ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১+২+৩+৪)
এই সবগুলো প্রশ্ন একটি বিষয়কে নিয়েই।তাই একসাথেই উত্তর দিচ্ছি।
আপনি ইতিপূর্বে চারজনকে জিজ্ঞাসা করেছেন।এতজনকে জিজ্ঞাসা করার কি প্রয়োজন!! ভালো মানের নির্ভর্যোগ্য কোনো একজনকে জিজ্ঞাসা করে নিলেই হতো। তাছাড়া এভাবে অন্যসব কামকাজ পরিহার করে সঠিক মুফতি বাছাই না করে যারতার কাছে জিজ্ঞাসা করাটাও মুনাসিব হবে না। আপনি যে কোনো একটি কওমী মাদরাসার দারুল ইফতায় সরাসরি গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।
যাইহোক,
আপনি সন্তুষজনক উত্তর না পেলে,আর অনলাইনে কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন না।বরং সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় চলে যাবেন।
(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।
সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।