ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত।
- وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " « الدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ، وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়ার সমস্ত কিছুই (তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী) ধন-সম্পদ। (তন্মধ্যে) মুসলিম সতীসাধ্বী রমণী সর্বশ্রেষ্ঠ ধন। (মিশকাত-৩০৮৩,সহীহ মুসলিম ১৪৬৭, নাসায়ী ৩২৩২, আহমাদ ৬৫৬৭, সহীহ আল জামি‘ ৩৪১৩)
মোল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
".( «وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا») أَيْ: خَيْرُ مَا يُتَمَتَّعُ بِهِ فِي الدُّنْيَا ( «الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ» ) لِأَنَّهَا مُعِينَةٌ عَلَى أُمُورِ الْآخِرَةِ، وَلِذَا فَسَّرَ عَلِيُّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَوْلَهُ تَعَالَى: {رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً} [البقرة: ٢٠١] بِالْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ -
ভাবার্থ-
দুনিয়া যে সমস্ত বস্তু দ্বারা উপকার গ্রহণ করা হয়, এর মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশী উপকার গ্রহণ করা হয়ে থাকে নেককার নারীদের থেকে।কেননা তারা আখেরাতের দিকে স্বামীকে সাহায্য সহযোগিতা করে ও উদ্বোদ্ধ করে থাকে।এজন্যই হযরত আলী রাযি বলেন, সূরায়ে বাকারার ২০১ এক নং আয়াতের অর্থ হল, হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে নেক স্ত্রী দান করুন। অর্থাৎ দুনিয়াতে নেক দান করুনের অর্থ হল,নেক স্ত্রী দান করুন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যখন মানুষের জন্য দ্বীন ও জ্ঞানসম্পন্ন উভয় দিক থেকে ভালো ও উত্তম স্ত্রী অর্জিত হবে, তখন সেটাই তার জন্য পৃথিবীর উত্তম বস্তু হিসেবে পরিগণিত হবে। কেননা এই স্ত্রী তাকে গোপনে সাহায্য করবে,তার সম্পদ ও আওলাদকে হেফাজত করবে।
যখন কারো ঘরে জ্ঞানসমৃদ্ধ স্ত্রী থাকবে, তখন ঐ ঘরে উত্তম উত্তম ও হেকমতপূর্ণ কার্যক্রম হতে থাকবে, তার সন্তানাদিকে উত্তম উত্তম তারবিয়্যাত দেয়া হবে। ঐ স্ত্রীর দিকে যখন সে তাকাবে, তখন সে আনন্দিত হবে, যখন সে স্ত্রী ও পরিবার থেকে অনুপস্থিত থাকবে, তখন তার ঐ স্ত্রীই সবকিছুর হেফাজত করবে। স্ত্রীর নিকট আমানত রাখার পর যখন স্ত্রী কোনো আমানতের খিয়ানত করবে না, সেই স্ত্রীই দুনিয়ার শ্রেষ্ট সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এদিকেই হাদীসে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।