আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমি পূর্বের প্রশ্ন একটু বিস্তারিত বলছি।

বাসায় পুজোর অনুষ্ঠান করা হয়। ওইখানে ভান্তে আসে।যারা পুজোর কাজ করেন।মা আমাকে ওনাদের সামনে যেতে বলেন আমি ওনাদের সামনে গিয়ে হাত জোড় করি এরপর মন্ত্র পড়া লাগে আমি ওইটা পড়িনি এমনিতে হাত জোড় করি এরপর সিজদা করি।ওইখানে বৌদ্ধার ছবি ছিল।বৌদ্ধ ধর্মে ভান্তেদের সিজদা করা পূর্নের কাজ মনে করা হয়।আর পূজোর সময় আমাকে হাত জোড় করে ওনাদের সামনে বসে থাকতে হয়েছে।আমাকে জোড় করা হয়নি।কিভাবে মানা করবো খুজে না পেয়ে ভান্তেকে সিজদা করেছিলাম।ওনাদের কাছে সিজদা করে আশীর্বাদ চাওয়া হয়।

এর মাধ্যমে কি আমি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবো?

কেউ যদি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় আর এর ৪-৫মাস পর স্ত্রীকে ১বা ২তালাক দেয়। এই তালাকগুলো কি পতিত হবে?

যেহেতু বাসার কেউ আমার মুসলিম হওয়ার ব্যাপারটা জানে না এইজন্য আমি কাউকে নিজে মুসলিম বলে পরিচয় দি না।কেউ জিজ্ঞেস করলে বড়ুয়া বলি এর জন্য কোনো সমস্যা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরিয়ত মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদত মনে করে, সম্মান জানিয়ে বা অভিবাদন হিসেবে সিজদা করা বৈধ নয়। 

এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, 

عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ: رَسُولُ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ، قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِي أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا، قَالَ: فَلَا تَفْعَلُوا، لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ

হজরত কায়েস বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘আমি হিরা নামক স্থানে গিয়েছি। সেখানে দেখলাম, মানুষ তাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করছে। আমি (মনে মনে) বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) সিজদা পাওয়ার অধিক হকদার। তারপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললাম, হিরা নামক স্থানে আমি দেখেছি, সেখানকার লোকেরা রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করে। আপনি তো আল্লাহর রাসুল। আপনি তো এ বিষয়ে অধিক হকদার। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি যদি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাও, তাহলে কি তাকে সিজদা করবে? আমি বললাম, না। অতঃপর মহানবী (সা.) বলেছেন, কখনো এমনটি করবে না। আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তাদের স্বামীদের সিজদা করতে। কেননা আল্লাহ তাআলা স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের বিশেষ হক দিয়েছেন।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ২৮১৭, আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪০, দারেমি, হাদিস : ১৪৬৩)
,
একবার এক গ্রাম্য লোক মহানবী (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে বলেছেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে অনুমতি দিন, 
আমি আপনাকে সিজদা করতে চাই। মহানবী (সা.) বলেছেন, (আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য সিজদা করা বৈধ নয়) আমি যদি কাউকে কারো উদ্দেশে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে।’ (সুনানে দারেমি, হাদিস : ১৪৬৪)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কোনো মূর্তিকে সেজদাহ করেননি।
আপনি ভান্তে অর্থাৎ যারা পুজোর কাজ করেন,তাদেরকে সেজদাহ করেছেন।
সুতরাং আপনার কাজটি হারাম হবে,তবে এর দরুন আপনি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাননি।

প্রশ্নে আরো উল্লেখ রয়েছেঃ-
""পূজোর সময় আমাকে হাত জোড় করে ওনাদের সামনে বসে থাকতে হয়েছে।আমাকে জোড় করা হয়নি""

এখানে আপনি যদি মূর্তিকে পূজো করে থাকেন,তাহলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যেতেন,কিন্তু প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তো মূর্তি পূজো করেননি,তাই আপনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাননি।

★কেউ যদি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তো তার ও তার স্ত্রীর মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
তাই এর ৪-৫মাস পর স্ত্রীকে ১বা ২তালাক দিলে এই তালাকগুলো পতিত হবেনা।

★কেউ নাম জিজ্ঞাসা করলে উক্ত নাম বলাতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
...