আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (68 points)
edited by
১. আমি যদি বলি যে, আল্লাহ সাক্ষী "আমি তোমাকে আর বাড়তি পর্দা করতে বলবো না, (পর্দায় মুখ হাত খোলা রাখার বিষয়ে) এটা কি শপথ হিসাবে গণ্য হবে?

২. আমি অনেক আগে এইরকম কথা বউকে বলেছিলাম তার পর ও উত্তম ভাবে পর্দা করার কথা বলি, এই বলার দ্বারা কি আমার কুফর হয়েছে? বা শপথ  হলে শপথ ভেঙেছে?

৩.আমি কি তাকে আরো পর্দার কথা বলতে পারবো?

৪. আমি প্রায়ই বলি যে, আল্লাহ সাক্ষী "আমি এমন টা করি,/ এমনটা করি না/এমননটা করি কি না উনি দেখেন " এভাবে বলায় কি সমস্যা আছে?

৫.এভাবে আল্লাহ সাক্ষি বলে মিথ্যা বলে ফেলি তবে কুফর হবে?
নাহ কি গুনাহ হবো শুধু?

৬.আমার বউ একদিন বলেছিলো তুমি হুজুর হয়ে যাচ্ছো' "আমার হুজুর কখনো পছন্দ না, হুজুর হইলে আমারো হুজুরনি হওয়া লাগবো "এতে কি কুফরি হয়েছে?

৭.কেও যদি ভাবতেছিলো "কুফর হয়ে গেলে তো সমস্যা না, তওবা করে কালিমা পড়লে হয়ে যাচ্ছে বিবাহ দোহরানো সমস্যা " তার পরপর মনে হলো কুফর হয়ে গেলে সমস্যা না মানে কি ইটা তো বড় সমস্যা।  এর পর তওবা করলো। এতে কি কাফের হবে? কুফরে সন্তুষ্ট থাকার জন্য?

৮. কেও যদি বলে এটা ভাবে বা বলে যে " হিন্দুস্থানের সকল বাসিন্দাদের হিন্দু বলা হতো এই হিসাবে আমরা সবাই হিন্দু " তাহলেও কি সে কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কসম হবে কেবল আল্লাহর নামে অথবা তার কোন গুনের নাম নিয়ে অথবা  কুরআনের কসম করে।
অন্যথায় তাহা জায়েজ নয়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، سَمِعَ رَجُلاً، يَقُولُ لاَ وَالْكَعْبَةِ . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يُحْلَفُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَفُسِّرَ هَذَا الْحَدِيثُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ قَوْلَهُ " فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " عَلَى التَّغْلِيظِ . وَالْحُجَّةُ فِي ذَلِكَ حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ وَأَبِي وَأَبِي . فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ " . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ فِي حَلِفِهِ وَاللاَّتِ وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا مِثْلُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّ الرِّيَاءَ شِرْكٌ " . وَقَدْ فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذِهِ الآيَة : ( وَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحًا ) الآيَةَ قَالَ لاَ يُرَائِي .

 ইবনে উমার (রঃ) একটি লোককে বলতে শুনলেন ‘না, কাবার কসম!’ তিনি তাকে বললেন, ‘আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম খেও না। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহ নামে কসম করে, সে কুফরি অথবা শিরক করে।” (আবু দাউদ ৩২৫১, তিরমিজি ১৫৩৫ নং)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটি শপথ হিসাবে গণ্য হবে।

(০২)
এই বলার দ্বারা আপনার কুফর হয়নি।
আর যেহেতু সেটি শপথই নই,তাই শপথ ভঙ্গ হয়নি।
ওয়াদা ভঙ্গ হয়েছে।

(০৩)
হ্যাঁ পারবেন।
এটি আপনার দায়িত্ব। 

তিনি বেপর্দা চললে আপনি বাধা না দিলে আপনি দাইয়ুসের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

(০৪)
এভাবে বলায় সমস্যা নেই।

তবে মিথ্যা কিছু বললে মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।

(০৫)
কুফর হবেনা।
গুনাহ হবে।

(০৬)
এতে কুফর হয়নি।

(০৭)
এতে সে কাফের হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে সে কাফের হবেনা।
তবে ধর্মের ভিত্তিতে নিজেকে হিন্দু বলে কেউ নিজেকে পরিচয় দিলে সে কাফের হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...