আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।মেসেজে স্বামী স্ত্রীর কাল রাত থেকে ঝগড়া বা মান অভিমান চলতেছিল।স্ত্রী স্বামীকে খুব ভালবাসে স্বামীও।স্ত্রী অভিমান করে মরে যাবে বলেছিল এটা নিয়ে ঝামেলা চলতেছিল।আর বলেছিল স্ত্রী যদি আপনি যতদিন না বলেন তুকে ছড়া আমি থাকতে পারব না ততদিন আমি জালাব না আপনাকে মানে স্বামীকে এটা নিয়েও স্বামী কথা বলতেছিল। তারপর সকালে কথা বলতে বলতে স্বামী বলে ভাবতাম যে তুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা তহ মনেও আনি নি কোনদিন(এই কথাটা দ্বারা স্বামী কি বুঝাতে চেয়েছে স্ত্রী জানে না কিন্তুু ঠিক এমনটা বলেছে।নাকি এটা বুঝাতে চেয়েছে ভাবতাম যে তুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা মনেও আনব না)।। তারপর বলে এমন কোন মান অভিমান আসে নি।সাময়িক রাগ অভি মান।ভাবতাম যে আমি রাগ করলে তুই আমাকে পাগলের মত খুজবি, মানে এই ধরনের কিছু একটা বলে। তারপর বলে কিন্তু তুই এখন বলতেছস লাগলে আমি তুর কাছে যাব যে।নাহলে......। স্ত্রী বলে নাহ!!! অও আল্লাহ নাহ।স্বামী বলে বড় ধোকা দিছস তুই আমাকে।স্ত্রী বলে আমি আপনাকে চায়।আমাকে ছেড়ে দিয়েন না।স্বামী বলে আমার অস্হীর লাগতেছে।স্ত্রী বলে প্লিজ। স্বামী বলে দূরে থাক আমার থেকে।খুজব না আমি তুকে।তারপর বলে তুইও কতদিন আমাকে না জালিয়ে দূরে থাকতে পারছ দেখি।কল দিস না,মেসেজ দিস না।কেমনে বলতে পারলি আমাকে জ্বালাবি না,খুজ নিবি না মানে রাতে বলছিল যে ওই কথা গুলো বলতেছে স্বামী।স্বামীর খুব খারাপ লাগছে। কেমনে পারবি বলছস বল না মুখ দিয়ে কেমনে বাইর করছস?কিন্তু স্ত্রী বলে নি স্বামীকে ছাড়া থাকতে পারবে স্বামী ওইটাই বুঝেছে((উপরে যে জ্বালাব না কথাটা লিখছে ওটা বলেছিল।মানে যতদিন বলেন নাই আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না ততদিন জ্বালাব না।এমনটা বলেছিল।স্ত্রী অভিমান করে বলেছিল রাতে।ছেড়ে থাকতে পারবে বলে নি))।তার পর আজ স্বামীর কথার পর স্ত্রী বলে আমি আপনাকে চায়,আপনাকে ছাড়া বাচব না।স্বামী বলে তুকে খুজব না মেসেজ দিস না।তারপর স্বামী বলে আর নতুন করে বলব না তুকে ছাড়া থাকতে পারব না বা তুকে চায় এমন কিছু আর বলব না।কেমনে থাকতে পারস দেখি।তারপর স্বামী বলে মরে যাব, জীবন শেষ করে দিব ইত্যাদি ইত্যাদি এসব কথা ভুলেও উচ্চারন করবি না মুখ দিয়ে।তুর আর আমার পথ আলাদা হয়ে যাবে এরপর।মানে বললে আর কি।তারপর স্বামী বলে তুর কাছে লাস্ট রিকোয়েস্ট এটা আমার।মৃত্যুর আগ পর্যান্ত আর বলব না।আলাদা হয়ে যাবে পথ এটা বলেছে মানে এই মেসেজ টা স্ত্রীর কাছে এসেছে ১১.১২ তে।স্ত্রী ১১.১১ তে আবার বলেছিল আমি মরে যাব।স্বামীর মেসেজটা দেখার পর আর বলে নি।মেসেজটা স্বামী দিয়েছিল হোয়াটসেপে। স্ত্রী মরে যাবে সেটা বলেছিল মেসেন্জারে। দেখার পর আর বলে নি।