ﺑﺴْﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮّﺣْﻤﻦ ﺍﻟﺮّﺣﻴْﻢ
ﺣﺎﻣﺪﺍ ﻭ ﻣﺼﻠﻴﺎ ﻭﻣﺴﻠﻤﺎ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ
ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
আপনি পবিত্র ! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা
শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।(২/৩২)
ইসলাম ও দাসত্ব
যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻓَﺈِﺫﺍ ﻟَﻘِﻴﺘُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻓَﻀَﺮْﺏَ ﺍﻟﺮِّﻗَﺎﺏِ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺛْﺨَﻨﺘُﻤُﻮﻫُﻢْ ﻓَﺸُﺪُّﻭﺍ ﺍﻟْﻮَﺛَﺎﻕَ ﻓَﺈِﻣَّﺎ ﻣَﻨًّﺎ ﺑَﻌْﺪُ ﻭَﺇِﻣَّﺎ ﻓِﺪَﺍﺀ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻀَﻊَ ﺍﻟْﺤَﺮْﺏُ ﺃَﻭْﺯَﺍﺭَﻫَﺎ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﺸَﺎﺀ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎﻧﺘَﺼَﺮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻭَﻟَﻜِﻦ ﻟِّﻴَﺒْﻠُﻮَ ﺑَﻌْﻀَﻜُﻢ ﺑِﺒَﻌْﺾٍ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻀِﻞَّ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟَﻬُﻢْ
তরজমাঃ-অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।(সূরা-মুহাম্মদ,০৪)
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতী শফী রাহ যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে ইসলামের মানবাধিকারপূর্ণ যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেনঃ
এখন প্রশ্ন থেকে যায় যে,ইসলাম মানবাধিকারের সর্ববৃহৎ ধারক-বাহক হয়ে দাসত্বের অনুমতি কিরূপে প্রদাণ করল?
প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বৈধকৃত দাসত্বকে জগতের অন্যান্য ধর্ম ও জাতির দাসত্বের অনুরূপ মনে করে নেয়ার কারণেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।অথচ ইসলাম দাসদেরকে যেসব অধিকার দান করেছে এবং সমাজে তাদেরকে যে মর্যাদা দান করেছে এরপর তারা কেবল নামেই দাস রয়ে গেছে।নতুবা তারা প্রকৃতপক্ষে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছে।বিষয়টির প্রকৃত স্বরূপ দৃষ্টির সামনে তুলে ধরলে দেখা যায় যে,অনেক অবস্থায় যুদ্ধবন্দীদের সাথে এর চাইতে উত্তম ব্যবহার অদ্য সম্ভবপর নয়।
পাশ্চাত্যের খ্যাতনামা প্রাচ্য শিক্ষাবিশারদ "মসিও গোস্তাও লিবান" তদীয় "আরবের তমদ্দুন "গ্রন্থে লিখেনঃ
বিগত ত্রিশ বছর সময়ের মধ্যে লিখিত আমেরিকার বই-পুস্তক পাঠে অভ্যস্ত কোন ইউরোপীয় ব্যক্তির সামনে যদি 'দাস' শব্দটি উচ্ছারণ করা হয় তবে তার মনসপটে এমন অসহায় একদল মানুষের চিত্র ভেসে উঠে যাদেরকে শিকল দ্বারা আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয়েছে,গলায় বেড়ি পরানো এবং বেত মেরে মেরে হাঁকানো হচ্ছে।তাদের খোরাক প্রাণটা কোনরূপে দেহে আটকে রাখার জন্যও যথেষ্ট নয়।বসবাসের জন্য অন্ধকারময় কক্ষ ছাড়া তারা আর কিছুই পায় না।আমি এখানে কিছু বলতে চাই না যে,এই চিত্র কতটুকু সঠিক এবং ইংরেজরা বিগত বছরগুলোতে আমেরিকায় যা কিছু করেছে তা এই চিত্রের অনুরূপ কি না? কিন্তু এটা নিশ্চিত সত্য যে, মুসলমানদের কাছে দাসের যে চিত্র তা খৃষ্টানদের চিত্র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।(ফরীদ ওয়াজদী প্রণীত দায়েরাতুল মা-আরেফ থেকে উদ্ধৃত।৪/১৭৯)
প্রকৃত সত্য এই যে,অনেক অবস্থায় বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার চাইতে উত্তম কোন পথ থাকে না।দাসে পরিণত না করা হলে যৌক্তিক দিক দিয়ে তিন অবস্থাই সম্ভবপর--হয় হত্যা করা হবে,না হয় মুক্ত ছেড়ে দেয়া হবে,না হয় যাবজ্জীবন বন্দী করে রাখা হবে।প্রায়ই এই তিন অবস্থা উপযোগিতার পরিপন্থী হয়।কোন কোন বন্দী উন্নত প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকে,এ কারণে হত্যা করা সমীচীন হয় না।মুক্ত ছেড়ে দিলে অনেক ক্ষেত্রেই এমন আশংকা থাকে যে,স্বদেশে পৌছে সে মুসলমানদের জন্য পূনরায় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।
এখন এই দুই অবস্থাই অবশিষ্ট থাকে।হয় তাকে যাবজ্জীবন বন্দী রেখে আজকালকার মত কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটক রাখা,না হয় তাকে দাসে পরিণত করে তার প্রতিভাকে কাজে লাগানো এবং তার মানবিক অধিকারগুলোরও পুরোপুরি প্রদান করা।
চিন্তা করলে প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে,এতদুভয়ের মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা কোনটি?
