ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
ইন্টারনেট এবং ডিশে পার্থক্য রয়েছে। প্রথম কথা হল, ইন্টারনেট নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ডিশ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। দ্বিতীয় কথা হল, ডিশের অধিকাংশ প্রোগ্রামে হারাম থাকে,তবে ইন্টারনেটকে নিজের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়। সুতরাং ইন্টারনেট ব্যবসাকে ডিশ ব্যবসার সাথে মিলানো যাবে না। সুতরাং ডিশ ব্যবসা হারাম বলেই বিবেচিত হবে।
(২)
বিবাহিত কন্যা সন্তানের খোরাকির দায়িত্ব যেহেতু স্বামীর।তাই বিবাহিত কন্যা সন্তানের জন্য ডিশ ব্যবসা পরিচালনাকারী পিতা থেকে কিছুই গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(৩)
না, গোনাহ হবে না।তবে যদি খেয়েও নেন, তাহলে ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিবেন।
(৪)
স্বামীর হারাম কাজে কোনো প্রকার সাহায্য করবেন না। স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, সে আপনার খোরপোষ দিবে। সুতরাং তার ব্যবসা হারাম হলেও এতে কোনো সমস্যা হবে না।