উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)
কুরআন মাজীদ আল্লাহ তাআলার কালাম। এটি প্রদর্শনের বস্তু নয়।
তাই এর কোনো প্রকারের সম্মান হানী হয়,এমন কাজ করা যাবেনা
-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৬৭, ৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৯, ৫/৩২২; আদ্দুররুল মুখতার ৪/১৩০
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
وَيُكْرَهُ أَنْ يَجْعَلَ شَيْئًا فِي كَاغِدَةٍ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى كَانَتْ الْكِتَابَةُ عَلَى ظَاهِرِهَا أَوْ بَاطِنِهَا، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخمس-5/322)
يكره كتابة قرآن أو إسم الله تعالى على ما يفرش لما فيه من ترك التعظيم وكذا على درهم ومحراب وجدار لما يخاف من سقوط الكتابة (طحطاوى على مراقى الفلاح، باب الحيض، مصرى-118)
যার সারমর্ম হলো কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম এমিন জায়গায় লেখা যাবেনা,যেটার দ্বারা সম্মান হানী হয়।
এরকমটি হলে এটি নাজায়েয।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে,পদপৃষ্ঠ সম্ভাবনাময় স্থানে কুরআন,আল্লাহর নাম লিখা মাকরুহ।
সুতরাং গেঞ্জিতে কুরআনের আয়াত, বা তার হুবহু অর্থ লিখলে সেটা যেহেতু ধোয়ার সময় মকটিতে রাখা হয়,তার অবমাননা হয়,তাই এটা গেঞ্জিতে লেখা মাকরুহ।
,
তবে আয়াত,হাদীস ব্যাতিত অন্যান্য জ্ঞানমূলক কথা লেখা মাকরুহ নয়।
★কোনো জায়গায় আরবীতে লেখা থাকলেই সেটি কুরআনের আয়াত বা হাদীস, কিংবা আল্লাহ বা রাসূল সাঃ এর নাম হয়ে যায় না।
আরবী একটি ভাষা। আমাদের দেশে যেমন আসবাবপত্রে কোম্পানীর নাম লেখা থাকে, তেমনি আরব দেশের ভাষা আরবী তারা আরবীতেই স্বীয় কোম্পানীর নাম লিখে থাকে।
★★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গেঞ্জিতে সবর,সালাম লেখা যাবে।
কিন্তু কুরআনের আয়াত বা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নাম লেখা থাকলে একাজ করা জায়েজ হবে না।
,
(০২)
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ جَبْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَغْسِلُ ـ أَوْ كَانَ يَغْتَسِلُ ـ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ، وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ.
আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা‘ (৪ মুদ) হতে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং উযু করতেন এক মুদ দিয়ে। (মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২৫, আহমাদ ১৪০০২, ১৪০৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০১)
কেহ কেহ বলেছেনঃ
১ মুদ = ৬০০ গ্রাম, চার মুদ = ১ সা‘ অর্থাৎ প্রায় আড়াই কেজির পাত্র বিশেষ।
[সুতরাং ১ মুদ = ৬০০ গ্রাম]
★তবে আওযানে শরইয়্যাহ তে আছে
আধুনিক হিসাবে সা ও নিসফে সা,এক মুদ।
১ সা = ২৮০.৫০ তোলা
১ তোলা = ১১.৬৬ গ্রাম (প্রায়)
অতএব
১ সা = ৩২৭০.৬০ গ্রাম (প্রায়)
অর্থাৎ ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি।
এবং আধা সা = ১৬৩৫.৩১৫ গ্রাম বা ১.৬৩৫৩১৫ কেজি (প্রায়)
অর্থাৎ ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি।
এক মুদ ৭৯৬.৬৮ গ্রাম।
[সূত্র : আওযানে শরইয়্যাহ, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. পৃ. ১৮; মেট্রিক/আন্তর্জাতিক পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ (জনসাধারণের জন্য) ১৯৮২; বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স ইনস্টিটিউশন পৃ. ৩]