আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,

স্ত্রী কে এক তালাক বলার পর ৩ ঘণ্টার বা ১ দিন এর মধ্যে যদি সহবাস করে ভালোবেসে তৌবা করা ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাহলে কি সেই তালাক কার্যকর হয়না ? ( এক্ষেত্রে ঘোষণা হয় মাত্র)

৯০ দিন এর আগে মেলামেশা না করে তাহলে১ তালাক  কার্যকর হয়।

হুজুর যেহেতু কোনো ব্যাক্তি ১ তালাক বলার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে তৌবা করে ।
উক্ত ব্যক্তির তালাক তো কার্য হয়নি।  তাহলে সে কি এখনও তিন তালাকের মালিক থাকবে ?
বিস্তারিত বলবেন, ওয়াসওয়াসা নিয়ে বলে ফেলেছে আবার সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নিয়েছে তাহলে কি তাদের সব  কিছু ঠিক আছে?
এক্ষেত্রে কি সে তিন তালাকের মালিক থাকবে? যেহেতু ১ মাস তো দুর এ থাক ১ দিন ও অতিবাহিত হতে দেই নি খুব জরুরী। একটু বুঝিয়ে উত্তর দিবেন বিশেষ অনুরোধ রইলো। ( অনেক আলেম এর এইরকম ই মত। আপনি আমাকে সঠিক জানান)

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে রজয়ী তালাক হয়।
সেক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে রজয়াত করতে হয়।

আর ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পরে ফিরিয়ে নিলে তালাকটি বায়েন হয়ে যায়,তাই এক্ষেত্রে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হয়।

আর কেনায়া বাক্যে স্ত্রীকে তালাক দিলে সর্বাবস্থায় তাকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হয়।

স্পষ্ট বাক্যে এক তালাক/তালাক বললেই তালাক হয়ে যায়। এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়।
এখন উক্ত স্ত্রীকে ইদ্দতকাল (তিন হায়েজ) অতিবাহিত হওয়ার আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে রজয়াত করতে হবে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,

ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২১৯৪; সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১১৮৪]

★স্পষ্ট বাক্যে এক তালাক বা দুই তালাক দেয়ার পর স্বামীর অধিকার থাকে, স্ত্রীকে ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রাজআত করা তথা স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা। 

রাজআত দু’ভাবে হতে পারে–
১. কথার মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। যেমন সরাসরি অথবা ফোনে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে একথা বলা যে, ‘তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলাম’। একথার মাধ্যমে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।
২. কর্মের মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে এমন কোনো আচরণ দেখানো যা একজন স্বামী একজন স্ত্রীর সঙ্গেই দেখাতে পারে। যেমন তাকে চুমো দেয়া কিংবা তার সঙ্গে সহবাস করে নেয়া ইত্যাদি। এজাতীয় কর্মের মাধ্যমেও তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রজয়ী তালাকের ক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার
আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে রজয়াত করতে হবে।

আর যদি স্ত্রীকে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার
আগেই ফিরিয়ে নিতে না পারে,যদি ইদ্দতকাল শেষ  হয়ে যায়,এক্ষেত্রে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীকে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য করে মুখ দিয়ে তালাক শব্দ বের হলেই বা লিখলেই তালাক হয়ে যাবে।
যদি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফিরিয়ে নেয়,তবুও সেই এক তালাক পতিত অবস্থায় থেকেই যাবে।
তাহা মুছে দেয়ার সুযোগ নেই।
,
এক্ষেত্রে তাকে ফিরিয়ে নিলে স্বামী পরবর্তীতে  আর দুই তালাকের মালিক থাকবে।
,
পরবর্তীতে দুই তালাক দিলেই স্ত্রী তার জন্য পুরোপুরি হারাম হয়ে যাবে।
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত কোনোভাবেই তাকে বিবাহ করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
কিভাবে প্রশ্ন করব?
by (574,260 points)
Ask a question এখানে গিয়ে প্রশ্ন করুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...