আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)

যা, আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা।

আমি তোর সাথে থাকতে চাই না

 যা, তুই এখান থেকে চলে যা।

 যা ,অন্য কোনো স্বামী দেখ।

এই  কথা গুলো রাগের মাথায় তালাকের নিয়তে বলা হয়েছে  কিন্ত কয় তালাক সেটা নিয়ত করা হয় নি। তাহলে কি তালাক হয়েছে।

এই প্রশ্ন আই ফতোয়ায় করে ছিলাম উত্তর দিয়েছেন বায়েনে এক তালাক হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল (১) এই কথা গুলো পূর্বে ও অনেক বার বলা হয়েছে কিন্তু তালাকের নিয়তে বলা হয়েছে কি না তা আর মনে নেই। তাহলে কি একাধিক তালাক হয়েছে?

(২) বায়ানে এক তালাক থেকে ফিরিয়ে আনার বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/40253/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক খুবই মারাত্মক । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৩৭৭ তে আছেঃ-

الطَّلَاقُ الصَّرِيحُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ طَلْقَةٌ، ثُمَّ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ تَقَعُ أُخْرَى، وَيَلْحَقُ الْبَائِنُ أَيْضًا بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ أَوْ خَالَعَهَا عَلَى مَالٍ، ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ عِنْدَنَا، وَالطَّلَاقُ الْبَائِنُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ تَقَعُ طَلْقَةٌ أُخْرَى، وَلَايَلْحَقُ الْبَائِنُ الْبَائِنَ". ( ١ / ٣٧٧)
সারমর্মঃ
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তার সাথে পুনরায়  স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমেও তালাক যুক্ত করা যায়।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তারপর স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,তবে অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক তালাকে বায়েন পতিত হলে ইদ্দতের পরে কোনো তালাক পতিত হবেনা।
তবে ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবে।
তবে অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবেনা।     

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে।
এখন কথা হলো এহেন বাক্য সেই স্বামী আগেও তার স্ত্রীকে বলেছে,কিন্তু তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা,তার মনে নেই,এক্ষেত্রে জ্ঞাতব্য বিষয় যে যদি আগে সে এহেন বাক্য তালাকের নিয়তে বলেও থাকে,তাহলে তাতে এক তালাক পতিত হয়েছিলো,আর শরীয়তের বিধান হলো এক তালাকে বায়েনের পর ফিরিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত সেই স্ত্রীকে আর কেনায়া বাক্যে তালাক দিলে তালাক হয়না।

সুতরাং উক্ত স্ত্রীর উপর কোনো ভাবেই এক তালাকের বেশি হয়নি।

তবে যদি আগেই তালাক পতিত হয়ে থাকে,তাহলে তাকে শরীয়ত সম্মত পন্থায় ফিরিয়ে না নিয়ে এতোদিন ঘর সংসার এর কারনে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। 
মাফ চাইতে হবে।

উল্লেখ্য উক্ত ব্যাক্তি যদি আগে বলা এহেন বাক্য থেকে তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা এ সংক্রান্ত সন্দেহে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে তার আগের তালাক হবেনা।
এখনকার প্রশ্নে উল্লেখিত তালাকই হবে,সেক্ষেত্রে তওবা করতে হবেনা।

(০২)
ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি হলো পুনরায় নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...