আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

স্বামী আর স্ত্রী একান্তে সময় কাটাচ্ছিল। স্ত্রী বলে দরজা লাগায়,দেন।স্বামী দুস্টামি করে বলে বিবাহিত বউ কেও নিয়ে যাবে না।নিয়ে যেতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বা১০ লাখ টাকা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে।স্ত্রী বলে আপনাকে বার বার বলছি এই ধরনের কথা,না বলতে।এই নিয়তে কথা না বলতে।স্বামী বলে এই নিয়তে বলি নাই।আমি তোমাক কোনদিন ছাড়ব নাকি? এরপর সব স্বাভাবিক। স্ত্রীর বাসায় স্ত্রীর মা মেনে নেয় নি।তহ কথাগুলোর ১-২ ঘন্টা পর স্ত্রী মায়ের কথা বলতেছিল।ওর মা বলেছিল"যা করছস করছস এখন পরিষ্কার হয়ে যা "।মানে চলে আসতে বলতেছিল আর কি মেয়েকে।সেটা স্বামীকে বলতেছিল আর কি মা,কি কি বলেছে।স্বামী বলে পরিস্কার হয়ে গেলে কি আরেকটা স্বামী দিতে পারবে নাকি বা পরিস্কার হয়ে গেলে আরেকটা স্বামীয়ে রাখবে নাকি বলে? স্বামীর কথা ছিল প্রশ্ন বোধক।এর পর ও স্বামী বলে সেই নিয়তে কিছু বলে নি।এর ৩০ বা ৪০ মিনিট আগে মেয়ে ওটার খালাত বোনকে নিয়ে কথা হচ্ছিল।মানে মায়ের কথা ওটা বলার ৩০-৪০ মিনিট আগে।মেয়েটা বলতেছিল কি  স্বামী দিছে যে টাকলা একটা।আমার স্বামীকে আবার মানতেছে না যে।স্বামী বলতেছিল তোমার পরিবার ওইরকম খুজত যে আর কি বা,দিত যে আর কি বা ওইরকম দিতে পারবে যে আর কি।"ওইরকম দিতে পারবে যে আর কি" সেটা বলে নাই মনে হয়।ওটা ছাড়া আর বাকি যেগুলো বলেছি এইরকম একটা কথা বলেছিল।কথাটা স্ত্রীর ঠিক মনে নেয়।তবে এইরকম কথা বলেছিে। এইবার নিয়ত জিগ্যেস করে নি।কারন কথাটা মেয়ে ওটার কাছে কেনায়া শব্দের মত লাগে নি তখন তাই।কিন্তু এখন মনে পড়তেছে না ঠিক কি বলেছিল।তবে ওই,ধরনের কিছু বলেছিল।এরপর মায়ের কথাটা বলার সময়,আবার নিয়ত জিগ্যেস করেছিল স্ত্রী।বলেছিল আপনাকে না বলেছি এমন কথা না বলতে, এই নিয়তে না বলতে?।তখন ও স্বামী বলেছিল  ওই নিয়তে বলে নি।এমনকি ঝগড়াও হচ্চিল না।তালাকের কোন কথা হচ্চিল না।শুধু মা কি বলেছে মেয়েটার,পরিবার কি বলেছে এগুলো নিয়ে কথা হচ্ছিল।ওপরের সময় গুলোও কম বেশি হতে পারে।মেয়েটার কাছে যতটুকু মনে হয়েছে তা বলেছে।উপরোক্ত কোন কথা দ্বারা কি তাদের বৈববাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,380 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উপরোক্ত কোনো কথা দ্বারা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।
কোনো তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...