আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
একটা গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জানা দরকার। আশাকরি উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।

আমি একটি সরকারি সায়িত্বশাসিত সরকারি  প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে পেনশন সিস্টেম চালুনাই। অবসর গ্রহনের সময় এক কালীন প্রভিডেন্ট ফান্টের টাকা ও গ্রাচুয়িটি প্রদান করে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে কর্মচারীর বেতন থেকে প্রতিমাসে তার বেতনের ১০% হারে কেটে নেওয়া হয় এবং উক্ত ১০% এর সাথে প্রতিষ্ঠান এর পক্ষ থেকে  ৮.৩৩% হারে যোগ করা হয়। যাকে CPF বলে। CPF এর মোট টাকা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক বা সরকারি প্রজেক্টে ইনভেস্ট করে থাকে। পরবর্তীতে অবসর গ্রহনের সময় কর্মচারীর বেতনের ১০% হারে কাটানো টাকা ও প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ৮.৩৩% হারে দেওয়া টাকার সাথে  অতিরিক্ত লাভের(সুদের) টাকা যোগ করে কর্মচারী কে প্রদান করে।
সেক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে চাকরি স্থায়ী হবার পর কর্মচারী অফিসকে  দরখাস্ত দিয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা চালু করার জন্য আবেদন করবে। কিন্তু আবেদন না করলে CPF   এর জন্য বেতন থেকে টাকা  চালু হবেনা। উল্লেখ্য সমস্যা হচ্ছে এখানেই, যদিও CPF এর জন্য টাকা কাটানো প্রতিষ্ঠানিক নিয়ম। কিন্তু কেউ চাইলে CPF এর জন্য  টাকা না কাটাতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেই কর্মচারী CPF এর টাকাই পাবেনা। ফলে প্রতিষ্ঠান যে ৮.৩৩% হারে টাকা দেয় সেই টাকাও পাবেনা।
আরেকটি অপশন হলো দরখাস্ত দিয়ে সুদ মুক্ত করা। সেক্ষেত্রে চাকরি শেষে শুধু মুল টাকা পাবে অতিরিক্ত কোন লাভের টাকা পাবেনা। যার পরিমান কয়েক লক্ষ টাকার মত
সুদ মুক্ত করলে অসুবিধা যা হয় তা হচ্ছে চাকরি শুরু থেকে বেতন থেকে প্রতিমাসে ১০% টাকা কেটে নিবে প্রতিষ্ঠান,  সেই টাকার উপর কর্মচারীর কোন কর্তৃত্ব থাকবেনা। অবসর গ্রহনের সময় সেই টাকা একসাথে পাবে। কিন্তু প্রায় ৩০/৩৫ বছর পর উক্ত টাকার বাজারমুল্য কমে যায়। ফলে উক্ত কর্মচারী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কোন কোন আলেম প্রভিডেন্ট ফান্ডের অতিরিক্ত টাকাকে নেওয়া জায়েজ বলে মত দিয়েছেন, তারা এই টাকাকে সুদ বলেনা। আবার কেউ কেউ একে সুদবলে। বিধায় আমি দ্বীধাগ্রস্থ। আপনি বিষয়টি সম্পর্কে একটি সঠিক ফতোয়া দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।  জ্বাযাকাল্লাহু খাইরান
বিঃদ্রঃ যেহেতু দরখাস্ত দিয়ে CPF চালু করতে হয় তাই বাধ্যতামূলক কিনা স্পষ্ট না। আর দরখাস্ত না দিলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বিষয়টি জটিল ও অস্পষ্ট

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আমরা উপরের বিধান এই আলোকেই দিয়েছি যে, সুদকে মওকুফ করার সুযোগ নেই মনে করে।যেহেতু আপনার বিবরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সুদকে মওকুফ করার সুযোগ রয়েছে, তাই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সেই মূলধনকে গ্রহণ করাই তাকওয়ার দাবী। কর্মচারী/কর্মকর্তার হাতে এখনো আসছে না, তাই এটাকে সুদ বলা যাচ্ছে না, যেই কথা আমরা ইতিপূর্বে বলেছিলাম, সেই কারণে পরিস্কার হারাম বলা না গেলেও তাকওয়ার দাবী হল, শুধুমাত্র মূলধনকে গ্রহণ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...