বিশেষতঃ দাসদের সম্পর্কে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বোঝা আরও সহজ।দাসদের সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি রসূলে করীম সাঃ নিম্নরূপ ভাষায় ব্যক্ত করেছেনঃ
"তোমাদের দাসেরা তোমাদের ভাই।আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন।এতএব,যার ভাই তার অধীনস্থ হয়,সে যেন তাকে তাই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়।তাই পরিধান করায় যা সে নিজে পরিধান করে।এবং তাকে যেন এমন কাজের ভার না দেয় যা তার জন্য অসহনীয় হয়।যদি এমন কাজের ভার দিতেই হয়, তবে যেন সে নিজেও তাকে সাহায্য করে।" (বুখারী -মুসলিম-আবু-দাউদ)
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের দিক দিয়ে ইসলাম দাসদেরকে যে মর্যাদা দান করেছে তা স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের মর্যাদার প্রায় কাছাকাছি। সেমতে অন্যান্য জাতির বিপরীতে ইসলাম দাসদের শুধু বিবাহ করার অনুমিতই দেয়নি ;বরং মালিকদেরকে
وانكحوا الايامي منكم
আয়াতের মাধ্যমে জোর তাগিদও করেছে।এমনকি তারা স্বাধীন-মুক্ত নারীদেরকেও বিবাহ করতে পারে।তারা জেহাদেও অংশগ্রহণ করতে পারে এবং যুদ্ধলব্ধ সম্পদে তাদের অংশ স্বাধীন মুজাহিদের সমান।শত্রুকে যে কোন ধরণের নিরাপত্তা দানের ব্যাপারে তাদের উক্তিও তেমনি ধর্তব্য যেমন স্বাধীন ব্যক্তিবর্গের উক্তি।কোরআন ও হাদীসে তাদের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশাবলী এত অধিক বর্ণিত হয়েছে যে,সেগুলোকে একত্রে সন্নিবেশিত করলে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক হয়ে যেতে পারে।
হযরত আলী রাযি বলেন,
দু'জাহানের সরদার হযরত রাসূলে মকবুল সাঃ এর পবিত্র মুখে যে কথাগুলো জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উচ্ছারিত হচ্ছিল এবং যারপর তিনি পরম প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান তা ছিল এই
الصلوة الصلوة ،اتقوا اللّٰه فيما ملكت ايمانكم
অর্থাৎ নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ,নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ।তোমাদের অধীনস্থ দাসদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।(আবু-দাউদ)
ইসলাম দাসদের শিক্ষাদীক্ষা অর্জনেরও যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছে।খলীফা আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ানের আমলে ইসলামী সাম্রাজ্যর প্রায় সকল প্রদেশেই জ্ঞান-গরিমায় যারা সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন দাসদের অন্তর্ভুক্ত।এ প্রথাটি ক্রমে বিলীন করা বা হ্রাস করার জন্যে দাসদেরকে মুক্ত করার ফযীলত কোরআন ও হাদীসে ভুরি ভুরি বর্ণিত হয়েছে।যাতে মনে হয় যেন অন্য কোন সৎকর্ম এর সমকক্ষ হতে পারেনা।
ফেকাহ্ র বিভিন্ন বিধি-বিধানে দাসদেরকে মুক্ত করার জন্যে বাহানা তালাশ করা হয়েছে।রোযার কাফ্ফারা, হত্যার কাফ্ফারা, যেহারের কাফ্ফারা ও কসমের কাফ্ফারার মধ্যে দাস মুক্ত করাকে সর্বপ্রথম বিধান করা হয়েছে।এমনকি হাদীসে একথাও বলা হয়েছে যে,কেউ যদি দাসকে অন্যায়ভাবে চপেটাঘাত করে তবে এর কাফ্ফারা হচ্ছে দাসকে মুক্ত করে দেয়া।(মুসলিম)
সাহাবায়ে কেরামের অভ্যাস ছিল তাঁরা অকাতরে প্রচুর সংখ্যক দাস মুক্ত করতেন।
"আন্নাজমুল ওয়াহ্হাজ "এর গ্রন্থকার কোন কোন সাহাবীর মুক্ত করা দাসদের সংখ্যা নিম্নরূপ বর্ণনা করেছেন।
- হযরত আয়েশা রাযি -৬১
