জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী শরিয়ত মতে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদত মনে করে, সম্মান জানিয়ে বা অভিবাদন হিসেবে সিজদা করা বৈধ নয়।
এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে,
عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ: رَسُولُ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ، قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِي أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا، قَالَ: فَلَا تَفْعَلُوا، لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ
হজরত কায়েস বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘আমি হিরা নামক স্থানে গিয়েছি। সেখানে দেখলাম, মানুষ তাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করছে। আমি (মনে মনে) বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) সিজদা পাওয়ার অধিক হকদার। তারপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললাম, হিরা নামক স্থানে আমি দেখেছি, সেখানকার লোকেরা রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করে। আপনি তো আল্লাহর রাসুল। আপনি তো এ বিষয়ে অধিক হকদার। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি যদি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাও, তাহলে কি তাকে সিজদা করবে? আমি বললাম, না। অতঃপর মহানবী (সা.) বলেছেন, কখনো এমনটি করবে না। আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তাদের স্বামীদের সিজদা করতে। কেননা আল্লাহ তাআলা স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের বিশেষ হক দিয়েছেন।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ২৮১৭, আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪০, দারেমি, হাদিস : ১৪৬৩)
,
একবার এক গ্রাম্য লোক মহানবী (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে বলেছেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে অনুমতি দিন,
আমি আপনাকে সিজদা করতে চাই। মহানবী (সা.) বলেছেন, (আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য সিজদা করা বৈধ নয়) আমি যদি কাউকে কারো উদ্দেশে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে।’ (সুনানে দারেমি, হাদিস : ১৪৬৪)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কোনো মূর্তিকে সেজদাহ করেননি।
আপনি ভান্তে অর্থাৎ যারা পুজোর কাজ করেন,তাদেরকে সেজদাহ করেছেন।
সুতরাং আপনার কাজটি হারাম হবে,তবে এর দরুন আপনি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাননি।
প্রশ্নে আরো উল্লেখ রয়েছেঃ-
""পূজোর সময় আমাকে হাত জোড় করে ওনাদের সামনে বসে থাকতে হয়েছে।আমাকে জোড় করা হয়নি""
এখানে আপনি যদি মূর্তিকে পূজো করে থাকেন,তাহলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যেতেন,কিন্তু প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তো মূর্তি পূজো করেননি,তাই আপনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাননি।
★কেউ যদি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তো তার ও তার স্ত্রীর মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
তাই এর ৪-৫মাস পর স্ত্রীকে ১বা ২তালাক দিলে এই তালাকগুলো পতিত হবেনা।
★কেউ নাম জিজ্ঞাসা করলে উক্ত নাম বলাতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।