বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে সে যদি তার কোনো কৃতকর্মের কারণে উক্ত অভিশাপের যোগ্য থাকে তাহলে অভিশাপ তার উপর পতিত হবে।নতুবা উক্ত অভিশাপ অভিসম্পাতকারীর দিকেই শেষ পর্যন্ত ফিরে আসবে।
যেমন এক হাদীসে এসেছে হযরত উম্মে দারদা রাযি বলেন আমি আবুদ্দারদা রাযি কে বলতে শুনেছি
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻗﺎﻟﺖ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ
ﻳﻘﻮﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﺇﺫﺍ ﻟﻌﻦ ﺷﻴﺌﺎ ﺻﻌﺪﺕ ﺍﻟﻠﻌﻨﺔ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﻬﺒﻂ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺑﻬﺎ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﺄﺧﺬ ﻳﻤﻴﻨﺎ ﻭﺷﻤﺎﻻ ﻓﺈﺫﺍ ﻟﻢ ﺗﺠﺪ ﻣﺴﺎﻏﺎ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺬﻱ ﻟﻌﻦ ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﻟﺬﻟﻚ ﺃﻫﻼ ﻭﺇﻻ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻬﺎ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ » ﺑﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻌﻦ
অনুবাদঃ রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোন বান্দা কোন ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়,তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে, তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দয়ো হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোন উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয় তাহলে তার প্রতি পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়।{সুনানে আবু-দাউদ-৪৯০৫}
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/27748
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ জুদি কাউকে মজা করে অভিসাপ দেয়, সেটা নিয়ে যদি আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হয়,তাহলে এদ্বারা ঈমান চলে যাবে। আর যদি এমনিতেই হাসাহাসি করা হয়, তাহলে ঈমান যাবে না।তবে কাজটি অনুচিৎ।