আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।মেসেজে স্বামী স্ত্রীর কাল রাত থেকে ঝগড়া বা মান অভিমান  চলতেছিল।স্ত্রী স্বামীকে খুব ভালবাসে স্বামীও।স্ত্রী  অভিমান করে মরে যাবে বলেছিল এটা নিয়ে ঝামেলা চলতেছিল।আর বলেছিল স্ত্রী যদি আপনি যতদিন না বলেন তুকে ছড়া আমি থাকতে পারব না ততদিন আমি জালাব না আপনাকে মানে স্বামীকে এটা নিয়েও স্বামী কথা বলতেছিল। তারপর সকালে কথা বলতে বলতে স্বামী বলে ভাবতাম যে তুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা তহ মনেও  আনি নি কোনদিন(এই কথাটা দ্বারা স্বামী কি বুঝাতে চেয়েছে স্ত্রী জানে না কিন্তুু ঠিক এমনটা বলেছে।নাকি এটা বুঝাতে চেয়েছে ভাবতাম যে তুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা মনেও আনব না)।। তারপর বলে এমন কোন মান অভিমান  আসে নি।সাময়িক রাগ অভি মান।ভাবতাম যে আমি রাগ করলে তুই আমাকে পাগলের মত খুজবি, মানে এই ধরনের কিছু একটা বলে। তারপর বলে কিন্তু তুই এখন বলতেছস লাগলে আমি তুর কাছে যাব যে।নাহলে......। স্ত্রী বলে নাহ!!!  অও আল্লাহ  নাহ।স্বামী বলে বড় ধোকা দিছস তুই আমাকে।স্ত্রী বলে আমি আপনাকে চায়।আমাকে ছেড়ে দিয়েন না।স্বামী বলে আমার অস্হীর লাগতেছে।স্ত্রী বলে প্লিজ। স্বামী বলে দূরে থাক আমার থেকে।খুজব না আমি তুকে।তারপর বলে তুইও কতদিন আমাকে না জালিয়ে দূরে থাকতে পারছ দেখি।কল দিস না,মেসেজ দিস না।কেমনে বলতে পারলি আমাকে জ্বালাবি না,খুজ নিবি না মানে রাতে বলছিল যে ওই কথা গুলো বলতেছে স্বামী।স্বামীর খুব খারাপ লাগছে। কেমনে পারবি বলছস বল না মুখ দিয়ে কেমনে বাইর করছস?কিন্তু স্ত্রী বলে নি স্বামীকে ছাড়া থাকতে পারবে স্বামী ওইটাই বুঝেছে((উপরে যে জ্বালাব না কথাটা লিখছে ওটা বলেছিল।মানে যতদিন বলেন নাই আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না ততদিন জ্বালাব না।এমনটা বলেছিল।স্ত্রী অভিমান করে বলেছিল রাতে।ছেড়ে থাকতে পারবে বলে নি))।তার পর আজ  স্বামীর কথার পর স্ত্রী বলে আমি আপনাকে চায়,আপনাকে ছাড়া বাচব না।স্বামী বলে তুকে খুজব না মেসেজ দিস না।তারপর স্বামী বলে আর নতুন করে বলব না তুকে ছাড়া থাকতে পারব না বা তুকে চায় এমন কিছু আর বলব না।কেমনে থাকতে পারস দেখি।তারপর স্বামী বলে মরে যাব, জীবন শেষ করে দিব ইত্যাদি ইত্যাদি  এসব কথা ভুলেও  উচ্চারন করবি না মুখ দিয়ে।তুর আর আমার পথ আলাদা হয়ে যাবে এরপর।মানে বললে আর কি।তারপর স্বামী বলে তুর কাছে লাস্ট রিকোয়েস্ট এটা আমার।মৃত্যুর আগ পর্যান্ত আর বলব না।আলাদা হয়ে যাবে পথ এটা বলেছে মানে এই মেসেজ টা স্ত্রীর কাছে এসেছে ১১.১২ তে।স্ত্রী ১১.১১ তে আবার বলেছিল আমি মরে যাব।স্বামীর মেসেজটা দেখার পর আর বলে নি।মেসেজটা স্বামী দিয়েছিল হোয়াটসেপে। স্ত্রী মরে যাবে সেটা বলেছিল মেসেন্জারে। দেখার পর আর বলে নি।স্বামী আরো আগে দিছে কিনা জানে না স্ত্রীর কাছে এসেছে ১১.১২ তে।মেসেন্জারে স্ত্রীর মেসেজটা দেখে স্বামী বলতেছে বারন করছি আমি তোকে হোয়াটসেপে? তারপর স্ত্রী মেসেন্জারে  বলে প্লিজ  বলেন না কোন কথা অথবা কোন কিছু আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে বলেন নি।প্লিজ!!।কিন্তু আলাদা হবে বলেছিল যে স্বামী সেটা হোয়াটসেপে বলেছিল।স্বামী মেসেজ সিন করে নি এরপর। অনেকক্ষণ পরে স্বামী মেসেজ দেয়,ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কোনদিন কিছু বলি নি আজ ও বলি নি,ভবিষ্যৎ এও বলব না।স্ত্রী নির্দিষ্ট করে জিগ্যেস করে নি কারন স্ত্রীর মনে হয়েছে কয়েকটা বলেছে।সবসময় এক একটা জিগ্যেস করলে স্বামী রেগে যাবে।স্বামী বলে তারপর তুমি তহ আমার কথা শুন না।স্ত্রী বলে শুনব। তারপর স্বামী আবার বলে  মানুষকে মুখে বলে ছেড়ে দিতে হয় না।সংসার থেকে সুখ এমনিতে উঠে যাবে।স্বামী ছেড়ে দিছি এমনটা বলে নি ।স্ত্রী স্বামীকে খুব ভালবাসে।সে তার স্বামীর সাথেই থাকতে চায়।সে তালাক চায় নি।দয়া করে বলেন উপরোক্ত কোন কথার দ্বারা কি তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবে?মানে স্ত্রী ঐসব কথা বললে মানে যেই কথা বললে পথ আলাদা হবে বলেছে। স্বামী তহ বলেছে নিয়ত ছাড়া বলেছে।স্ত্রী খুব কান্না করতেছে।সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।মেসেজে হয়েছিল সব কথা।দয়া করে এমন একটা ফতোয়া দিন ওদের সংসারটা বেচে যায়।খুব টেনশনে স্ত্রী। স্বামী জানেই না কোন কোন কথা বলার দ্বারা তালাক হতে পারে এসব। ঈমদাদ হুজুর আরেকবার বলেছিল মেসেজে স্ত্রী তালাক না চাইলে স্ত্রী  স্বামীকে তালাক দিবে বললেও এর পর স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললেও তালাক হয় না কারন স্ত্রী তালাক চায় নি।এখানেও স্ত্রী তালাক চায় নি।বার বার বলেছে স্বামীকে চায়।আর স্বামীও বলেছে তিনি সেই নিয়তে কিছু বলে নি।বাকিটা আল্লাহ জানে।

