আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ:--------

১@ মনে মনে তালাক উচ্চরণ করলে নিজের কানে শুনতে হবে কিন্তু মনে মনে তালাক উচ্চরণ করলে তো  সাধারণভাবে মাথায় চলে যায় মনে হলো শুনতে পেয়েছি। (  অনুরোধ করছে বুঝিয়ে বলবেন উচ্চারণ সম্পর্ক বিষয় টা।

২@ আমি ওয়াসওয়াসা রুগী , সুস্থ হবার জন্য ঘুমের ওষধ খাই , আনমনা হয়ে যখন তখন যা টা বলি , কিন্তু কাল থেকে মনে মনে উচ্চারণ হচ্ছিল তালাকে মলাজ্জা। আমার আখন গোসল করতে গিয়ে মনে মনে বলছি " আমি আমার নিজের নফসে তালাক, বা স্ত্রীর )

এই কথা মনে বলেছি দিয়ে ভাবছি উচ্চরণ হলো নাকি আমি গোসল করছিলাম মুখ হাঁ  বা খোলা অবস্থায় ছিল জিব নরেছি কিনা সেটা বোঝার জন্য অন্য কথা বলে দেখলাম । হুজুর বুঝতে পারছিনা । আমার কোনো উদ্দেশ্য ই ছিল না  , হটাৎ মুখে বা মনে চলে আসে , বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মনে এবং  হালহা মুখে। ( মনে মনে বললে তো মাথায় চলেযায় শুনতে পাওয়া বিষয় বুঝতে পারিনি।) কথা বলার সময় যোদি কি বললো সেটা স্পষ্ট শুনতে পেলনা শুধু বাতাস এর মত শব্দ হলো মুখে তাহলে কি হবে?  একটু বুঝিয়ে বলেন

মুখে উচ্চারণ হয়ে গেলে নিয়ত নেই আমি বুঝতে পারছি না কেমন উচ্চারণ এর কথা বলেছেন কিন্তু নিয়ত বা উদ্দেশ্য ছিল না।

*******ওয়াসওয়াসা র জন্য যদি এমন ছোট ছোট কথা বিনা উদ্দেশ্যে উচ্চারণ হয় তালাক হবে?

৩@ কোনো ছেলে যদি বলে আমি আমার নিজের নফসে তালাক দিলাম এই কথার মানে কি বোঝাই। ( Bisoy টা জানার জন্য বললাম।)

৪. হুজুর আমি কিছু খাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে আমার ঠোঁট এবং জিহবা নড়বে সাভাবিক। সেই সময় যদি তালাক এর কথা মনে পড়ে বা মনে ওই টা বার বার বিরক্ত করে তাহলে কি তালাক হবে?
দয়া করে প্রশ্নের জবাব দিবেন,,,,

৫. হুজুর আমার শশুর বাড়িতে স্ত্রী আমার ছবি তুলছিলো , আমি বললাম আবার যদি ছবি তোলা এইটা বলার পর মনে মনে ভাবনা  চলে আসে শর্ত  যুক্ত তালাকের কথা।তখন আমি মন কে পরিবর্তন করে  বললাম আবার ছবি তুললে আমি বাড়ি চলে যাবো । এতে কি তালাক হবে?

*********ভীষণ চিন্তিত শায়েখ সাহেব, উক্ত বিবরণে কি আমার তালাক হবে শায়েখ। দয়া করে একটু দেখবেন। খুব ভালোবাসি আমি আমর স্ত্রী কে। ওয়াসওয়াসা এর জন্য এমন হচ্ছে।
by (1 point)
প্রশ্নকারীকে পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পূর্ণ প্রশ্ন পড়েছি, আপনার বর্ণনাকৃত বিবরণ দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।এবং যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই কোনো প্রকার তালাও আপনার পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...