আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
ইমদাদুল হুজুর আমি আপনার কাছে জানতে পেড়েছি যে মোবাইলে তালাকের মজলিস হয়না।এমনকি  দুইজন মানুষ হাটছে আর কথা বলছে তালাকের বেপারে তখনো  তালাকের মজলিস হবেনা। তালাকের মজলিস হওয়ার জন্য স্থির থাকতে হবে এবং  স্বামী স্ত্রী সামনা সামনি থাকতে হবে। আপনাদের ওয়েবসাইটে একজনের করা প্রশ্নের জবাবে  আপনি বলেছেন মেসেঞ্জারে তালাকের মজলিস হয়না। আপনাদের ওয়েবসায়েটার মাধ্যমে এবং আপনার মাধ্যমে আমি এটাও জানতে পেরেছি যে কেনায়া বাক্য শুধুমাত্র তালাকের মজলিশে বললে স্বামীর নিয়ত না থাকলেও তালাক হয়ে যায়।এছাড়া কেনায়া বাক্য বললে অবশ্যই তালাকের নিয়ত থাকতে হবে নতুবা তালাক হবেনা।

১. হুজুর আমার প্রশ্ন হলো মোবাইলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে আমাকে ছাইড়া দে আর স্বামীও যদি বলে  ওই তুই যা, কিংবা বলে তরে ছাইড়াই  দিবো তোর মতো বৌ দরকার নাই তুই যা কিংবা অন্য কোনো কেয়ানা বাক্য বলে তালাকের নিয়ত ছাড়া সেই ক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে?? মোবাইলে তো তালাকের মজলিস হয়না আর মজলিস না হলেতো কেনায়া বাক্য নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবেনা।