২।স্বামী বলে মরে যাব, জীবন শেষ করে দিব ইত্যাদি ইত্যাদি  এসব কথা ভুলেও  উচ্চারন করবি না মুখ দিয়ে।তুর আর আমার পথ আলাদা হয়ে যাবে এরপর।মানে বললে আর কি।তহ স্বামী  তহ পরে বলেছে সব কথা নিয়ত ছাড়া বলেছে।তহ স্ত্রী স্বামীর একথা জানার আগে  এখানে প্রশ্ন করলে মাসআলা জানার জন্য তাহলে ঐসব কথা লিখে প্রশ্ন করলে কি সমস্যা হবে?মানে স্বামী সেই নিয়তে বলে নি বলেছে যে ওটা পরে বলেছে।এর আগে স্ত্রী মাসআলা জানার জন্য বিস্তারিত লিখে প্রশ্ন করলে তহ সব লিখতে হবে স্বামী স্ত্রী কি কি বলেছে।তখন লেখার সময়,স্বামী যা না বলতে বলেছে তা তহ বলতে হচ্ছে প্রশ্ন বুঝিয়ে লেখার জন্য।কিন্তুু নতুন করে স্ত্রী আর বলে নি।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নের উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
সুতরাং আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
আপনারা নিশ্চিত থাকুন। 
স্বামীর সাথে এহেন অহেতুক আলাপ,প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
এতে তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
edited by
১.শায়খ ১ নং  প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন তালাক হবে না।মানে স্ত্রী পরে আবার  মরে যাওয়ার কথা বললে তালাক হবে না তাই তহ?পরে আবার বলেছে স্ত্রী। সহ্য করতে না পেরে।একটু ভয় দেখানোর জন্য স্বামীকে।আর বলবে না।স্বামী কিছু কথা বলতেছিল স্ত্রীকে, স্ত্রী মেসেজে বলতেছিল হাতজোর করে বলতেছি আর কিছু বলিয়েন না দয়া করে।তবু যখন বলতেছিল স্বামী, তখন স্ত্রী নিজে মরে যাওয়ার কথা বলেছে।বলত না স্ত্রী, আপনি যেহেতু তালাক হবে না বলেছিলেন তাই স্ত্রী একটু ভয় দেখানোর জন্য মানে স্বামীকে থামানোর জন্য বলেছিল।কারন স্ত্রী  মরে যাবে বললে স্বামী আর কিছু বলবে না সেই বিষয়ে সেটা জানত স্ত্রী।এতে তহ সমস্যা হবে না মানে তালাক হবে না তাই না?

২। কমেন্টের নই উপরের ১ নং প্রশ্নে স্বামী যে দূরে থাক আমার থেকে খুজব না তোকে এমন কথাটা দ্বারাও তহ সমস্যা,হবে না তাই না? কারন স্বামী বলেছে মেয়েটার যে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে বলে নি।আর আপনিও বলেছেন উত্তরে প্রশ্নটার যে তালাক হবে না।

৩। কমেন্টে না,উপরে প্রশ্নের ১  নম্বর প্রশ্নটা বুঝেছিলেন নাকি আবার করব?

৪।কোন স্বামী দূরে চলে যাওয়ার উদ্দ্যশ্যে যদি রাগ করে বলে তুমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এখানে তালাকের উদ্দ্যশ্যে নয় বরং দূরে চলে যাবে সেটা বুঝাতে বললে রাগ বা অভিমান করে তাহলে কি তালাক হয়?

৫।শুনেছি স্ত্রী মেসেজে বা ফোনে তালাক না চাইলে। এমনকি স্ত্রী মেসেজে স্বামীকে তালাক দিবে বললেও এর পর স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললেও তালাক হয় না।এটা তহ সঠিক তাই না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...