বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে অমুসলিমদের আদর্শ চাল চলন কে অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
অনুবাদঃ হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে। {আবু-দাউদ-৩৫১২}
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কেউ আপরাকে গুড মর্নিং,গুড নাইট,শুভ সকাল বলে বা টেক্সট করে, তাহলে হয়তো আপনি নিশ্চুপ থাকবেন।অথবা ইসলামী শিক্ষা দিবেন। অর্থাৎ তাকে ঘুমানোর পূর্বের দু'আ বলে দিবেন বা, শিখিয়ে দিবেন। শুভ সকালের জবাবে সকালের দু'আ সমূহ শিখিয়ে দিবেন।এবং শুড অফটারনুন এর পরিবর্ত সন্ধ্যার দু'আ শিখিয়ে দিবেন বা বলেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/452
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا أَمْسَى قَالَ: " أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرِ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَفِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا: أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ» " وَفِي رِوَايَةٍ: " «رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ» " (رَوَاهُ مُسْلِمٌ) .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধ্যার সময় বলতেন,
’’আম্সায়না- ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া ’আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন খয়রি হা-যিহিল লায়লাতি ওয়া খয়রি মা- ফীহা- ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন শার্রিহা- ওয়া শার্রি মা- ফীহা- আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াসূয়িল কিবারি ওয়া ফিত্নাতিদ্ দুন্ইয়া- ওয়া ’আযা-বিল কবরি’’
(অর্থাৎ- আমরা সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম এবং সন্ধ্যায় প্রবেশ করল সাম্রাজ্যসমূহ আল্লাহর উদ্দেশে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই। তিনি একক, তার কোন শারীক নেই। তাঁরই সাম্রাজ্য। তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এ রাতের কল্যাণ চাই এবং এতে যা আছে তার কল্যাণ। আর আমি আশ্রয় চাই তোমার কাছে রাতের অকল্যাণ হতে আর এতে যা আছে তার অকল্যাণ হতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই, অলসতা, বার্ধক্য ও বার্ধক্যের অপকারিতা এবং দুনিয়ার বিপদাপদ ও কবরের ’আযাব হতে।)।
আর যখন ভোর হতো তখনও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরূপ বলতেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন, ’’আস্বাহনা- ওয়া আস্বাহাল মুলকু লিল্লা-হি’’ (অর্থাৎ- আমরা ভোরে প্রবেশ করলাম, ভোরে প্রবেশ করল সাম্রাজ্যসমূহ আল্লাহর উদ্দেশে)। আর এক বর্ণনায় রয়েছে, ’’রব্বি ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন ’আযা-বিন ফিন্না-রি ওয়া ’আযা-বিন ফিল কবরি’’ (অর্থাৎ- হে রব! আমি আশ্রয় চাই তোমার কাছে জাহান্নামের ’আযাব ও কবরের শাস্তি হতে)।(মিশকাত-২৩৮১, সহীহ : মুসলিম ২৭২৩, তিরমিযী ৩৩৯০, আবূ দাঊদ ৫০৭১, আহমাদ ৪১৯২, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৮)
(২)
এভাবে মাথা নত করাকে যেহেতু ইবাদত মনে করা হচ্ছে না,তাই শিরক হবে না।ইবাদত মনে করে মাথাকে নত করার নামই হল, ইবাদত।