আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
reshown by
আমি জেনারেল পড়ুয়া হেদায়েত পেয়েছি কয়েক বছর হলো। রাস্তায় বের হতেই হয় যেহেতু পরিবারে দ্বীন প্রাক্টিস হয় না বললেই চলে। আমি রাস্তায় খুব সচেতন থাকি যেনো পরপুরুষ এর স্পর্শ না লাগে। তাও লেগে গেলে ইস্তিগফার করি। আল্লাহ মাফ করবেন আশা রাখি। কিন্তু আজ আমি রাস্তা পার হবার সময় ট্রাক এর নিচে পরে যাবার মত অবস্থা হচ্ছিলো।যদিও আমি ফাকা জায়গা থেকে পার হবার জন্য দাড়িয়েছিলাম। কোথা থেকে এক পুরুষ এসে আমার কনুই এর উপরের অংশে ধরে টান দেওয়ার চেষ্টা করেন, আমি বুঝতে পারি সে আমাকে ট্রাক এর নিচে পরার থেকে বাচানোর উদ্দেশ্য নিয়েই স্পর্শ করেছে। কিন্তু সারাদিন ধরে আম বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। মনে মনে নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে। আল্লাহ চাইলেই তো এই ঘটনা হতো না। তাহলে কি আল্লাহ আমার উপর কোনোভাবে নারাজ আছেন.?? আমার মনের মধ্যে কেমন অশান্তি লাগছে। ছেলের স্পর্শ পেয়ে নিজেকে খুব ই সস্তা মনে হচ্ছে কেনো যেনো। আমি রাস্তায় না গেলে এমন হতো না। হুজুর আমি কি করতে পারি। আমি দোয়া পড়ে বের হই ঘর থেকে। আল্লাহ যেনো হেফাজতে রাখেন তাদের স্পর্শ থেকে সেই দোয়া করি।কিন্তু হয়েই যাচ্ছে প্রতিদিন।  আজকের ঘটনা আমি মানতেই পারছি না। কি করবো হুজুর.? কিভাবে এই চিন্তা থেকে বের হবো। নিজেকে দূষিত মনে হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .(ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 )
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7238

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরে হাদীসে যে কঠোর হুশিয়ার বাণী প্রদাণ করা হয়েছে, সেটা মূলত ইচ্ছাকৃত স্পর্শের ব্যাপারে।অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত কোনো বেগানা নারী পুরুষকে স্পর্শ করা যাবে না। তবে অনিচ্ছাকৃত হলে বা বিশেষ জরুরত হলে, স্পর্শ করা যাবে, এজন্য কোনো গোনাহ হবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হবেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪/৮৬)

আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং অযথা টেনশন নেয়ার কোনো কারণ নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...