বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/644
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কখনো এমন কোনো বৈধ প্রয়োজন হয়, যা মিথ্যা বলা ব্যতিত কখনো পূর্ণ হবে না।এমন প্রয়োজন মেটাতে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে উত্তম হল, সরাসরি মিথ্যা না বলে তাওরিয়াহ করা।তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে। যেমন প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আপনি অসুস্থতার অজুহাতে কোনো এর রোমে বসে থাকতে পারেন।আপনি বলবেন অসুস্থ, উদ্দেশ্য নিবেন,মন ও সমাজ অসুস্থ কিন্তু অন্যরা মনে করবে, আপনার শরীর অসুস্থ।
আপনি বাসা থেকে পলায়ন করে যাবেন কোথায়? যদি পাশাপাশি কোনো নিরাপদ স্থান থাকে,কোনো মাহরাম পুরুষ আত্মীয়র এমন বাসা থাকে, যেখানে গায়রে মাহরামকে দেখা যাবে না, তাহলে সেখানে অবশ্যই যেতে পারবেন। যদি নিরাপদ কোনো স্থান না থাকে, তাহলে আপনার জন্য যাওয়া জায়েয হবে না। বরং ঘরে বসেই আপনি প্রতিবাদ করবেন। প্রতিবাদ করার পরও যদি জোরজবরদস্তি মূলক আপনাকে গায়রে মাহরামের সামনে মুখ খুলতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তখন গোনাহ বাধ্যকারীদেরই হবে।আপনাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।