আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (108 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,কয়েকজনের সাথে থাকলে গুনাহ কম হয় একা থাকলে বেশি হয়,কারণ সবার সামনে গুনাহ করতে লজ্জা লাগে।

এজন্য একজন সব সময় কয়েকজনের সাথে থাকে যাতে গুনাহ না হয়।কিন্তু এই চিন্তা কি প্রবলেমেটিক না? যেহেতু রিয়ার এক প্রকার

২ স্বামী স্ত্রী লুডু খেলা ক্যারম খেলা কি জায়েজ

৩,বর্তমানে অনেক  সময় স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ ও আর এইচ ফ্যাক্টর এক থাকার কারণে সন্তানে সমস্যা দেখা দেয়।

দুটো পাত্রীর মাঝে একজনের সাথে পাত্রের টা মিলে কিন্তু সে দ্বীনদার বেশি,আরেকজন দ্বীনদার কম কিন্তু তার ব্লাড গ্রুপ মেলেনা।কাকে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া উচিত?

৪,বিয়ের পর যদি টের পাওয়া যায় যে স্বামী স্ত্রীর এসব ব্লাড গ্রুপ সেম,তাহলে কি এই কারণে বিয়ে ভেংগে দেয়া যাবে?

৫,অযুতে গড়গড়া করি কুলির সময় তবে গলায় পানির স্বাদ লাগে মত ভাবে কুলি করিনা,এতে কি অযু হবে? গড়গড়া কি করতেই হবে?,

৬,ছেলে শিশু মায়ের বুকের দুধ খাবার সময় নিপল চোষার সময় মা উত্তেজনা অনুভব করে।অনিচ্ছা সত্বেও তা চলে আসে।এর কারণে কি হুরমত হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
গুনাহ থেকে বাঁচতে উলামায়ে কেরামগন বলেন যে
আল্লাহওয়ালাদের সোহবত গ্রহন করুন। তাদের মজলিসে আসা যাওয়া করুন। এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাওবার উপর অটল থাকা আপনার জন্য সহজ হবে।  

আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ

 হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই চিন্তায় প্রব্লেম নেই।
গুনাহ থেকে বাঁচতে একাকিত্ব পরিহার যদি সহায়ক হয়,তাহলে এই পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে,তবুও গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।

(০২)
স্বামী স্ত্রীর লডু/কেরাম খেলা যদি সময় কে অতিবাহিত করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে -যেমন অধিকাংশ সময় এটাই উদ্দেশ্য হয়- তাহলে এটাও নাজায়েয খেলার আওতাধীন হবে। কিন্তু শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে স্বামী স্ত্রী যদি কেউ লডু খেলে এবং উক্ত লডুতে হারাম কোনো ছবি না থাকে, এবং তাতে জুয়া ইত্যাদি না থাকে, তাহলে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★দ্বীনদারকেই রাসুলুল্লাহ সাঃ প্রাধান্য দিতে বলেছেন।
সুতরাং আপনার প্রতিও একই পরামর্শ থাকবে।
আপনি দ্বীনদার পাত্রীকেই প্রাধান্য দিবেন।

(০৪)
না,এটি শরীয়তে তালাক দেয়ার গ্রহনযোগ্য কোনো কারন নয়।

শুধু এই কারনে স্ত্রীকে তালাক দিলে স্বামীর মারাত্মক গুনাহ হবে।

(০৫)
হ্যাঁ এতেও অযু হয়ে যাবে।
গড়াগড়ি করা ফরজ নয়,তাই না করলেও অযু হয়ে যাবে।

(০৬)
না,এতে হুরমত হবেনা।

কেননা এক্ষেত্রে হুরমত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য ছেলে সন্তানের বালেগ হওয়া আবশ্যক। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...