ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَنَسٍ قال : " قال النَّاسُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، غَلَا السِّعْرُ فَسَعِّرْ لَنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّازِقُ ، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يُطَالِبُنِي بِمَظْلَمَةٍ فِي دَمٍ وَلَا مَالٍ )
তিনি বলেন, লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহই মূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই তা কমান ও বৃদ্ধি করেন এবং একমাত্র তিনিই রিযিকদাতা। আমি এই আশা করি যে, আমি আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবো যেন আমার উপর কারো জীবন বা সম্পদের উপর জুলুম করার কোনোরূপ অভিযোগ না থাকে। (সুনানু ইবনি মা'জা-৩৪৫১,সনানু ইবনি মা'জা -২২০০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক)দ্রব্যর মূল্য কম বা বেশীর হওয়ার সম্পর্ক, দ্রব্যর উৎপাদন কম হওয়া বা বেশী হওয়ার উপর। যেহেতু দ্রব্যর উৎপাদন আল্লাহর হুকুমের উপর নির্ভরশীল,এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে, দ্রব্যর মূল্য কম বেশী হওয়ার আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত।
(খ)
মানুষ দ্রব্য জমা করে রাখে তখন দ্রব্য বাজারে কম থাকলে সেই দ্রব্য বেশি দামে বিক্রি করে, এটার নাম এহতেকার, যা হারাম।
(২)
না, আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
মাঝে মধ্যে ব্যাথা পেলে বা এমনিতেই যদি কেউ ইশ,উহ, আহ বলে, তাহলে তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)
যদি কেউ মাঝে মধ্যে ভালো কাজ করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়,তাহলে এতেকরে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।