আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

ধর্ষণের ক্ষেত্রে লিংগের পেনেট্রেশান দেখেনি চারজন। তবে নারীর উপর ছেলেকে দেখেছে আর নারীর আত্মচিৎকার ও তার উপর জবরদস্তি দেখেছে।পেনেট্রেশান দেখেনি কারণ ছেলে কাপড় পরিহিত ছিল এপাশ থেকে দেখা যায়নি।এবং যারা দেখেছে তাদের সংখ্যা ২/৩।

তারমানে এখানে জবরদস্তি প্রমাণিত,পেনেট্রেশানের প্রমাণের জন্য ডিএন এ টেস্ট লাগবে।তাহলে এক্ষেত্রে টেস্ট নেয়া হবে?

ডিএন এ তে পেনেট্রেশান সাব্যস্ত হলে বা অন্য কোনো উপায়ে সুনিশ্চিত হওয়া গেলে যে লোকটি ধর্ষণ করেছে

আর সেক্ষেত্রে হদ কি কায়েম হবে বা তাযির হিসেবে হত্যা বা এসব দেয়া যাবে?


২,নামাজে সালাম ফেরাতে,উচ্চারণ ভুল হলে নামাজ ফাসিদ হবে? যেমন আলাইকুম এ আঈনের বদল আলিফ উচ্চারণ

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِن نِّسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْ ۖ فَإِن شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا-
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।(সূরা নিসা-১৫)

الْأَرْبَعَةُ إذَا شَهِدُوا عَلَيْهِ بِالزِّنَا فَسُئِلُوا عَنْ كَيْفِيَّتِهِ وَمَاهِيَّتِهِ قَالُوا: لَا نَزِيدُ لَك عَلَى هَذَا. لَمْ تُقْبَلْ شَهَادَتُهُمْ وَلَكِنْ لَا حَدَّ عَلَيْهِمْ لِتَكَامُلِ عَدَدِهِمْ فَإِنَّ تَكَامُلَ عَدَدِ الشُّهُودِ مَانِعٌ مِنْ وُجُوبِ الْحَدِّ -
যদি চারজন সাক্ষী কারো উপর যিনা ব্যভিচারের সাক্ষ্য প্রদান করে, কাযী বা শরয়ী কোর্ট কর্তৃক তাদেরকে যিনার পদ্ধতি ও আনুষাঙ্গিক দিক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তারা বলে যে, এ সম্পর্কে আমরা অতিরিক্ত কিছুই বলছি না, তাহলে তাদের সাক্ষ্যকে গ্রহণ করা হবে না।তবে যেহেতু তাদের নেসাব তথা তারা চারজন রয়েছেন, তাই তাদের উপর হদ কায়েম করা হবে না।কেননা সাক্ষ্যর নেসাব পরিপূর্ণ থাকলে, তা হদের  জন প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৪৩)


وَإِنْ شَهِدَ أَرْبَعَةٌ عَلَى رَجُلٍ بِالزِّنَا وَأَحَدُهُمْ عَبْدٌ أَوْ مَحْدُودٌ فِي قَذْفٍ فَإِنَّهُمْ يُحَدُّونَ وَلَا يُحَدُّ الْمَشْهُودُ عَلَيْهِ هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ. 
চারজন সাক্ষীর কোনো একজন গোলাম বা মিথ্যা সাক্ষ্যর অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়, তাহলে বাদবাকী তিন সাক্ষীর উপর হদ কায়েম করা হবে। এবং যার উপর যিনার অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে দন্ড দেয়া হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৫৩)


إنْ شَهِدَ أَرْبَعَةٌ عَلَى امْرَأَةٍ بِالزِّنَا فَنَظَرَ إلَيْهَا النِّسَاءُ فَقُلْنَ هِيَ بِكْرٌ لَا حَدَّ عَلَيْهِمَا وَلَا عَلَى الشُّهُودِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَكَذَا إذَا قُلْنَ هِيَ رَتْقَاءُ أَوْ قَرْنَاءُ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ. 
যদি চারজন ব্যক্তি কোনো পুরুষের উপর যিনার সাক্ষ্য দেয়,অতপর বিজ্ঞ মহিলারা ঐ মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে, মেয়ের তো এখনো সতিচ্ছেদ বা যোনীচ্ছেদ হয়নি, বা মেয়ের যোনীপথ বন্ধ,জড়ায়ুর মুখ বন্ধ, তাহলে মেয়ের উপর হদ কায়েম হবে না।এবং সাক্ষীদের উপরও হদ কায়েম করা হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৫৩)


আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ادرؤا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الْإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: قَدْ رُوِيَ عَنْهَا وَلم يرفع وَهُوَ أصح
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের যথাসম্ভব দণ্ডযোগ্য শাস্তি থেকে যদি সামান্যতম অব্যাহতির উপায় থাকে, তাহলে তাকে ছেড়ে দাও। কেননা শাসকের ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ভুল করা শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করার চেয়ে উত্তম। (মিশকাত-৩৫৭০,তিরমিযী ১৪২৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, ২/৩ জন যদি যিনার অভিযোগ তুলে, তাহলে সাক্ষীর নেসাব পূর্ণ না হওয়ার কারণে তাদের কথা গ্রহণযোগ্য হবে না।উল্টো তাদের উপর হদ্দে কাযাফ(বেত্রঘাত) লাগানো হবে।

পেনেট্রেশানের প্রমাণের জন্য ডিএন গ্রহণযোগ্য না। তবে চারজন সাক্ষী যিনার সাক্ষ্য প্রদাণের পর যদি ডিএনএ টেষ্ট বলে যে, যিনা হয়নি, তাহলে তখন ডিএনএ টেষ্টের ব্যখার দ্বারা হদ দূর হয়ে যাবে। কেননা ডিএনএ টেষ্ট, সন্দেহ তৈরী করে, আর সন্দেহ চলে আসলে হদ্দ দূর হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...