আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
406 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম  ।

(তালাক দেবার কোন ইচ্ছা আমার নাই তবু এই সমস্যা গুলি  আমার সাথে ঘটছে, শুধু আমি জানি এটা কতটা কষ্টকর)

১. এতো বড় বড় কথা বলছো আবার কোলের ভিতর শুতে আসছো কেন? এটা কি কেনায়া শব্দ?
২. তালাকের নিয়তে এটা বললে কি তালাক হবে?

৩. তালাক শব্দ লিখতে গেলে মনে হচ্ছে তালাক দিয়ে দিলাম এমন কথা মনের ভিতর চলে আসছে। এতে কি তালাক হবে?

৪.ওয়াসওয়াসা রোগ আছে  আমার। সবসময় তালাক দিয়ে দিলাম, তালাক দিয়ে দিলাম মনের ভিতর চলতে থাকে। তাই ওয়াইফ এর সাথে  সাধারণ কথা বলতে গিয়ে ভয় হচ্ছে। যেহেতু মনে  সবসময় এটা চলে তাই এটা কি আমার নিয়ত বলে ধরা  হবে?

৫. কয়েকদিন আগে পড়েছিলাম যে, ওয়াইফকে"যা খুসি তাই কর" এটা কেনায়া শব্দ। তারপর আজ আমার ওয়াইফ বলছে কি রান্না করবো? আমি বললাম যা খুসি তাই কর। এটা বলার সাথে আমার মনে হচ্ছে এটা তো কেনায়া শব্দ। তখনি আমি মনে মনে বলছি তালাক দিলাম। বা এমন কথা আমার মনে চলে আসছে। কিন্তুু আমি স্বাভাবিক ভাবে তালাক দিতে চাই না। এরকম হলে কি তালাক হবে?

৬.আমি ওয়াইফ এর সাথে কোন একটা কথা বললে তখনি মনে চলে আসছে তালাক দিলাম। এখন আমার কি করনিয়?

৭.ওয়াইফকে রাগ করে বললাম, যাও,এখান থেকে যাও।তারপরেই মনে করে ফেলছি  তালাক দিলাম। আমি এই জ্বালা আর সহ্য করতে পারছি না হুজুর। এজন্য কি তালাক হবে?

৮.ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। আর একবার হালকা রাগ হলে বলি, তোমার শুধু " তারপর থেমে যায়। এতে কি কোন সমস্যা হবে?

৯.বেশ কিছুদিন আগে একবার বলেছিলাম "তোমার প্রয়োজন নেই" যতদুর মনে পড়ে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলিনি। কিন্তুু এখন বার বার মনে পড়ছে। মন বলছে তালাক দেবার উদ্দেশ্য ছিল কি ছিল না। এটা ভেবে এখন কষ্ট পাচ্ছি। এখন কি করা উচিত? এই চিন্তা থেকে বাচার জন্য!

১০.একবার আমার ওয়াইফ এর সাথে ঝামেলার জন্য সে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে আমার কয়েকজন খালা বাসায় আসে। সম্ভবত আমার ওয়াইফ এর খারাপ দিক নিয়ে কথা হচ্ছিল।  তাদের সাথে আর কি কথা হয় মনে নেই। শুধু আমার একটা কথা মনে আছে, আমি বলেছিলাম ডি এন এ টেষ্ট করে যদি সন্তান আমার হয় তাহলে সংসার করবো নতুবা নয়। এটা কি তালাকের মজলিশ বলে গন্য হবে?

★এসব ভাবতে ভাবতে সারাদিন মন খারাপ থাকে। নামাজে দাড়িয়ে যখন রুকু সিজদা করছি তখন মুখে তাছবিহ পড়ছি কিন্তুু মনে তালাক দিলাম, তালাক দিলাম চলতে থাকে। টেনশন হয় কখন মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি?

আমি তাদের নিয়ে ভালভাবে থাকতে চায়। কিন্তুু আমার সাথে কেন এমন হচ্ছে?

যদি প্রয়োজন হয় !  আমার আগের প্রশ্ন ও আপনাদের উওর ঃ

https://ifatwa.info/53042/
----------------------------------------------
-----------------------------------------------

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সবগুলি লেখা পড়ে তারপর বলছি, উপরে আপনি তালাকের যত প্রশ্ন করেছেন, কোনোটাতেই তালাক পতিত হবে না। আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আপনার কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য  নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...