আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
edited by
হুজুর আমি  সম্ভবত  প্রায়  দুই মাসের বেশি হবে  ঈমান ভংগের কারন জানি তারপর আমি ঈমান  ভংগের ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি। তো কালকে আমার স্ত্রী একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলে যে চোরটা গরু চুরি করার জন্যই আসছিল। আমি তখন বলি তুমি জানলে যে গুরু চুরির জন্য আসছিল। আমি তাকে ইস্তিগফার পরতে বলি। তখন সে বলে গরু চুরির জন্যই আসছিল ত তাছাড়া কি আছে যে চুরি করবে।তখন আমি ঘরে এনে তাকে বলি যে যদি অন্য কিছু চুরি করতে তুমি কি জান তখন সে ইস্তিগফার পড়ে। আমার স্ত্রীর অইরকম বলার কারনে ঈমানের  কোন সমস্যা হবে ?

২. আমি যখন আমার স্ত্রীকে অগুলো বলেছিলাম এক্টু রাগ হয়ে বলছিলাম। যে অই কথা গুলো কেন বলল। আমি  ইস্তিগফার পড়ার কথা বলার  পরও কেন তখন পরল না। এই কথা গুলো বলে আমি টয়লেটে যাই   তখন আমার মনে হয়   আমি আবার তা*কের কথা বলব নাকি। আমার   মুখ ফস্কে বের হবে নাকি। কারণ আমি ওয়াসওয়াসার রোগি।    হুজুর আমি টয়লেট থেকে এসে   স্ত্রীর সাথে   আরও এক্টু কথা বলে বাহিরে যাওয়ার সময় আমার মনে মনে  তা*কের কথা মনে
হয় । আমি ইছা করে মনে করিনি।হুজুর মনেমনে  তা*ক দিলে তা*ক কি হবে? এ খেত্রে কি তা*ক হবে  ?

৩.হুজুর মনে মনে অই রকম হওয়ার পর আমি টেনশনে পরে যাই যে, কোন সমস্যা হল নাকি। সবসময় শুধু মনেমনে যেই কথাটা বলেছিলাম অই কথাটায় মনে পরে। সবসময় আমি মনে মনে প্রশ্ন সাজাই যে হুজুরদের কাছে কিভাবে প্রশ্ন টা উপস্থাপন করব। আর মনে মনে সেই কথাটা ভাবি। তো সেদিন অজু করার সময় এই জাতীয় কিছু একটা মনে হয়েছিল সম্ভবত।   যখন মসজিদের গেটের সামনে আসি তখন আমি ঠোঁট ও জিহবা নাড়িয়ে বলি যে তোমাকে ছেড়ে দিলাম। এর দারা কি ত*কের কোন সমস্যা হবে  হলে কয় তা*ক হবে?

৪.হুজুর আমার তা*কের কোন নিয়্যাত ছিলনা। এগুলো নিয়ে আমি খুব টেনশনে ছিলাম।        আমার মনে মনে কি যে মনে হয়েছিল এজন্য কথাটা মনে মনে না হয়ে   জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলি। জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে এই কথাগুলো আমি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তো বলিনি। কারণ আমাদের ভেতর কোন মনোমালিন্য নেই।  আর আমি তখন মসজিদে প্রবেশ করছিলাম।

৫.     হুজুর ৩নং পয়েন্ট এর শেষের কথাটাই আমার মনে হয়ে ছিল যখন আমি স্ত্রীর সাথে কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আসি।   অই  কথাটার  জন্যই আমি পেরেশান ছিলাম।   অই কথাটার   জন্যই এত কিছু হচ্ছে।  
৬.হুজুর ৩ নং পয়েন্ট কি তা*কের মিথ্যা সীকারোক্তি দেয়া হল।  কারন ৪,৫  ৬, ৭,৮পয়েন্ট আমি পরে ইডিট করে লিখেছি। ইডিট করার আগেই ২টা ভিউ হয়েছিল। হুজুর এই যে উপরের প্রশ্ন গুলো করলাম এর দারাও কি কোন সমস্যা হবে?

  ৭.একটা কথা বলতে ভুলে গেছি তা হল- উপরের অইকথাগুলো যখন আমার মনে হয়    তখন আমি তো পেরেশানিতে ছিলাম। তখন আমি  রাতে স্ত্রীর সাথে গল্প করার সময় কি যেন  একটা কথা বলি। বলার পর আমার মনে হল এই কথাটা যে বল্লাম কোন সমস্যা হবে না তো। কিন্তু কি কথা বলেছিলাম পরে আমি অনেক চেষ্টা করার পরও মনে করতে পারিনি। আমার স্ত্রীঅবশ্য  কথাটা বুজতে পারে নি।আমি কি কথা বলেছিলাম এখনও মনে করতে পারছিনা  । হুজুর মনে না পরার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?  কারন আমি তো মনে করার চেষ্টা করছি।                               
৮.হুজুর আমি এই প্রশ্নগুলো যে লিখলাম তাতে  কোন ভুল হল নাকি   এজন্য আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে প্রশ্নগুলো  পরছিলাম তাতে অই শব্দ গুলোও তো   ছিল। জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে অই শব্দগুলো পড়ার কারনে কোন সমস্যা হবে নাকি

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আপনার স্ত্রীর ঐরকম বলার কারনে ঈমানের  কোন সমস্যা হবেনা।

(উল্লেখ্য যে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ইস্তেগফার পাঠেরও প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
সে এমন কোনো ত্রুটিপূর্ণ কথা বলেনি যে তার ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।)

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এভাবে মনে মনে বলাতে,বা মনে মনে তালাকের কথা চিন্তা করায় তালাক হবেনা।

(০৩)
এখানে আপনি কি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে উক্ত কথা উচ্চারণ করে বলেছিলেন?
যদি তাই হয়,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
,
আর যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কথা না বলে থাকেন,অথবা নিজ কানে আসার মতো সামান্য আওয়াজও যদি উচ্চারণের না হয়,তাহলে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(৫.৬)
প্রশ্ন গুলো করার দ্বারা সমস্যা হয়নি।
মিথ্যা স্বীকারোক্তিও হবেনা।

(০৭)
এতে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
প্রশ্ন গুলো লেখার সময় জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে এই শব্দগুলো পড়ার কারনে কোন সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
হুজুর ৩ংংপয়েন্টে আমি তো স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। আমি হুজুরদের কাছে কিভাবে প্রশ্ন করব এই জন্য আমি মনে মনে প্রশ্ন টা সাজাচ্ছিলাম। তখন অজু করে আসার সময় মসজিদে ঢোকার সময় অই কথাটা হটাৎ করে জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে উচ্চারণ হয়। হুজুর এখেত্রে ত*কের কোন সমস্যা হবে। এক ত*কে বায়েন কেন হবে। কারন আমাদের দেশে অই কথাটা তো মানুষ ত*কের পরিবররেতে ব্যবহার করে।                             

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...