জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
জমি যদি মসজিদের হয়,তাহলে উক্ত জমি কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা।
কেউ ব্যবহার করতে চাইলে ভাড়ায় নিয়ে ভাড়া পরিশোধ করে দিতে হবে।
তাই মসজিদের জমিতে যদি কোনো গাছ লাগানো হয়,বা এমনিতেই হয়, সেই গাছ ও ফল কেবলি মসজিদের জন্যই ব্যবহার করতে হবে। কেউ ফল খেতে চাইলে মূল্য পরিশোধ করে খেতে হবে।
আর মসজিদের জন্য নিজের ব্যক্তিগত গাছ লাগানো বৈধ নয়। সেই হিসেবে গাছ যে ব্যক্তিই রোপন করুক না কেন নিজের প্রয়োজনে লাগালে সেটি তার জন্য বৈধ হবে না।
প্রয়োজনে ভাড়া নিয়ে উক্ত জমি থেকে উপকৃত হওয়া যাবে।
وَفِي الْهِنْدِيَّةِ عَنْ الْغَرَائِبِ: إنْ كَانَ لِنَفْعِ النَّاسِ بِظِلِّهِ، وَلَا يُضَيِّقُ عَلَى النَّاسِ، وَلَا يُفَرِّقُ الصُّفُوفَ لَا بَأْسَ بِهِ، وَإِنْ كَانَ لِنَفْعِ نَفْسِهِ بِوَرَقِهِ أَوْ ثَمَرِهِ أَوْ يُفَرِّقُ الصُّفُوفَ، أَوْ كَانَ فِي مَوْضِعٍ تَقَعُ بِهِ الْمُشَابَهَةُ بَيْنَ الْبِيعَةِ وَالْمَسْجِدِ يُكْرَهُ. اهـ.
هَذَا، وَقَدْ رَأَيْت رِسَالَةً لِلْعَلَّامَةِ ابْنِ أَمِيرِ حَاجٍّ بِخَطِّهِ مُتَعَلِّقَةً بِغِرَاسِ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى رَدَّ فِيهَا عَلَى مَنْ أَفْتَى بِجَوَازِهِ فِيهِ، أَخْذًا مِنْ قَوْلِهِمْ: لَوْ غَرَسَ شَجَرَةً لِلْمَسْجِدِ فَثَمَرَتُهَا لِلْمَسْجِدِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ بِأَنَّهُ لَا يَلْزَمُ مِنْ ذَلِكَ حِلُّ الْغَرْسِ إلَّا لِلْعُذْرِ الْمَذْكُورِ لِأَنَّ فِيهِ شَغْلَ مَا أُعِدَّ لِلصَّلَاةِ وَنَحْوِهَا، وَإِنْ كَانَ الْمَسْجِدُ وَاسِعًا أَوْ كَانَ فِي الْغَرْسِ نَفْعٌ بِثَمَرَتِهِ، وَإِلَّا لَزِمَ إيجَارُ قِطْعَةٍ مِنْهُ، وَلَا يَجُوزُ إبْقَاؤُهُ أَيْضًا، لِقَوْلِهِ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – «لَيْسَ لِعِرْقِ ظَالِمٍ حَقٌّ» لِأَنَّ الظُّلْمَ وَضْعُ الشَّيْءِ فِي غَيْرِ مَحَلِّهِ، وَهَذَا كَذَلِكَ إلَخْ مَا أَطَالَ بِهِ. (رد المحتار، كتاب الصلاة، مطلب فى الغرس فى المسجد-2/435)
যার সারমর্ম হলো মসজিদের জমি নিজের জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
سُئِلَ نَجْمُ الدِّينِ عَنْ رَجُلٍ غَرَسَ تَالَّةً فِي مَسْجِدٍ فَكَبُرَتْ بَعْدَ سِنِينَ فَأَرَادَ مُتَوَلِّي الْمَسْجِدِ أَنْ يَصْرِفَ هَذِهِ الشَّجَرَةَ إلَى عِمَارَةِ بِئْرٍ فِي هَذِهِ السِّكَّةِ وَالْغَارِسُ يَقُولُ: هِيَ لِي فَإِنِّي مَا وَقَفْتهَا عَلَى الْمَسْجِدِ، قَالَ: الظَّاهِرُ أَنَّ الْغَارِسَ جَعَلَهَا لِلْمَسْجِدِ فَلَا يَجُوزُ صَرْفُهَا إلَى الْبِئْرِ وَلَا يَجُوزُ لِلْغَارِسِ صَرْفُهَا إلَى حَاجَةِ نَفْسِهِ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
فِي فَتَاوَى أَهْلِ سَمَرْقَنْدَ مَسْجِدٌ فِيهِ شَجَرَةُ تُفَّاحٍ يُبَاحُ لِلْقَوْمِ أَنْ يُفْطِرُوا بِهَذَا التُّفَّاحِ قَالَ الصَّدْرُ الشَّهِيدُ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -: الْمُخْتَارُ أَنَّهُ لَا يُبَاحُ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الوقف، فصل فى الأشجار-2/477، المحيط البرهانى-9/149)
যার সারমর্ম হলো মসজিদের নামে ওয়াকফ কৃত জমি অন্য কেহ ব্যবহার করতে পারবেনা।
,
আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত জমি সরকারী জমি হয়ে থাকে,তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে যদি নিষেধাজ্ঞা না থাকে,তাহলে উক্ত জমি ব্যবহার করা,সেই জমির গাছের ফল খাওয়া জায়েয আছে।
আর যদি সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকে,তাহলে সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব জমি ব্যবহার, গাছের ফল খাওয়া সবই নাজায়েজ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২। মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
فى الدر المختار- لا يجوز التصرف فى مال غيره بلا اذنه ولا ولايته ( الدر المختار مع الشامى -9/291
অন্যের সম্পদ অনুমতি ব্যাতিত ব্যবহার জায়েজ নেই।
وفى شرح المجلة- لا يجوز لأحد ان يتصرف فى ملك غيره بلا اذنه او وكالته او ولايته عليه وان فعل كان ضامنا( شرح المجلة-1/262)
অন্যের সম্পদ অনুমতি ব্যাতিত ব্যবহার জায়েজ নেই। তবে অনুমতি স্বাপেক্ষে হলে তা জায়েজ আছে।