- হযরত হাকীম ইবনে হেযাম রাযি -১০০
- হযরত ওসমান গণী রাযি -২০
- হযরত আব্বাস রাযি -৭০
- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি -১০০০
- হযরত যুল কা'লা হিময়ারী রাযি -৮০০০(মাত্র একদিনে)
- হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযি-৩০,০০০
(ফতহুল আল্লাম, টীকা বুলুগুল মারাম,নবাব সিদ্দিক হাসান খান প্রণীত,২/২৩২)এ থেকে জানা যায় যে,মাত্র সাত জন সাহাবী,৩৯,২৫৯জন দাসকে মুক্ত করেছেন।
বলাবাহুল্য, অন্য আরও হাজারো সাহাবীর মুক্ত করা দাসদের সংখ্যা এর চাইতে অনেক বেশী হবে।মোটকথা, ইসলাম দাসত্বের ব্যবস্থায় সর্বব্যাপী সংস্কার সাধন করেছে।যে ব্যক্তি এগুলোকে ইনসাফের দৃষ্টিতে দেখবে সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য হবে যে,ইসলামের দাসত্বকে অন্যান্য জাতির দাসত্বের অনুরূপ মনে করা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।এসব সংস্কার সাধনের পর যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার অনুমতি তাদের প্রতি একটি বিরাট অনুগ্রহের রূপ পরিগ্রহ করেছে।
এখানে একথাও স্বরণ রাখা দরকার যে,যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার বিধান কেবল বৈধতা পর্যন্ত সীমিত।অর্থাৎ ইসলামী র্রাষ্ট যদি উপযুক্ত বিবেচনা করে,তবে তাদেরকে দাসে পরিণত করতে পারে।এরূপ করা মোস্তাহাব বা ওয়াজিব নয়।বরং কোরআন ও হাদীসের সমষ্টিগত বাণী থেকে মুক্ত করাই উত্তম বোঝা যায়।দাসে পরিণত করার অনুমতিও ততক্ষণ যতক্ষণ শত্রুপক্ষের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি না থাকে।যদি শত্রুপক্ষের সাথে চুক্তি হয়ে যায় যে,তারা আমাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করবে না এবং আমরাও তাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করব না,তবে এই চুক্তি মেনে চলা অপরিহার্য হবে।বর্তমান যুগে বিশ্বের অনেক দেশ এরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ আছে।কাজেই যেসব মুসলিম দেশ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেছে তাদের জন্য চুক্তি বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত কোন বন্দীকে দাসে পরিণত করা বৈধ হবে না।তাফসীর মা'রেফুল কোরআন -পৃষ্টা১২৫৪(বাংলা বার্সন-মুহাউদ্দিন খান অনূদিত - সউদী সরকার কর্তৃক প্রকাশিত)
যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করার অনুমতি দেওয়ার হিকমাহ কি ?
যুদ্ধবন্দী যদি মহিলা হয় তাহলে ঐ মহিলার সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করার অনুমতি ইসলাম তার মালিক কে প্রদাণ করেছে
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﻛِﺘَﺎﺏَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗَﺒْﺘَﻐُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢ ﻣُّﺤْﺼِﻨِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺴَﺎﻓِﺤِﻴﻦَ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﻓَﺂﺗُﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻭَﻻَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺗَﺮَﺍﺿَﻴْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﺍﻟْﻔَﺮِﻳﻀَﺔِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলামে দাসত্ব প্রথা রহিত হয়নি।বরং মানবতার প্রয়োজনে সে প্রথাকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ রয়েছে।