আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
572 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আস্সালামুআলাইকুম

আমাদের কাবিন নামার ১৮ নং কলামে লিখা আছে স্বামী তলাকের অধিকার দিয়েছেন ২ তা শর্ত সাপেক্ষে।কিন্তু কিছুদিন আগে আমার স্বামীকে আমি বলসিলাম আমাকে এই ১৮ নং কলামটা দেখাও সে বলসে কেনো আমি বলসি ঐখানে একটা জিনিস আছে। স্বামী জানতে চেয়েছে কি আছে আমিতো ভেবেছি সে জানে তাই তাকে বলিনি। পরে  কাবিন নামায় দেখি অধিকার দেওয়া আছে। আমি স্বামীকে প্রশ্ন করলাম তুমি এই অধিকার কেনো দিসে সে মাকে বলে এটা কে দিসে?আমি কিন্তু এই বেপার জানিনা, এটা তারাই লিখে আনসে, আমিতো কিছু দেখিওনাই,জাস্ট খাতায় সাইন দিসি মাত্র

১. একজন মুফতিকে জিজ্ঞেস করার পর উনি বলেছেন স্বামী সাইন করার মধ্যে কাজীর সাথে একমত হয়ে পারমিশন দিয়েছেন

২. আরেকজন বলেছেন স্বামী যদি জীবনেও  কোনোদনই  না জানতো যে আমাদের দেশে ১৮ নং কোলামে স্ত্রীকে পারমিশন দেওয়া যায় কি যায়না তাহলে  কাবিন নামায় কাজী নিজে হ্যা লিখে দিলেও স্ত্রী অধিকার পাবেনা। আর স্বামী যদি জানতো যে ১৮ নং কলামে কি কি হয় তাহলে স্ত্রী অধিকার পাবে। উল্লেখ আমাদের প্রেমের বিয়ে আমার যতদূর  মনে পরে আমি অনেক আগে আমার স্বামীকে এই বিষয়ে বলেছি। কিন্তু আমিযে তাকে এটা বলেছি এই কথার কোনো প্রমান আমার কাছে নেই। আমার স্বামী বলে আমি কখনোই এই বেপারে শুনিনি। শুনলে তো মনে পড়তো  কিন্তু আমিতো শুনিই নাই কোনোদিন।

৩. আরেকজন বলেছেন সাইন করার সময় কাজী যদি  স্বামীর থেকে অনুমতি না নিয়ে কাজী নিজেই হ্যা লিখে দেয় তাহলে এটা বাতিল স্ত্রী অধিকার পাবেনা

৪।

. অনলাইনে কিছু ফতোয়া দেখেছি সেখানেও লিখা স্বামীকে কাজী জিজ্ঞেস না করেই হ্যা লিখলে স্ত্রী অধিকার পাবেনা।

আমি এসবে খুবই কনফিউড। আমি জানতে চাই আমি কোনটা ধরে নিবো আমি অধিকার পেয়েছি কি পাইনি? অনুগ্রহ করে দলিল  সহ বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১+২+৩+৪)
এই সবগুলো প্রশ্ন একটি বিষয়কে নিয়েই।তাই একসাথেই উত্তর দিচ্ছি।
আপনি ইতিপূর্বে চারজনকে জিজ্ঞাসা করেছেন।এতজনকে জিজ্ঞাসা করার কি প্রয়োজন!! ভালো মানের নির্ভর্যোগ্য কোনো একজনকে জিজ্ঞাসা করে নিলেই হতো। তাছাড়া এভাবে অন্যসব কামকাজ পরিহার করে সঠিক মুফতি বাছাই না করে যারতার কাছে জিজ্ঞাসা করাটাও মুনাসিব হবে না। আপনি যে কোনো একটি কওমী মাদরাসার দারুল ইফতায় সরাসরি গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।

যাইহোক,
আপনি সন্তুষজনক উত্তর না পেলে,আর অনলাইনে কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন না।বরং সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় চলে যাবেন।

(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...