আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in সাওম (Fasting) by (9 points)
reshown by

আসসালামুআলাইকুম, 

১।নফল রোযা রাখার নিয়ত করার পর ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারনে কিংবা নিয়ত করার পর পরবর্তীতে ইচ্ছেকৃতভাবে মিস করলে,

পরবর্তীতে এই রোযা রাখা কি ওয়াজিব হয়ে যায়?
না রাখলে কি গুনাহ হবে?

২।এ মাসের আশুরার রোযা এবং আইয়েমে বীজের রোযা নিয়ত থাকা সত্বেও রাখতে পারিনি।

এখন কি এগুলো এ মাসে আদায় করা আমার জন্য ওয়াজিব হবে?

৩।ওয়াক্তের নামাজ শুরু অবস্থায় মনে মনে এই নিয়ত রাখি যে, ফরজ,সুন্নতের পাশাপাশি ওয়াক্তের নফল ও আদায় করব।কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন হয় যে,সুন্নত পড়ার পর অযু ভেঙে যায়।পরবর্তীতে ওযু করে নফল টা আদায় করা হয়না।

এক্ষেত্রে, কি আমার গুনাহ হচ্ছে?

ঠিক অন্য যেকোনো সাধারন নফল নামাজের ক্ষেত্রে ও অনেক সময় নিয়ত থাকা সত্বেও ওযু নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা অলসতার কারনে আর  পড়া হয়না।

সেক্ষেত্রে, কি এই নামাজগুলো  পরবর্তীতে আদায় করা ওয়াজিব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।

এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।

(খ) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে।
এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11221

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নফল রোযা রাখার নিয়ত করার পর ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারনে,রোযা না রাখরে কাযা আদায় করতে হবে না।কেননা রোযাইতো রাখা হয়নি।আর রোযা রাখায়,সবহে সাদিকের পর নিয়তের মাধ্যমে।এখানে যেহেতু নিয়ত নাই, তাই কাযা ওয়াজিব হবে না।

তবে নিয়ত করার পর পরবর্তীতে ইচ্ছেকৃতভাবে মিস করলে, পরবর্তীতে এই রোযা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায়।কেননা সুবহে সাদিকের সময় নিয়ত করার দ্বারাই মূলত রোযা ওয়াজিব হয়ে গেছে।

(২)
এ মাসের আশুরার রোযা এবং আইয়েমে বীজের রোযা নিয়ত থাকা সত্বেও রাখা হয়নি, তথা সুবহে সাদিকের সময় রোযার নিয়ত করা হয়নি, তাই এগুলোর কাযা আদায় করা লাগবে না।

(৩)
এক্ষেত্রেও সুন্নত বা নফল নামাযের কাযা আদায় করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কেননা এগুলো তো শুরু করা হয়নি।বরং শুধুমাত্র নিয়ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিয়তের দ্বারা এগুলোর কাযা ওয়াজিব হবে না।বরং শুরু করার পর ভঙ্গ করে ফেললেই তখন ঐগুলোকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 373 views
...