহর শপথ

২,বউ যদি ঝগড়া করে বাপের বাড়ি যায়,আমি যদি রাগ করে মনে মনে বলি ওকে আর আনবনা,বা ফোন দিবনা।বা আনতে যেতে ধরে পুরানো কথায় মনে পড়ে মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে আসি বা ফোনে কল দিতে ধরে না দিই তাহলে কি সমস্যা হবে বিয়ের? উল্লেখ্য উক্ত কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করিনি

৩, আমার আগে অনেক তালাকের ওয়াসোয়াসা হত,বউকে যদি বলতাম এখন কাজ করব পড়ে আস্তেসি বা পড়ে কথা বলছি বা এখন আসছি মাথায় আসত এটা সাময়িক তালাক হচ্ছে ঘন্টা খানেক পর কাজ শেষ হলে তালাক উঠে যাবে।এতে কি কোনো সমস্যা হবে

৪,আবার ঝগড়া হবার পর বাড়ির বাইরে গেলে যখন বলতাম 'আস্তেসি/বাইরে যাচ্ছি' (কারণ ঝগড়া হলেও আমি বাইরে গেলে বলে যেতাম) তখন তালাকের নিয়তে হয়ত বলতাম।এতে কি সমস্যা হবে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এমতাবস্থায়ও তালাক হবে না।
(২)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।
(৩)
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ
- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে। বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে 
"এখন কাজ করব পড়ে আস্তেসি বা পড়ে কথা বলছি বা এখন আসছি "
এসব বলার সময়ে তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবে না।

(৪)
আবার ঝগড়া হবার পর বাড়ির বাইরে গেলে যখন বলতাম 'আস্তেসি/বাইরে যাচ্ছি' (কারণ ঝগড়া হলেও আমি বাইরে গেলে বলে যেতাম) তখন তালাকের নিয়তে হয়ত বলতাম।এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...