আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
السلام عليكم و رحمة اللہ وبركاته
কোনো মেয়েকে যদি তার পরিবার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করে, যার ফলে তার পর্দার সতরের লঙ্ঘন হবে (মুখ পর্দার চেয়েও বেশি কিছু, যেমন-কান খোলা), তাহলে সেই মেয়ের জন্য মাহরামের অনুমতি ছাড়া, একাকী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়া জায়েয হবে? যদি সে রাত নামার আগেই ফিরে আসে? শুধু ওই পরিস্থিতি স্কিপ করার জন্য?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)

আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/644

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কখনো এমন কোনো বৈধ প্রয়োজন হয়, যা মিথ্যা বলা ব্যতিত কখনো পূর্ণ হবে না।এমন প্রয়োজন মেটাতে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে উত্তম হল, সরাসরি মিথ্যা না বলে তাওরিয়াহ করা।তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে। যেমন প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে আপনি অসুস্থতার অজুহাতে কোনো এর রোমে বসে থাকতে পারেন।আপনি বলবেন অসুস্থ, উদ্দেশ্য নিবেন,মন ও সমাজ অসুস্থ কিন্তু অন্যরা মনে করবে, আপনার শরীর অসুস্থ।

আপনি বাসা থেকে পলায়ন করে যাবেন কোথায়? যদি পাশাপাশি কোনো নিরাপদ স্থান থাকে,কোনো মাহরাম পুরুষ আত্মীয়র এমন বাসা থাকে, যেখানে গায়রে মাহরামকে দেখা যাবে না, তাহলে সেখানে অবশ্যই যেতে পারবেন। যদি নিরাপদ কোনো স্থান না থাকে, তাহলে আপনার জন্য যাওয়া জায়েয হবে না। বরং ঘরে বসেই আপনি প্রতিবাদ করবেন। প্রতিবাদ করার পরও যদি জোরজবরদস্তি মূলক আপনাকে গায়রে মাহরামের সামনে মুখ খুলতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তখন গোনাহ বাধ্যকারীদেরই হবে।আপনাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...