আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

আমার বোনের বয়স ১১.. আমার দশ বছরের ছোট সে।আমাকে একদম সম্মান করেনা।মুখে যা আসে তা বলে।বাসায় কেউ ওকে ডাক ও দেয়না।আমি বেশির ভাগ সময় সহ্য কথে যাই। কিন্তু সবসময় সহ্য হয়না।এতো ছোট মেয়ে।আমাকে ইবলিস ও ডাকে।আমার মা এর সামনেই। কিন্তু আমৃমু ডাক দেয়না।আমী যদি বলি ওকে কিছু বলো।উলটো আম্যু বলে এসব নরমাল জিনিস।আমার খুব কষ্ট লাগে।দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।এর উপর বাসার কেউ আমার সাথে সাধারণ ভাবে কথা বলেনা।সবসময় ভুল ধরে।এখন আরো ইসলামী বই পড়ার চেষ্টা করি দেখে ভুল বেশি ধরে।হালকা ভুল হলেই বলে বেশি হাদিস পড়লে নাকি এমন হয়।আমি এসব সহ্য করতে না পেরে সবসময় একা থাকি আমার রুমে।আর কি বা করবো আমি।এখন একা কেনো থাকি এতেও আমাকে কথা শোনায়।আমি কি করতে পারি।তাদের ইসলামী কথা বললেও বুঝেনা।গান শুনে সিনেমা নাটক দেখে।আমি যদি বুঝাঈ বলে আল্লাহ এসব ক্ষমা করে দিবে টুকটাক বিষয়।এতোটা ছাড়াছাড়ি ভাব।তারা জানে হারাম কোনটা।জেনৈ বুঝৈঈ করে।আল্লাহ এসব মাফ করে দিবে এ কথা বলে।

আমি কি করতে পারি উস্তাদ? নিজেকে দ্বীনে রাখার চেষ্টা করেই যাচ্ছি।এ পরিবেশ আমাকে আরো কষ্ট দিচ্ছে।তারা জেনেও মানেনা এমন অবস্থা।আমাকে নাসিহাহ দিন উস্তাদ।ইং শা আল্লাহ্

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَمْ يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا وَيَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে অনুগ্রহ করে না, আমাদের বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না, ভালো কাজের আদেশ করে না এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে না, সে আমাদের দলের নয়।
(তিরমিযী ১৯২১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১৩৯৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৪৯৩৮।)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ছোট বোনকে সকলেই ছাড় দেয়ার দরুন সে এমন ব্যবহার করছে।

পরিবারের সকলেই যেহেতু সকলেই তাকে ছাড় দেয়,আর আপনার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে,তাই আপনি ছোট বোনকে কাছে ডেকে এনে খুব ভালোভাবে বুঝাবেন।
কঠোর শব্দ ব্যবহার করবেননা।
অনেকদিন বুঝানোর পরেও কাজ না হলে তাকে হালকা ধমক দিতে পারেন।

তার সাথে আগ বাড়িয়ে কিছু বলবেননা।
সে বেয়াদবি করলে বুঝানোর চেষ্টা করবেন।
,
পারিবারিক ভাবে আপনি যেই সমস্যার মধ্যে আছেন,এরকম আরো হাজারো দ্বীন মেনে চলনে ভাই/বোন সমস্যার মধ্যে আছে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনি তাদের যাবতীয় আচরণ,  সব কিছু সহ্য করবেন,আখেরাতে উত্তম জাযা পাবেন,ইনশাআল্লাহ্।
তাদের এহেন আচরণকে আপনি সাময়িক সময়ের জন্য মনে করবেন,ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন হবে,এমনটি মনে করে ধৈর্য ধারন করে চলবেন।
প্রয়োজনে কম কথা বলবেন।

তাদেরকে মাঝে মাঝে হিকমত ও প্রজ্ঞার সাথে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে পারেন।
এতদাসত্বেও মা বাবা ও বড়দের সাথে উত্তম আখলাক দেখাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...