ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।
এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
(খ) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে।
এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11221
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নফল রোযা রাখার নিয়ত করার পর ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারনে,রোযা না রাখরে কাযা আদায় করতে হবে না।কেননা রোযাইতো রাখা হয়নি।আর রোযা রাখায়,সবহে সাদিকের পর নিয়তের মাধ্যমে।এখানে যেহেতু নিয়ত নাই, তাই কাযা ওয়াজিব হবে না।
তবে নিয়ত করার পর পরবর্তীতে ইচ্ছেকৃতভাবে মিস করলে, পরবর্তীতে এই রোযা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায়।কেননা সুবহে সাদিকের সময় নিয়ত করার দ্বারাই মূলত রোযা ওয়াজিব হয়ে গেছে।
(২)
এ মাসের আশুরার রোযা এবং আইয়েমে বীজের রোযা নিয়ত থাকা সত্বেও রাখা হয়নি, তথা সুবহে সাদিকের সময় রোযার নিয়ত করা হয়নি, তাই এগুলোর কাযা আদায় করা লাগবে না।
(৩)
এক্ষেত্রেও সুন্নত বা নফল নামাযের কাযা আদায় করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কেননা এগুলো তো শুরু করা হয়নি।বরং শুধুমাত্র নিয়ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিয়তের দ্বারা এগুলোর কাযা ওয়াজিব হবে না।বরং শুরু করার পর ভঙ্গ করে ফেললেই তখন ঐগুলোকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।