আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,,, আমি অন্ধকারে প্রস্রাব করছিলাম। এই সময় ভালো ভাবে প্রস্রাব পরিস্কার করার জন্য প্রস্রাব নালির নিচ দিয়ে চাপ দিচ্ছিলাম। এই সময় মনে হলো হাতের উল্টো দিকে প্রস্রাব লাগলো। অন্ধকার ছিল। আমি বুড়ো আঙুল দিয়ে ওই স্থানে ঘসা দেই। যেন তা শুকিয়ে যায়। আমি জানিনা কতটুকু নাপাকি লেগেছে বা আদৌ লেগেছে কিনা। আর লাগলেও শুকিয়েছে কিনা। আর কাপড়ে লেগেছে কিনা। কিন্তু লাগার সম্ভাবনা বেশি। কারণ আমি ভেজা অনুভব করেছিলাম। হাতেও মনে হলো একটু গন্ধ ছিল। তবে কাপড়ে স্পষ্ট কোন ভেজা দেখিনি। এখন আমি কি আমার কাপড়কে নাপাক ধরবো না পাক?? নাপাক হলে আমার পকেটে থাকা অন্য জিনিস-ও কি নাপাক হবে?? যেমন মোবাইল, টাকা, কলম।

আর আমার মনে আরেকটা প্রশ্ন এসেছে,,, আমরা টিস্যু ব্যাবহার করলেতো প্রস্রাবের জাইগা পাক হয়ে যায়,, তাইলে হাতে যে নাপাকি লেগেছিল ওইটা শুকালে কি পাক??
by (1 point)
ভাই পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস ছাড়া কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। যেহেতু অন্ধকারে প্রস্রাব করার পরও কাপড়ে কোনো ভেজা দাগ পরিলক্ষিত হয়নি, তাই কাপড় নাপাক হবে না। তবে হাতের যে যে অংশে প্রস্রাব লেগেছে, সেই অংশকে ধৌত করতে হবে।


(২)
টিস্যু ব্যবহারের পর ভিজা টিস্যু হাতে স্পর্শ করলে হাতকে ধৌত করতে হবে। তবে যদি টিস্যু এই পরিমাণ ভিজা হয় যে, এই টিস্যু দ্বারা হাত না ভিজে, তাহলে ভিজা টিস্যুর কারণে আপনার হাত নাপাক হবে না। টিস্যুর ব্যবহারের পর লিঙ্গ বা হাত ভিজা থাকলে, ধৌত করা জরুরী। আর ভিজা না থাকলে, ধৌত করা মুস্তাহাব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...