আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শায়েখ,

প্রশ্ন,
১।(ক) নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রব্য মূল্যের দাম কমান এবং বৃদ্ধি করেন এর ব্যাখ্যা কি?
(খ) অতপর মানুষ দ্রব্য জমা করে রাখে তখন দ্রব্য বাজারে কম থাকলে সেই দ্রব্য বেশি দামে বিক্রি করে এর ব্যাখ্যা কি?

(ক)অতপর (খ) আমি বিঝতে পারছি না এই সম্পর্কে আমদের আকিদা কি রকম থাকতে হবে?  বিস্তারিত এর ব্যাখ্যা বললে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।

২। আমি এগুলো না বুঝার কারনে কি আমার ইমান চলে যাবে?
৩।মাঝে মধ্যে ব্যাথা পেলে বা এমনিতে, ইশ,উহ,আহ,এমনি বলি এগুলো বলার কারেনে কি আমার ইমান চলে যাবে?

৪। মাঝে মধ্যে ভালো কাজ করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যাই অন্য কারোর সাথে কথা বলি এতে কি ইমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১)
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ أَنَسٍ قال : " قال النَّاسُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، غَلَا السِّعْرُ فَسَعِّرْ لَنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّازِقُ ، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يُطَالِبُنِي بِمَظْلَمَةٍ فِي دَمٍ وَلَا مَالٍ )
তিনি বলেন, লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহই মূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই তা কমান ও বৃদ্ধি করেন এবং একমাত্র তিনিই রিযিকদাতা। আমি এই আশা করি যে, আমি আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবো যেন আমার উপর কারো জীবন বা সম্পদের উপর জুলুম করার কোনোরূপ অভিযোগ না থাকে। (সুনানু ইবনি মা'জা-৩৪৫১,সনানু ইবনি মা'জা -২২০০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক)দ্রব্যর মূল্য কম বা বেশীর হওয়ার সম্পর্ক, দ্রব্যর উৎপাদন কম হওয়া বা বেশী হওয়ার উপর। যেহেতু দ্রব্যর উৎপাদন আল্লাহর হুকুমের উপর নির্ভরশীল,এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে, দ্রব্যর মূল্য কম বেশী হওয়ার আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত।

(খ)
মানুষ দ্রব্য জমা করে রাখে তখন দ্রব্য বাজারে কম থাকলে সেই দ্রব্য বেশি দামে বিক্রি করে, এটার নাম এহতেকার, যা হারাম।

(২)
না, আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(৩)
মাঝে মধ্যে ব্যাথা পেলে বা এমনিতেই যদি কেউ ইশ,উহ, আহ বলে, তাহলে তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
যদি কেউ মাঝে মধ্যে ভালো কাজ করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়,তাহলে এতেকরে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,340 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...