আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের সমাজে যে প্রচলিত বরযাত্রীর ব্যাপার আছে সে সম্পর্কে।

ছেলে পক্ষ থেকে বিয়েতে দাওয়াত পেলে দেখা যায়,হয় তারা বরযাত্রী হিসেবে কনে বাড়ি নিয়ে যাবে,আর না হয় যতজন বরযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল ৪০০-৫০০ জন বরযাত্রী সেই হিসেব করে টাকা এনে তারা নিজ বাড়িতে খাবারের আয়োজন করেন।এখন এই খাবার গুলো যারা বিয়েতে আমন্ত্রিত তাদের জন্য খাওয়া জায়েজ আছে কিনা?

কাছের আত্মীয় হলে দেখা যায় না গেলেও খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/17792/?show=17802#a17802 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পরদিন (বাসর রাত পর) পাত্রের পক্ষ থেকে  ওলিমা করা সুন্নাত। 

,

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ওলিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন। 

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওলিমা করেছিলেন।

(বুখারি, হাদিস নম্বর-৫১৭০)

 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঁটির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিবাহে বরকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওলিমা করো।’ (বুখারি: ৫১৫৫; মুসলিম ও মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১০)।

,

মেয়ে পক্ষ থেকে কোনো ওলিমা নেই।

হ্যাঁ, তারা যদি কোনো চাপে নয়,বরং সন্তুষ্টি চিত্তে শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে দাওয়াতের আয়োজন করে,তাহলে তাহা জায়েজ আছে। 

 (কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৭৫)

 

বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/8138 /

আরো জানুন- https://ifatwa.info/4202/?show=4202#q4202

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. যদি কনে পক্ষ যদি কাহারো চাপে পরে নয়, বরং এমনিতেই সন্তুষ্টি চিত্তে মেয়ের বাড়ীতেই বা কমিউনিটি সেন্টারে দাওয়াতের আয়োজন করে, তাহলে পর্দা মেইনটেইনের শর্তের ভিত্তিতে সেই দাওয়াতে যাওয়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি মেয়ে পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে (যা আমাদের সমাজে সাধারণত হয়ে থাকে) বেশী লোকের দাওয়াতের আয়োজন করা হয় বা তাদেরকে পেসার দিয়ে তাদের থেকে টাকা নিয়ে ছেলেদের বাড়ীতে আয়োজন করা হয় তাহলে এমন দাওয়াত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং খাবার দিয়ে গেলেও তা খাওয়া যাবে না। বরং গরীবদেরকে দিয়ে দিতে হবে। 

 

২. এটা তো অনেক বড় লজ্জার বিষয় যে, মেয়ে পক্ষ থেকে টাকা এনে ছেলের বাড়ীতে দাওয়াতের আয়োজন করা। এসব থেকে বিরত থাকা চাই। এমন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেও বা খাবার পাঠিয়ে দিলেও তা খাওয়া থেকে বিরত থাকা চাই। কারণ কনে পক্ষ সন্তুষ্ট চিত্তে দিয়েছে কি না। সন্দেহ রয়েছে। বরং বেশী সম্ভবনা রয়েছে যে, কনে পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে বা কনে পক্ষ চক্ষু লজ্জার কারণে এই টাকা দিয়েছে। আর  শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পরদিন (বাসর রাত পর) পাত্রের পক্ষ (কনের পক্ষ থেকে নয়) থেকে ওলিমা (লোকদেরকে খাওয়ানো) করা সুন্নাত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...