২, হুজুর আরেকটা বিষয় হলো আমরা যেহেতু দূরে থাকি আমি এক দেশে সে আরেক দেশে  আমাদের মধ্যে অনেক দিন স্বামী স্ত্রী সুলভ কোনো কথা হতোনা। আমার সাথে আমার বোন থাকতো আর আমার স্বামীও কথা বলার সময় সবার সামনে কথা বলতো  যার কারণে সুযোগ হয়নি।বা আমরাও সুযোগ খুঁজার চেষ্টা করিনি। আমার মন চাইতো ঠিকই কিন্তু সে বলেনা দেখে আমিও বলতাম  না। আমি মেয়ে মানুষ তো আর ডাইরেক্ট বলতে পারিনা। আমার খুব খারাপ ও লাগতো তো আমি তাকে বলসি  যে তোমাকেতো আমার পরপুরুষ মনে হয়।আমি তোমার জন্য পড়নাড়ি  হয়ে গেছি (আমার নিজের ওপর তালাক নিসি এই নিয়তে বলিনি হুজুর )আমার সাথে কথা বললে তোমার গুনা হবে। তো সে জবাবে বলতো ছি ছি ছি আবার হাসতো। সে যখন ভিডিও কল দিতো আমি তখন ইচ্ছা করে মাথায় ওড়না দিয়ে ঢেকে ঢুকে তার সামনে বসতাম যেনো সে বুঝে আমি কষ্ট পাচ্ছি কিংবা আমি তার কাছ থেকে কিছু চাই। তো সে কি কি জবাব দিতো আমার স্পষ্ট মনে নেই। সে মাঝে মাঝে বলতো সরি আর হবেনা। বা অন্য কিছু বলতো। তো আমি অনেক সময় তর্ক করতেই থাকতাম। সে আমাকে মোবাইলেও সময় দিতো কম বা আমাকে কল দিয়ে ফেইসবুক টিপত  ইউটুব দেখতো। তখন আমি জিদ করে বলতাম যে আমাকে কল দিয়ে এসব করলে কল দিতে হবেনা। সে সরি বললে আমি তাও অনেক সময় তর্ক করতাম যে হবেনা ঠিকই বোলো তাও হয়। এভাবে অনেক সময় অনেক রাগ রাগী হয়ে যেতো। আমি তাকে বলতাম তুমি কি এমন করো সারাদিন আমাকে একটা কল দেওনা। আমার নিজেকে মনে হয় আমি স্বামী থাকতেও সিঙ্গেল। আমি খুব একাকিত্বে ভুগি। আমার মনে হয় আমি স্বামী থাকতেও বিধবা (একটা কোথাও আমার নিজের ওপর তালাক নিবো বা নিলাম এই নিয়তে বলিনি )তোমাকে আমার পরপুরুষ মনে হয়। তো সে হয়তো বলতো তোমার যা মনে হয় তাই মনে করো। বা তোমার যা মনে হয় তুমি সেটা নিয়ে বসে থাকো বা বলতো তোর যা মনে হয় তাই । বা বলতো পরপুরুষ মনে হলে পরপুরুষই। আমি তবুও তর্ক করতে থাকতাম  যে কেনো আমি একটু সময় পাইনা কেনো তোমার সাথে আমার স্বামী স্ত্রী সুলভ কোনো কথা হয়না। এগুলো কি আমার হক না আমি তোমার কাছে এসব পাওনা না। আমার হক এর দাবি আমি ছাড়বোনা। তো সে হয়ত বলতো না ছাড়লে নাই। আমি আবারো তর্ক করলে সে এক সময় বিরক্ত হয়ে বলতো আমি এমনি তোর থাকতে মন চাইলে থাক না মন চাহিলে যা। তখন আমি হয়ত বলতাম কিছু হলেই বোলো যাওগা বা তরে তালাক দিমু এসব কেমন কথা আমার কষ্ট লাগে কিংবা বলতাম যে আমি যাবোইগা (নিজের ওপর তালাক নিবো এই নিয়তে বলিনি  হুজুর  আমার হয়তো অনেক রেগে মাথায় এটা আসতো যে এই বেটারে ছেড়েই দিবো তালাকি দিয়ে দিবো তাকে তালাক দিবো নিজের ওপর নিবো কখনোই  মাথায় আসেনি )তখন সে অনেক সময় গালি গালাজ করতো।আমি তাকে পরকীয়া  করবো এমন হুমকিও দিসি সেও বলতো পারলে তুই কর আবার হয়তো বলতো তুই করলে আমি কি বইসা থাকবো নাকি।কিংবা কি বলতো মনে নাই।ঘটনা গুলো কোনটা আগে কোনটা পরে এসবও আমার মনে নাই আর এসব একদিনের বা এক সময়ের ঘটনাও  না একেক সময়ে  মোবাইলে মেসেজে ভিডিও কল  এর ঘটনা ।হুজর আমার একেক সময় একেকটা বিষয় মনে পরে তাকে আগে জিজ্ঞেস করলে সে বলতো কোনোদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলেনি। তাকে আমি অনেক বার প্রশ্ন করসি যে ঝগড়া  হলেই বোলো তুই যা বা অনেক কথাই বলো সেগুলো কি তালাকের নিয়তে বলো সে বলতো না আমি কোনোদিনই তালাকের নিয়তে কিছুই বলিনি। হুজুর এখন যদি তাকে আমি এই বিষয়টা  আমার জিজ্ঞেস করি সে খুবই রেগে যাবে বা বিরক্ত হবে। আমি তাকে বিরক্ত করতে চাইনা। হুজুর তাকে কি আমি প্রশ্ন করবো আবারো?? আমি কোনদিন তাকে এই সমস্ত কথা নিজের ওপর তালাক নিবো এই নিয়তে বলিনি  কোনোদিনই না। আমি বলতাম যাতে সে বুঝে আমি তার থেকে সময় চাই তার থেকে স্বামী স্ত্রী সুলভ কথা বার্তা চাই। এই জন্যই বলতাম। হুজুর এসব কি তালাক হয়ে যায়???