স্বামী আরো আগে দিছে কিনা জানে না স্ত্রীর কাছে এসেছে ১১.১২ তে।মেসেন্জারে স্ত্রীর মেসেজটা দেখে স্বামী বলতেছে বারন করছি আমি তোকে হোয়াটসেপে? তারপর স্ত্রী মেসেন্জারে বলে প্লিজ বলেন না কোন কথা অথবা কোন কিছু আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে বলেন নি।প্লিজ!!।কিন্তু আলাদা হবে বলেছিল যে স্বামী সেটা হোয়াটসেপে বলেছিল।স্বামী মেসেজ সিন করে নি এরপর। অনেকক্ষণ পরে স্বামী মেসেজ দেয়,ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কোনদিন কিছু বলি নি আজ ও বলি নি,ভবিষ্যৎ এও বলব না।স্ত্রী নির্দিষ্ট করে জিগ্যেস করে নি কারন স্ত্রীর মনে হয়েছে কয়েকটা বলেছে।সবসময় এক একটা জিগ্যেস করলে স্বামী রেগে যাবে।স্বামী বলে তারপর তুমি তহ আমার কথা শুন না।স্ত্রী বলে শুনব। তারপর স্বামী আবার বলে মানুষকে মুখে বলে ছেড়ে দিতে হয় না।সংসার থেকে সুখ এমনিতে উঠে যাবে।স্বামী ছেড়ে দিছি এমনটা বলে নি ।স্ত্রী স্বামীকে খুব ভালবাসে।সে তার স্বামীর সাথেই থাকতে চায়।সে তালাক চায় নি।দয়া করে বলেন উপরোক্ত কোন কথার দ্বারা কি তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবে?মানে স্ত্রী ঐসব কথা বললে মানে যেই কথা বললে পথ আলাদা হবে বলেছে। স্বামী তহ বলেছে নিয়ত ছাড়া বলেছে।স্ত্রী খুব কান্না করতেছে।সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।মেসেজে হয়েছিল সব কথা।দয়া করে এমন একটা ফতোয়া দিন ওদের সংসারটা বেচে যায়।খুব টেনশনে স্ত্রী। স্বামী জানেই না কোন কোন কথা বলার দ্বারা তালাক হতে পারে এসব। ঈমদাদ হুজুর আরেকবার বলেছিল মেসেজে স্ত্রী তালাক না চাইলে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিবে বললেও এর পর স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললেও তালাক হয় না কারন স্ত্রী তালাক চায় নি।এখানেও স্ত্রী তালাক চায় নি।বার বার বলেছে স্বামীকে চায়।আর স্বামীও বলেছে তিনি সেই নিয়তে কিছু বলে নি।বাকিটা আল্লাহ জানে।
২।স্বামী বলে মরে যাব, জীবন শেষ করে দিব ইত্যাদি ইত্যাদি এসব কথা ভুলেও উচ্চারন করবি না মুখ দিয়ে।তুর আর আমার পথ আলাদা হয়ে যাবে এরপর।মানে বললে আর কি।তহ স্বামী তহ পরে বলেছে সব কথা নিয়ত ছাড়া বলেছে।তহ স্ত্রী স্বামীর একথা জানার আগে এখানে প্রশ্ন করলে মাসআলা জানার জন্য তাহলে ঐসব কথা লিখে প্রশ্ন করলে কি সমস্যা হবে?মানে স্বামী সেই নিয়তে বলে নি বলেছে যে ওটা পরে বলেছে।এর আগে স্ত্রী মাসআলা জানার জন্য বিস্তারিত লিখে প্রশ্ন করলে তহ সব লিখতে হবে স্বামী স্ত্রী কি কি বলেছে।তখন লেখার সময়,স্বামী যা না বলতে বলেছে তা তহ বলতে হচ্ছে প্রশ্ন বুঝিয়ে লেখার জন্য।কিন্তুু নতুন করে স্ত্রী আর বলে নি।