আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।কোন একটা বিষয়,নিয়ে ঝগড়া বা কথা কাটাকাটির কারনে স্ত্রী ধরেন তালাক চায় কিন্তু স্বামী পর পর তালাক দেয় নি বা কেনায়া শব্দ বলে নি।ধরেন আরো কিছুক্ষণ ওই বিষয়টা নিয়ে কথা হওয়ার পর।কিছুক্ষণ মানে ধরেন আরো ২-৩ টা কথা হওয়ার পর মানে স্ত্রী ঠিক কি বলেছিল আর স্বামী কি বলেছিল মাঝে তখন মনে নেই।এরপর মানে ২-৩ টা কথা হওয়ার পর মাঝে যদি স্বামী বলে মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে নাকি আমার চায়তে? যাও মা বাবা যেটা সেটা করোগা।স্ত্রীর ঠিক মনে নেই এর মাঝে কি কি কথা হয়েছে। নাকি পর পর বলেছে কিছু মনে নেয়।স্ত্রীর মনে হচ্ছে পর পর বলে নি।কথা গুলো মেসেজে হচ্ছিল।আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া বাক্য বললে তালাক হয় যে। কিছুক্ষণ পর বা আরো ২-৩ টা কথা হওয়ার পর নিয়ত ছাড়া বললে হয় না।ওর স্বামী বার বার বলেছে সেই নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি।যখন ঝগড়া বা কথাকাটাকাটি হয়েছিল তখন ওরা কেউই কেনায়া তালাকের ব্যাপারে জানত না।।মেসেজ ও ডিলেট করে দিয়েছিল মেয়েটা।ইমদাদ হুজুর ও বলেছিল এভাবে মেসেজ খুজে খুজে না দেখতে,সংসারে আগুন না ধরাতে।মেয়েটার স্বামী মনে হয় মেসেজ ডিলেট করে না।৭-৮ মাস আগের মেসেজ।এখন মেয়েটা এটা নিয়ে খুব চিন্তায় পরে গেছে।সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।সে তখন স্বামীকে বলেছিল মেসেজ ডিলেট করে দিতে।ডিলেট করেছিল বলেছিল স্বামী।জানে না মেয়েটা করেছে কিনা আদৌ। কারন মেয়েটা এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।সে ভাবতেছে স্বামী আসলে মেসেজ যা হয়েছে all ডিলেট করবে আবার।কারন সে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না।সে ভয়ে থাকে কোন গুণাহ হবে কিনা।স্বামীও এই বিষয়ে কোন কথা না বলতে বলেছে।মেয়েটা তার স্বামীর সাথে থাকতে পারবে তহ? আর মেসেজ তহ হুজুর না দেখতে বলেছিল খুজে খুজে।তবু শান্তি পাওয়ার জন্য আবার ডিলেট করলে কি কোন সমস্যা হবে? স্বামী বলেছিল ডিলেট করেছিল।তবু স্ত্রী এতদিন যা হয়েছে আবার ডিলেট করে দিলে কি গুণাহ হবে? স্ত্রী জানেও না আগে স্বামী ডিলেট করেছে কিনা।সে একটু শান্তি পাওয়ার জন্য আবার করবে বলতেছে।আগের মেসেজের স্ক্রিন শট ও ডিলেট করে দিবে বলতেছে,স্ক্রিন শট গুলোতেও কি আছে সে জানে না শুধু ভয়ে না দেখে ডিলেট করে দিবে বলতেছে।সে খুব ভয় পেয়ে আছে।কোন ভাবেই স্বামীকে হারাতে চায়,না সে।তারা আগে তালাকের বিষয়ে এতকিছু জানত না।সে এখন খুব মেনে চলে স্বামীর কথা।সে এই বিষয় গুলো নিয়ে ভিষন ভয়ে আছে।স্বামীও বারন করেছে এই বিষয়ে না বলতে।
২।এই প্রশ্নটা আমার না।এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কেউ ঠোট,জিহ্বা কিছু না নাড়িয়ে গুন গুন করে স্ত্রীকে তালাক বলল তাহলে কি তালাক হয়ে যায়? কারন শুনেছি ঠোট, জিহ্বা না নাড়ালে হয় না।এটা এমনিতে জানার জন্য করেছি প্রশ্ন।
৩।স্ত্রী যদি মেসেজে রাগ করে বলে আমি তুমাকে চায় না।স্ত্রীকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিলেও তখন স্ত্রী জানত না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।সে জানত হয়ত আইনের মাধ্যমে দেওয়া যায়।স্ত্রী বিন্দু মাত্র ও জানত না।আর এসব কথা দ্বারা কোন সমস্যা হতে পারে কিনাও স্ত্রীর জানা ছিল না।কিন্তু এটা ঠিক মেয়েটা কোনদিন নিজের দিকে ইন্গিত করে এসব কথা বলে নি কারন সে জানতই না।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে না চাইলে চলে যাও বা যেতে পার।এসব কথা যদি স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাহলে কি কোন সমস্যা,হবে? আর স্ত্রীর কথায়,তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না?সব কথাগুলে ধরেন মেসেজে হয়।স্বামীও ধরেন বারবার বলেছে সেই নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি।আগের কথা এসব।স্ত্রী হয়ত রাগ আর অভিমান করে বলেছে।সে স্বামীকে হারাতে চায় না।মনে হয় আমি এই ধরনের প্রশ্ন এখানে আগেও করেছি।সমস্যা হবে না বলেছিল মনে হয়।শায়খ কিছু মনে করিয়েন না আমি বেশি ভুলে যায় কথা।আর সবসময় সব বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।
৪।কাউকে বউ ডাকলে কয়েকজনের সামনে।আবার মেয়েটা জামাই ডাকলে কি বিয়ে হয়ে যায়'? ইজাব কবুল ছাড়া? এমনিতে জানার জন্য প্রশ্ন টা করলাম।
৫।ধরেন মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর নাম্বার ব্লক করে দিলে বা যদি বলে ব্লক করে দিচ্ছি বা,দিব এতে তহ সমস্যা হবে না তাই না? যদি স্বামী তালাক না দেয় তাহলে তহ তালাক হবে না তাই না? রাগের মাথায় ধরেন ব্লক করে দিছে।এর ১-২ ঘন্টা পর খুলেছে।এরকম হলে তহ সমস্যা হবে না তাই না?