 ৩.তার এই মোবাইল টিপা নিয়ে আমাকে সময় না দেওয়া নিয়ে আমাদের দেশে থাকতেও অনেক ঝগড়া  হইসে। কি কি কথা হইসে আমার মনে নাই। সে আমার বাবার বাসায় যেতে চাইতোনা  বেশি একটা কিংবা আজকে কালকে এভাবে ঘুরাইতো। তো অনেক সময় রাগ রাগির এক পর্যায়ে বলতো যাবোইনা তোর কাছে (সহবাস  করবোনা এই কথা কোনোদিন বলেনি বা আল্লাহর নাম কসম  করসে কিনা সেটাও মনে নেই )তুই কি করবি কর। তোর এতো প্রয়োজন হলে তুই আয় তুই আসবি আমার বাড়ি। আমি বলতাম আমিও যাবোনা। কি কি কথা যে হতো আমার মনে নাই। তবে আমি কোনোদিনই নিজের ওপর তালাক নিবো এই নিয়তে তাকে কিছুই বলিনি কোনোদিনই না।

.৪.হুজুর একদিন মোবাইলে ঝগড়ার  এক পর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে বলতেসিলো  তরে আমি ছাইড়া  দিবো তোর তরে আমার দরকার নাই। আমিও বলসি দে ছাইড়া দে তুই ছাইড়া দিলে আমার কি এমন হবে। সেও বলসে ওই তরে ছাইড়া দিলে আমার কি হবে তুই না থাকলে আমার কি এমন হবে
আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি।আমার কিছুই হবেনা তুই না থাকলে। তারপর কথা কাঁটা কাটির এক পর্যায়ে সে বলসে ওই তুই যা তুই ফোন রাখ। কি কি বলসে আমার স্পষ্ট মনে নাই।

৫. হুজুর আমার ঠিক মনে নেই তবে সন্দেহ থেকে জানতে চাচ্ছি। আমার স্বামী আমাকে কোনোদিন হয়ত  বলসে তরে আমি ছাইড়া দিমু আমিও সাথে সাথেই বলসি দে ছাইড়া। তারপর সে হয়ত  বলসে ছাইড়া  দিবো তুই যা কিংবা বলসিলো তরে ছাইড়াই দিবো তোর মতো ঝামেলা রাখবো নাকি কিংবা কি বলসিলো  আমার মনে নাই। আমি তার কথার জবাব দেওয়ার পর সে কি বলসিলো  আমার কিছুই মনে নাই। বা এমন ঘটনা  ঠিক বাস্তবে সামনা সামনি ঘটসিলো  কিনা মনে নাই তবে আমার মনে হচ্ছে সে বলসিলো  তরে ছাইড়া দিমু আমিও বলসি  দে। আমি দেশে থাকার সময়ের ঘটনা  মনে হয়। এটা কি সামনা সামনিই হইসে নাকি মোবাইলে হইসে তাও মনে নাই। মনে হচ্ছে হয়ত  সামনা সামনি। এই ক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে??মনে হইতেসে ঘটনা  সামনা সামনি থাকা কালীনই। আর ঘটনার  সময় আমি আর আমার স্বামী আমরা বসে ছিলাম কিনা নাকি আমি বসে ছিলাম সে দাঁড়িয়ে ছিলো নাকি সে বসে ছিলো আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম নাকি আমি বসে ছিলাম সে ঘরের মধ্যেই নরা চড়া করে জবাব দিচ্ছিলো আমার কিছুই মনে নাই আমার চোখে ভাসে আমি বসে আছি সে দাঁড়িয়ে আছে ।হুজুর আমার স্পষ্ট করে কিছুই মনে নাই। এসব ভাবনা মাথায় আসতেসে তাই বলতেসি। হুজুর আমার মানে হচ্ছে আমি আমার সংসারটা বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলতেসি  কারণ আমি জানি এভাবে কথা হলে তালাকের মজলিস হয়ে যায় তাই আমার ঘর যেনো না ভাঙে আমি বুঝি মিথ্যা বলতেসি এমন মনে হচ্ছে।হুজুর আমি সত্যি মিথ্যা বলছিনা। আমার মানে নাই আর আমি মনে করতেও চাইনা।

৬.মোবাইলেও প্রায়ই সে বলতো ঝগড়া হলে তরে আমি ছাইড়া  দিমু। কিন্তু আমার জবাব বা পরের কথা আমার আর কিছুই মনে নাই। হয়তো বলসি দে ছাইড়া কিংবা হয়তো বলসি কিছু হলেই খালি বোলো ছাইড়া দিমু।সামনা সামনি ছাইড়া দিমু বললেও আমি হয়ত কোনোবার বলসি দে ছাইড়া আবার কোনোবার বলসি যে কিছু হলেই খালি  ছাইড়া দিমু বলো। হুজুর আমার স্পষ্ট কিছুই মনে নাই।

