বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদিস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ
بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " جُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا " .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার জন্য (অর্থাৎ
আমার উম্মাতের জন্য) সমগ্র জমিনকে পবিত্র এবং মসজিদ (সাজদাহ্র স্থান) বানানো
হয়েছে। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-
৪৮৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى كَاهِنًا " .
قَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ " فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ " .
ثُمَّ اتَّفَقَا " أَوْ أَتَى امْرَأَةً " . قَالَ مُسَدَّدٌ
" امْرَأَتَهُ حَائِضًا أَوْ أَتَى امْرَأَةً " . قَالَ مُسَدَّدٌ
" امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى
مُحَمَّدٍ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট যায়; রাবী মূসা বলেনঃ আর সে ব্যক্তি তার কথায় বিশ্বাস করে; অথবা সে তাঁর স্ত্রীর নিকট গমন করে। রাবী
মুসাদ্দাদ (রহঃ) বলেনঃ অথবা সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত (অর্থাৎ গুমরাহ)
হলো। সুনান আবূ দাউদ, হাদিস নং- ৩৮৬৪
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي
دُبُرِهَا " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর
পশ্চদদ্বারে সহবাস করে সে অভিশপ্ত। সুনান আবূ দাউদ, হাদিস নং- ২১৫৯
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. নামাজ সহীহ হওয়ার জন্য
একটি শর্ত হলো নামাজের জায়গা পাক। তাই যদি নামাজের জায়গা পাক থাকে তাহলে নামাজ
সহীহ হয়ে যাবে। একটু দুরে কোনো নাপাকি থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তাই প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হবে। এতে কোনো
সমস্যা নেই।
২. না, উক্ত কাজ করলেই সে কাফের হয়ে
যাবে না। বরং তার অনেক বড় গোনাহ হবে। ফলে তাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা-ইস্তেগফার
করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, তবে যদি উক্ত কাজ কেউ
হালাল ভেবে করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। কেননা হারামকে হালাল মনে করে করলে কাফের হয়ে
যায়।