আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
435 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
আশাকরি আমার বিষয়টা বুঝবেন।।দয়া করে সমাধান দিবেন

আমার ছোট থেকেই হজমে সমস্যা। তখন বিষয়টা অতটা বুঝিনি।এর আগেও আলেমদের শরণাপন্ন হয়েছি,,কিন্তু ডিরেক্ট সমাধান পায়নি।আর একটা কথা বলে রাখি,এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার সাধ্যমতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।প্রথম এ অনেক বছর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেছি।তারপর এলোপ্যাথিক,,হামদর্দ,হোমিওপ্যাথিক সব দেখানো শেষ। কাজ হয়নি।আর আমি স্বাস্থ্যকর খাবারই খাই।বাইরের,, বিশেষ করে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একেবারে খাই না বললেই চলে।

আমি এক ওয়াক্ত নামাজও শান্তিমত পড়তে পারি না।২ রাকাত নামাজ পড়ত গেলে ৫- ৭ বার অজু করা লাগে।এমনভাবে অজু করে অনেক বছর নামাজ পড়েছি।এখনও এই সমস্যা আছে,তবে সব ওয়াক্ত এ পড়তে হয় না।। কিন্তু প্রায় সময়ই মিনিমাম ৩-৪ বার অজু করা লাগে। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ ও অজু করি।।ইদানিং বিশেষ করে এশার সালাতে কত বার অজু করি আমি নিজেও জানিনা। ৮ টার দিকে নামাজ পড়তে গলে নামাজ শেষ হতে হতে প্রায়  ৯.৩০ বেজে যায়।

এখন আমার জীবন অতিষ্ঠ।। মাঝে মাঝে আল্লাহকে উল্টোপাল্টা কথা বলে ফেলি।।২ রাকাআত নামাজ যদি শান্তিতে পড়তে না পারি,তাহলে আমার বেচে থেকে কি লাভ,আমার মৃত্যু দেও।।আল্লাহর ৯৯% দয়া আর সমস্ত মানুষকে ১% দিয়েছেন,, তাই মানুষের মানুষের প্রতি কত মায়া,,তবুও আল্লাহ আমাকে দয়া করছেন না,,এমনটা বলে ফেলি। এটা কি গুনাহের কথা।আবার তওবাও করি।

উস্তাদ আমার জন্য প্রায় ৪ বছর থেকে ছেলে খুঁজছে।। এখন দেড় বছর হল আমার পড়ালেখা শেষ।আলহামদুলিল্লাহ যে ৪ টা গুনের কথা হাদিসে আছে ৪ টাই আমার মধ্যে আছে।কিন্তু এমনও ছেলে রিজেক্ট করে। যাদের আমরা ধরার মধ্যেও রাখি না।অথচ কোন দ্বীনদার ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকলেও আমার পরিবার না করে না।এরা কেমন দ্বীনদার আল্লাহ ভাল জানেন। এই বিষয়টা এই কারনে বললাম
আমি বিয়ে নিয়ে যতটা কষ্ট না পাইছি,,এই গ্যাসের সমস্যা নিয়ে তার থেকে বেশি কষ্ট পাই।আর আমি কতটা আবেগ নিয়ে আমার আল্লাহর কাছে দোয়া করি।কতটা চোখের পানি ফেলেছি,,কিন্তু আল্লাহ আমাকে কবুল করছেন না।মনে হয় আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ,নিকৃষ্ট মানুষ।

আমি কতটা কষ্টে আছি কাউকে বুঝাতে পারব না।আর নামজই যদি পড়তে না পারি এ জীবন এর কি দাম আছে।

উস্তাদ মাজুরের মাসআলাটা আমি জানি।মাজুর হলে ডাইরেক্ট বলবেন,,আর না হলে কি করব এটাও বলবেন

 আমার সবসময় বায়ু বের হতে থাকে এমন না।৪-৫ বার অজু করে হলেও নামাজ আদায় করতে পারি।এমনও আছে ৪ ওয়াক্ত নামাজে ১ বার ১ বার করে অজু করি।আবার এশার নামাজে এসে ১৫ বারও অজু করি।আর আমি যতটুক বুঝি নামাজে উঠাবসার কারনে,নামাজেই বায়ুর সমস্যা বেশি হয়।।

আল্লাহই জানেন,,আমি কতটা কষ্ট এ আছি

এখন আমি কি করব।পরামর্শ চাই।যাস্ট সান্ত্বনা
যদি এভাবেই অজু করতে হয়,,এটাই আমি সন্তুষ্ট মনে মেনে নিব,,নিয়েছি।কিন্তু উস্তাদ মাঝে মাঝে ধৈর্য্য রাখতে পারি না।আর নামাজেওত মনোযোগ দিতে পারি না

আর উস্তাদ আপনাদের সকলের কাছে আমি দোয়া চাই।।আমার কথা বলে  উস্তাদরা একটু দোয়া করবেন।।আপনাদের দোয়াও ত কবুল হতে পারে।।একটু দোয়ায় ত,,একটু কষ্ট করে আমার জন্য দোয়া করে দিবেন।যেন শান্তিতে মনোযোগ সহকারে ১ বার অজু করে নামাজ পড়তে পারি

লেখাটা বড় হওয়ার জন্য দুঃখিত

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক বায়ূ নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও বায়ূ নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।

মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1897

আপনি উক্ত সমস্যার কারণে চেয়ারে বসেও নামায পড়তে পারবেন।

বিয়ের জন্য সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। ইনশা'আল্লাহ, অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আপনার দু'আ কে কবুল করে নিবেন।
সালাতুল হাজত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1453


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
...