ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি সুরা বায়্যিনাহ এর 6 নাম্বার আয়াতে উলাইকা হুম এর জায়গায় হুমুল পড়ে নেয়, তাহলে আরবী ব্যাকরণের উল্টো হলেও তার নামায বাতিল হবে না।কেননা এখানে অর্থে কোনো পরিবর্তন আসছে না।হ্যা আরবী ভাষার রীতিনীতির খেলাফ হচ্ছে। মুযাফে আলিফ লাম চলে আসছে,যা নিষিদ্ধ ছিলো।
কেউ যদি সুরা বায়্যিনাহ এর ৭ নাম্বার আয়াতেও উলাইকা হুম এর জায়গায় হুমুল পড়ে তাহলে আরবী ব্যাকরণের উল্টো হলেও তার নামায বাতিল হবে না।কেননা এখানে অর্থে কোনো পরিবর্তন আসছে না।হ্যা আরবী ভাষার রীতিনীতির খেলাফ হচ্ছে। মুযাফে আলিফ লাম চলে আসছে,যা নিষিদ্ধ ছিলো।