আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
এক ভাইয়ের প্রশ্ন।

আসসালামু আলাইকুম,
আমার স্ত্রীর সাথে আলাদা সংসার শুরু করার সময় আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে  বটি, প্রেশার কুকার, প্লেট গ্লাস সহ কিছু জিনিস আমার স্ত্রীকে তার মা হাদিয়া দেন।আর আমি তাকে চুলা,ফ্রীজ,খাটসহ যাবতীয় জিনিস কিনে দিই।
পরবর্তীতে স্ত্রী মাতৃকালীন ছুটির জন্য বাপেরবাড়ি অবস্থান করতে চান। যেহেতু, বেশ কিছু মাসের জন্য ছুটি নেয়া তাই বাসা ছেড়ে দিয়ে সব জিনিসপত্র আমার বাবার বাড়ি নিয়ে আসি। আসার সময় আমি তাকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে তার জিনিস তারই থাকবে। আমার মাও এরকম বলেছিলো।
কিন্তু জিনিস পত্রগুলো আনার পর থেকেই আমার মা সেগুলো ব্যবহার শুরু করেছে। এমনও হয়েছে যে, আমার মার আগের ফ্রীজ অন্য কাজে ব্যাবহার করে এখন আমার স্ত্রীর ফ্রীজ তিনি ব্যবহার করছেন। আমার স্ত্রীকে না জানিয়েই আমি তাকে ব্যবহার করতে বলেছি। আর অন্য সব সে নিজের খেয়াল খুশি মত ব্যবহার করেন।
আমার বাবা-মা স্বামর্থবান।আমার মা নিজেই সরকারি চাকরীজীবী।
আমার স্ত্রী এখন বাসায় উঠতে চাচ্ছে আবার।তাকে নতুন করে আবার সব কিনে দিতে হবে এরকম দাবী করছে।যেহেতু তার আলাদা সেরকম সামর্থ্য নেই তাই আমি হয়ত তাকে কিছু জিনিস আবার কিনে দিব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে "এই যে তাকে না বলে তার জিনিসপত্র( এমনকি বাপেরবাড়ি থেকে আনার জিনিসও) আমার মা ব্যবহার করলেন, এতে কি আমার স্ত্রীর হক নস্ট হলো?"। আমি যদি আগের মত  কোয়ালিটির জিনিসপত্র তাকে আবার কিনে না দিই, সেক্ষেত্রে কি অন্যায় হবে? যেহেতু এখন আগের তুলনায় সবকিছুর মূল্য অনেক বেশি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জিনিষগুলো আপনার স্ত্রীর, তাই স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত এগুলোকে অন্য কারো ব্যবহারের জন্য দিতে পারবেন না।জায়েয হবে না।

তবে যেই সব জিনিষ আপনার ক্রয়কৃত।সেগুলোর মালিক আপনি,যদি তাকে গিফট না করেন। আপনার কৃয়কৃত ঐ জিনিষগুলোকে আপনি আপনার মায়ের ব্যবহারের জন্য দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...