আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ ।ধরেন কেউ না বুঝে বা অত কিছু না ভেবে শপথ করেছে ওই কথাটা কাউকে বলবে না।বললে মুসলিমের জাত থেকে বের হয়ে যাবে বা মুসলমান থাকবে না।মনে মনে ছিল ধরেন অটোমেটিক।কিন্তু এই ধরনের শপথের কথা  মনে নাই বা ছিল না  পরে ওর।শুধু শপথের কথা মনে ছিল ধরেন।মুসলিম থাকবে না এরকম কথা মনে ছিল না।হয়ত শপথ করেছিল কিন্তু আকীদা হয়ত এমন ছিল না।হয়ত জোর দিয়ে বিশ্বাস করানোর জন্য করেছিল হয়ত।কারন হয়ত তখন মনে থাকত।পরে শপথটা ভেন্গে ফেললে কি ও মুসলিম থাকবে না? যখন শপথ করেছিল তখন হয়ত এত কিছু বুঝত না যে ইসলাম সম্পর্কে আর শপথ সম্পর্কে।বা এত কিছু ভেবেও বলে নাই।দয়া করে বলবেন।এখন কি শুধু কাপপারা,দিলে হবে?দয়া করে বলবেন।না বুঝে না জেনে হয়ত করে ফেলেছে।আগে তেমন জানত না এখন  ইসলাম সম্পর্কে একটু একটু জানার চেস্টা করতেছে সেই মোতাবেক চলার চেস্টা করতেছে।আর আগের বিষয় গুলো নিয়ে মারাত্মক চিন্তিত সে।সে আল্লার কাছে মাফ চাইতেই আছে।সে এত কিছু জানত না আগে।দয়া করে বলবেন।আপনাদের একটা ফতোয়ায় হয়ত ওর চিন্তাটা কমবে।সে আগের বিষয়গুলো নিয়ে খুবই অনুতপ্ত।বিবাহিত মনে করেন।সেটা নিয়েও ধরেন বেশি চিন্তিত।হয়ত আপনাদের একটা,ফতোয়ায়,ওর সংংসারটা বেচে যাবে।স্বামীকেও হয়ত কিছু বলতে পারবে না।

২।আমি প্রশ্নটা অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।এই বিষয়ে আমার ওয়াসওয়াসা আসতেছিল।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/34525/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

(০১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা। 
তবে সে যদি আল্লাহর নামে উক্ত কসম করে থাকে,তাহলে তাকে কসম ভঙ্গের দরুন কাফফারা দিতে হবে।

(০২)
না,এতে আপনার সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...