আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
reshown by
হুজুর অামি হানাফি মাযহাব মানি। বর্তমানে হানাফি হুজুরা এমনকি অাপনারাও কিছু ফতোয়া হয়ত হানাফি মাযহাব এর বাইরে দিয়ে থাকেন হয়ত তা কোন প্রয়োজনে তাই অামি কোনটা কোন মাযহাবের তা জানার চেষ্টা করি না অাপনারা যা বলোন মেনে নেই।
এখন অামি হানাফি মাযহাব মানি। তারপর ওলি উল্লাহ হুজুরের ফতোয়া মানি। অার যে ফতোয়াগুলো বুঝতে পারি না অাপনার তা মসজিদ বা মাদ্রাসার হুজুরদের কাছ থেকে বুঝে নেই।
অার অাপনার যে ফতোয়াগুলোর সাথে অন্য বেশিরভাগ হুজুর দ্বিমত পোষণ করে সেই ফতোয়া অাপনারটি (ওলি উল্লাহ হুজুর) মানি না।
অনেক সময় অাপনার ফতোয়ার সাথে বেশিরভাগ হুজুর একই মত পোষণ করলেও তা মানতে চাই না নিজের সুবিধার জন্য। যেমনঃ ছেলেরা মেয়েদের টিউশনি করানো টাকা হারাম এইটা
অার সাধারণ কোন হানাফি হুজুরের কাছ থেকে কোন কিছু জানতে পারলে তা মানার চেষ্টা করি।
অার অামার মসজিদে মুফতি সাহেব মাঝে মাঝে ফতোয়া দিতে ভুল করে অামার দেখা মতে তা অনেক কমই হয়, তিনিও হানাফি। অার দূরত্বের কারণে অাপনার সাথে এত যোগাযোগ ও সম্ভব না। তাই অামি অামার মসজিদের মুফতি সাহেব যা বলে তাই মেনে নিতে চাই
এখন প্রশ্ন হল

অাপনার ফতোয়া বেশিরভাগ হুজুরের(অামার দেখায় কারণ সব্বোচ ৬-৭ জন হুজুরের সাথে অামার কথা হয়)  সাথে না মিললে যে অাপনার টা মানি না এতে কি কোন সমস্যা হবে

অাপনার ফতোয়া অনেকের সাথে মিললেও যে অাপনার টা অামার সুবিধার জন্য মানি না এতে কি অামি ঈমান হারা হয়ে যাব।  বিয়ে, নামাজ শুদ্ধ হবে না।

দূরত্বের কারণে অাপনার কাছ থেকে ফতোয়া না নিয়ে মসজিদের মুফতি সাহেবের কাছ থেকে ফতোয়া নিতে চাই কিন্তু যদি অামার অসুবিধার ফতোয়া হয়ে গেলে দেখা যাবে অাপনাদের কাছে প্রশ্ন করব, হয়ত সামান্য সময় ঠিক উওর জানার জন্য প্রশ্ন করব। অার অামি ত বুঝব না কোনটা কি অামার সুবিধা হলেই হয়ত খুশি হয়ে সেই ফতোয়া নিয়ে অামি খুশি থাকব, অার ঘাটব না,অার ঘাটাঘাটির ফলে বিপদেও হচ্ছে, ওয়াসওয়াস তে পড়ছি।  এতদিন অাপনার ফতোয়া নিয়ে এখন মসজিদের মুফতি সাহেবের ফতোয়া নেওয়া, অার অামার অসুবিধার ফতোয়া হলে অাপনাদের কাছে জানতে চাওয়া।  এতে কি অামি ঈমান হারা হয়ে যাব।  বিয়ে, নামাজ শুদ্ধ হবে না।

সাধারণ অামল এর বিষয়ে সাধারণ মানুষের কথাও শুনি কিন্তু ফতোয়ার বিষয়ে হানাফি হুজুরদের পাশাপাশি অাহমাদুল্লাহ হুজুরে কথা শুনি। এর ফলে ও উপরের  ৩ টি প্রশ্নে যা লিখলাম ও যে বর্ণনা দিলাম এইভাবে চললে কি অামি মুসলমান থাকব। নামাজ, রোজা, বিয়ে শুদ্ধ হবে। অামি হানাফি মাযহাব ই মানতে চাই। কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ প্রয়োজনে সুবিধাজনক অাচরণ করি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, 
আপনি নিজ মাযহাবের বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকেই ফতোয়া নিবেন।
ফতোয়া মানতে গিয়ে নফসের যেনো পূজা না হয়,সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
,
আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন  কার ফতোয়াতে দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই আপনি ঈমানহারা হবেননা,আপনার বিবাহ নামাজ সবই শুদ্ধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...