আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।ধরেন কোন মেয়েকে তার স্বামী মুখে পাওয়ার দিছে।কিন্তু তারা ধরেন বিশেষত স্ত্রী  জানত না মেয়েরা এই ক্ষমতা পায় ইসলামে।শুনেও নি যে নিজেকে মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা।এমনিতে এরকম শুনেছে মনে হয় অনেকে বলত ডিভোর্স নিয়ে নিবে হেন তেন।ভাবত আইনের মাধ্যমে হয়ত স্বামীকে দেয় ওরা।কিন্তুু নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে সেটা শুনে নি।জানত ও না।শুধু জানত মেয়েরা পারে না ইসলামে।হয়ত আদালতের মাধ্যমে পারে আইন অনুযায়ী। তহ মেয়েটা যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক দেয় বা অন্য কোন কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? আর এরপর স্বামী যদি ঠিক আছে বা ঠিক আছে তুমি যা বল তাই  বা তাই হবে এমন বললে কি কোন সমস্যা হবে?।মানে জানার আগে আর কি।আগে তহ জানত  না এই বিষয়ে কেউ স্বামী স্ত্রী ।এখন জানে আর কি।হয়ত রাগে বলেছিল কিন্তুু ধরেন স্বামীকে খুব ভালবাসে আর স্বামীর সাথেই থাকতে চায়।আর আগে এই বিষয়ে জানতও না।এই বিষয়ে আগেও প্রশ্ন করেছিলাম শুধু স্বামীর কথা ওটা নতুন করে এড করেছি।জবাবে হবে না বলেছিল মানে বিচ্ছেদ হবে না বলেছিল।কিন্তুু বারবার ওয়াসওয়াসা আসতেছিল ঠিকভাবে করেছিলাম কিনা ভেবে। কিন্তুু এইখানে যে স্বামী কথাটা বলেছে ওটা হয়ত বলে নি শুধু ঠিক আছে এমনটা বলতে পারে, এইটা  এমনিতে জানার জন্য করেছি। স্বামী যদি স্ত্রীর কথার পর উপরের কথা গুলো বলে আর স্বামী অনেকদিন পর যদি বলে সে নিয়ত ছাড়া মানে তালাকের নিয়ত নিয়ে কোনদিন কিছু বলে নি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে? মানে স্বামী নির্দিষ্ট করে বলে নি ওটাতে নিয়ত ছিল না হেন তেন, সব মিলিয়ে যদি বলে কোনদিন কিছু বলে নি ঐ নিয়তে তাহলে?

২।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।উপরের প্রশ্নটা আমি অন্যের দিকে ইন্গিত করে করেছি।কারন আপনি বলেছেন নিজের দিকে ইন্গিত করে করলে তালাক হয় তাই অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।এতে কি আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৩।১নং প্রশ্নটা যার সেই মেয়ে যদি এইভাবে লিখে প্রশ্ন করে মানে ১নং প্রশ্নটা সে নিজেই করে তাহলে কি তার বেৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে? সে তহ মাসআলা জানার জন্য প্রশ্ন করতে পারে আর তাও  অন্য মেয়ের কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করেছে।তার স্বামী পাওয়ার দিলে ওইভাবে প্রশ্ন করলে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
১নং প্রশ্নটা যার সেই মেয়ে যদি এইভাবে লিখে প্রশ্ন করে, মানে ১নং প্রশ্নটা সে নিজেই করে তাহলেও তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...