আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
226 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
১-লোনের টাকায় বানানো বাড়ির ভাড়া কি খাওয়া জায়েজ নিজের জন্য না ছেলের জন্যে এবং ছেলের বউ এর জন্যে?

বি. দ্র - লোন শোধ চলমান রয়েছে এবং চলবে কয়েক বছর।

২- অনেক দোকানি ১ টাকা বা ২ টাকার বিনিময়ে চকলেট দিয়ে দেয়, এটা কি জায়েজ?

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি বানানো জায়েজ নয়।
লোন গ্রহণ নাজায়েয ও হারাম। যদি লোনকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে লোনের টাকা দ্বারা যা কিছুই করা হবে, তা জায়েয। পরবর্তীতে যত ইনকাম হবে, তার সবই জায়েয।
লোন গ্রহণের জন্য তাওবাহ করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
লোন নিয়ে বাড়ি করলে ভাড়া হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে লোন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর। 

যদি হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত বাড়ি ভাড়া খাওয়া হালাল থাকবে।
আর যদি হারাম টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত বাড়ির ভাড়া খাওয়া হারাম হবে।

হারাম টাকায় বা হালাল হারাম টাকায় বাড়ি বানানো হলে সেটির বিধান জানুনঃ- 

(০২)
দোকানি যে ১ টাকা বা ২ টাকার বিনিময়ে চকলেট দিয়ে দেয়, এটাতে যদি ক্রেতা সন্তুষ্ট থাকে,তাহলে এটি জায়েজ,আর ক্রেতা অসন্তুষ্ট থাকলে এটি এক প্রকারের জুলুমের শামিল।

এক্ষেত্রে ক্রেতা মেনে না নিলে বিক্রেতা জোড় করে দিলে বা নিতে বাধ্য করলে বিক্রেতার জন্য গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায বাড়ি টি বানানো হয়েছে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিয়ে এখন সুদ 2025 সাল পর্যন্ত শোধ করতে হবে, আর উক্ত বাড়ির ভাড়া দিয়েই শোধ করে থাকে লোন এর সুদ, ওই ভাড়ার টাকা কি জায়েজ খাওয়ার জন্যে, বা কাউকে যদি ঐ টাকায় খাওয়ায় বা হাদীয়া দেয় জায়েজ হবে কি ? এবং ওই বাড়ি তে ব্যাক্তির ছেলে বা বউ থাকলে করনীয় কি? মাস আলা জানার আগে যে থেকেছে, খেয়েছে সেগুলো কিভাবে দায় মুক্ত হবে? 
by (574,050 points)
উক্ত ভাড়া খাওয়া জায়েজ।
হাদিয়া দেয়াও জায়েজ,যারা ছিলো,তাদের থাকা জায়েজ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...