بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/4174/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে এই মারাত্মক
শিরক প্রসঙ্গে বলেন,
اِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ
اللهِ-
‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের
আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।
আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর
নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন,
إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا
يَعْبُدُونَهُمْ ‘
ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন,
وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا
أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا
حَرَّمُوهُ
‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা
হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা
তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ
يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম
করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে
না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ
فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى
اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে
তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা
ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে
এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা
বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করার অর্থ হল,কোনো কিছুকে হালাল এবং হারাম ঘোষনা প্রদানের একচ্ছত্র অধীকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কাউকে হালাল এবং হারাম
কারী মনে করা শিরক ও কুফরী। যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
কেউ যদি কোনো হারাম কে অজ্ঞতাবসত হালাম মনে করে উক্ত কাজকে করে নেয়,তাহলে এই কাজ করা তার জন্য হারাম
হয়েছে,কিন্তু সে কাফির হচ্ছে না। ইলম শিক্ষা ফরয ছিলো,
সে কেন শিখেনি,এর জন্য তার গোনাহ হবে।
জেনে শুনে কোন ব্যক্তি যদি কোন
হারাম কাজকে ভালো, শ্রেষ্ট, উত্তম বা পছন্দ করে কিন্তু হালাল মনে করে না অনুরুপ ভাবে
কোন হালাল কাজকে অপছন্দ, ঘৃণা বা অনুত্তম মনে করে কিন্তু হারাম মনে করে না তাহলে
তার ঈমান নষ্ট হবে না তবে এমন মানোভাব ধীরে ধীরে কুফরীর দিকে ঠেলে দেয়। বিধায় এমন
অবস্থা থেকে তওবা করা আবশ্যক।