ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
গুনাহ থেকে বাঁচতে উলামায়ে কেরামগন বলেন যে
আল্লাহওয়ালাদের সোহবত গ্রহন করুন। তাদের মজলিসে আসা যাওয়া করুন। এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাওবার উপর অটল থাকা আপনার জন্য সহজ হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই চিন্তায় প্রব্লেম নেই।
গুনাহ থেকে বাঁচতে একাকিত্ব পরিহার যদি সহায়ক হয়,তাহলে এই পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে,তবুও গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
(০২)
স্বামী স্ত্রীর লডু/কেরাম খেলা যদি সময় কে অতিবাহিত করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে -যেমন অধিকাংশ সময় এটাই উদ্দেশ্য হয়- তাহলে এটাও নাজায়েয খেলার আওতাধীন হবে। কিন্তু শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে স্বামী স্ত্রী যদি কেউ লডু খেলে এবং উক্ত লডুতে হারাম কোনো ছবি না থাকে, এবং তাতে জুয়া ইত্যাদি না থাকে, তাহলে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
★দ্বীনদারকেই রাসুলুল্লাহ সাঃ প্রাধান্য দিতে বলেছেন।
সুতরাং আপনার প্রতিও একই পরামর্শ থাকবে।
আপনি দ্বীনদার পাত্রীকেই প্রাধান্য দিবেন।
(০৪)
না,এটি শরীয়তে তালাক দেয়ার গ্রহনযোগ্য কোনো কারন নয়।
শুধু এই কারনে স্ত্রীকে তালাক দিলে স্বামীর মারাত্মক গুনাহ হবে।
(০৫)
হ্যাঁ এতেও অযু হয়ে যাবে।
গড়াগড়ি করা ফরজ নয়,তাই না করলেও অযু হয়ে যাবে।
(০৬)
না,এতে হুরমত হবেনা।
কেননা এক্ষেত্রে হুরমত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য ছেলে সন্তানের বালেগ হওয়া আবশ্যক।
বিস্তারিত জানুনঃ-