بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ- https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, নামাযের কেরাতে
যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।
তাজবীদ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ
পরিবর্তন হয়ে যায়, (এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য
নয়, কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই
লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ
হোক, চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম
দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার
ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই
হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ
রাহ,বলেন, হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল
হরফ যেমন, ظ. ض ذ .ز س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য
জানা ও আদায় করা ফরয। তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা,এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এক আয়াতের
স্থলে অন্য আয়াত পড়লে যদি অর্থ পরবির্তন হয়ে যায়,তাহলে নামায
ফাসিদ হয়ে যাবে। নতুবা নামায ফাসিদ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত
পড়া মাকরুহ।
সুতরাং
প্রশ্নের বিবরণমতে যদি ইমাম সাহেব ৩য় আয়াতের পূর্বে ওয়াক্ফ করে থাকেন,তাহলে নামায
হয়ে যাবে।আর যদি ওয়াকফ না করে থাকেন, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা
ওয়াকফ না করলে তখন অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/২৬১)
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/২৬১ ,আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৪৪)
নামাজের
কেরাতে বিপরীত অর্থ হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে,
চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভিতর হোক বা পরে হোক সর্বাবস্থায় একই হুকুম।
পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে না যায়, নামাজ নষ্ট হবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/১১৮, ফাতাওয়া
কাজিখান: ১/৬৭
তবে সূরা-কেরাত
ও নামাজের তাসবিহ ইত্যাদি শুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নামাজ ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি নাই। সূরা-কেরাতও
শুদ্ধ করতে থাকবে এবং নামাজও আদায় করতে থাকবে, কিন্তু এ ধরণের লোকেরা
শুদ্ধ পাঠকারী ব্যক্তির ইমামতি করবে না। -হিদায়া: ১/৫৮, জাওয়াহিরুল
ফিকহ: ১/৩৩৯
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে সূরা ফালাক্ব
ও সূরা আবাসার উভয় স্থলে হরফ পরিবর্তন
হওয়ার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিধায় উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।