৭. আরেকদিন সে মোবাইলে আমাকে লিখসে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি আবার বলসি তোমার এই ফরমালিন  যুক্ত ভালোবাসার  আমার দরকার নাই। যে মানুষ কিছু হলেই বলে বৌ ছাইড়া দিমু তার ভালোবাসার  আমার দরকার নাই। সে আবার জবাবে লিখে তো আর কি করবো নাকি লিখসে কি বলবো। তারপর আর মনে নাই আমার। মেসেজ আমি আর ঘাঁটতে চাইনা। এসব দেখলে আরো সন্দেহ লাগে।
৮. আরেকদিন সে বলসিলো মনে  হয় অশান্তি করলে তরে আমি রাখমু বুঝি অশান্তি করলে তরে বিদাই কইরা দিমু।হুজুর এটা কি শর্ত  যুক্ত তালাক???আমার স্বামীকে আমি। জিজ্ঞেস করসিলাম তুমি যে ঝগড়া  হলে  প্রায়ই এসব কেনায়া বাক্য বোলো এগুলোকি তালাকের নিয়তে বোলো সে বলসে না কোনোদিনই তালাকের নিয়তে বলিনা। কোনো নিয়তেই বলিনা।

এখন তাকে আবারো এই প্রশ্ন করলে সে রেগে যাবে বিরক্ত হবে। হুজুর আমি কি করবো??

হুজুর স্পষ্ট করে কিছুই মনে নাই। হুজুর আমি কি যিনারা ভাগি হবো  হুজুর। আমার মনটা বলতেসে আমি আমার সংসার টা বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলতেসি। কিন্তু হুজুর আমি সত্যি কোনোদিন মিথ্যা বলছিনা। আল্লাহর কসম আমার মনও নাই কিছু। কিন্তু লিখাটা লিখার সময় আমার মনে এই ভয়টা ছিলো যে আমার সংসার বুঝি ভেঙে যাবে। হুজুর আমার যা যা মনে আসে তাই লিখসি। আপনাকে বার বার বিরক্ত করি কারণ আমার মাথায় সর্বক্ষণ এসব ঘুরে। হুট করে কি কি মনে হয় তখন আমার মনে হয় আপনাকে জানানো আমার দায়িত্ব। আপনাকে না জানালে আমার গুনা হবে তাই আমি বার বার আপনাকে জানাই হুজুর।
হুজুর আমি পাগল হয়ে যাইতেসি। আপনি কল  কেটে দেয়ার পর কিছুক্ষন ভালোই ছিলাম তারপর মাথায় আবার এসব প্রশ্ন আসতেসে। হুজুর আমাকে আপনি সুন্দর করে লিখে  দিন যেনো আমি বার বার কিছু মনে হলেও আপনার লিখা পরে মনটাকে বুঝাতে পারি।হুজুর আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দেন। আমি আমার সংসারটা হারাতে চাইনা। হুজুর আমি কি করবো আমি কি মানসিক ডাক্তার দেখাবো নাকি সব চিন্তা বাদ দিয়ে দেবো নাকি কই যাবো কি করবো আমার মাথা আর কাজ করেনা। আমি এসব ভাবতেই চাইনা তাও এসব মাথায় আসে। এতো টেনশন এতো ওয়াসওয়াসা নিয়ে একটা মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মোবাইলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে আমাকে ছাইড়া দে আর স্বামীও যদি বলে  ওই তুই যা, কিংবা বলে তরে ছাইড়াই  দিবো তোর মতো বৌ দরকার নাই তুই যা কিংবা অন্য কোনো কেয়ানা বাক্য বলে তালাকের নিয়ত ছাড়া সেই ক্ষেত্রে তালাক হয়ে যাবে। এখানে মুযাকারায়ে তালাক হয়ে গেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...