১.হুজুর আমার ফুটবল খেলা দেখার প্রচুর নেশা ছিল। আমি একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম যে প্রবৃত্তির অনুসরণ করা শিরক। তখন আমি ভাবছিলাম যে মানুষ তো প্রায় সব গুনাহই তো প্রবৃ ত্তির অনুসরণ করে করে।এভাবে ভেবে তবু্ও আমি খেলা দেখা চালিয়ে যাই। অনেকদিন পর অন্য একটি ভিডিও তে দেখলাম যে প্রবৃত্তির অনুসরণ করে যে গুনাহ গুলো ওগুলা ছোট শিরক। এর কারনে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় না। এটা জানার পর মনে এক্টু স্বস্তি পেলাম বা শান্তি পেলাম বা ভালো লাগল এরকম মনে হল আমার।সম্ভবত আমার এরকম মনে হল যে তাহলে এটা বড় শিরক নয় বা যেটা মনে করেছিলাম অইরকম গুনাহ নয়। হুজুর তারপরও আমি খেলা দেখা ছাড়তে পারি না। হুজুর আমি আগে ওভাবে নিয়মিত পরতাম না। কিন্তু আমি এখন নিয়মিত নামাজ পরি। ঈমান ভংগের কারন জানার আগে থেকেই আমি নামাজ পড়ি। হালাল হারাম মেনে চলার চেষ্টা করি কিন্তু খেলা দেখা ছাড়তে পারছিলাম না। কিন্তু ঈমান ভংগের কারন জানার পর আর খেলা দেখি না। কিন্তু আমার ওভাবে প্রবৃত্তির অনুসরণ কে পাত্তা না দেয়া বা ছোট শিরক বলে গুরুত্ব না দেয়া বা এই শিরক করলে তো ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় না বা মানুষ তো প্রায় সব পাপই তো করে প্রবৃওির বা শয়তানের ধোকায় করে থাকে তাহলে তো সবাই শিরক করে এ রকম মনে হওয়া এবং খেলা দেখা না ছাড়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে? ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন প্রশ্ন আমার মনে জাগতেছে।
২.হুজুর আমার প্রচুর ফুটবল খেলা দেখার নেশা ছিল ।আমি রাত জেগে ফুটবল খেলা দেখতাম।আমি নামাজছোট বেলায় হয়ত নিয়মিত পরতাম।মাঝখানে ওভাবে নিয়মিত পরতাম না। কিন্তু আমি এখন নিয়মিত নামাজ পড়ি। হালাল হারাম মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি খেলা দেখা ছাড়তে পারছিলাম না। আমি ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখি যে, ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ কিনা। সেখানে আমাদের দেশের অনেক আলেম বলেছেন যে, ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ নয়।সেখানে পর্দার খেলাপ হয়। কিন্তু আমি অন্য দেশের আলেম দুই জন আলেমের ভিডিও দেখেছিলাম যে, একজন বলে ন যে, দেখা যাবে তবে সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহে একবার কিন্তু একেবারে ঘন্টার পর ঘ্নটা দেখা যাবে না। অন্য মাযহাবে ছেলদের আওয়ারাহ শুধু লজ্জাস্থান ঢাকা নাকি। এজন্য তারা বলেছিল সম্ভবত। কিন্তু হানাফি মাযহাবে তো পুরুষের পর্দা তো নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত। কিন্তু আমি অই হুজুরের মত নিয়েছিলাম বা খেলা দেখা হালাল করার জন্য অই হুজুরের মত আমার ভালো লেগেছিল। কিন্তু আমার মনের মধ্যে এক্টু ডাউট বা সন্দেহ ছিল। আমার স্ত্রী মাঝে মধ্যে আমাকে যখন জিজ্ঞেস করে যে তুমি যে খেলা দেখছ এটা কি হারাম নয়। তখন আমি কিছু বলি না কারণ খেলা দেখা বেশিরভাগ হুজুরের মতে হারাম বা নাজায়েজ । আমি যদি হালাল বলি তাহলে যদি খেলা দেখা নাজায়েজ হয়। আমি জানি হারাম কে হালাল বল্লে গুনাহ হয় এজন্য আমি কিছু বলি না। খেলা দেখার জন্য আমার মনে এক্টু মনে হয় অনুশোচনা ছিল। হুজুর এভাবে ভাবার কারনে বা অন্য আলেমের মত নেয়ার কারনে হারামকে কি হালাল করা হয়েছে এতে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে? ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি আর খেলা দেখি না। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?
৩.হুজুর দুই নাম্বার প্রশ্নের মত দাড়ি রাখা নিয়ে বেশিরভাগ আলেম বলছিল দাড়ি রাখা ওয়াজিব। কিছু আলেম বলছিল দাড়ি রাখা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তবুও আমি দাড়ি রাখছিলাম। কিন্তু মাঝখানে আবার কেটে ফেলি। কিন্তু ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি দাড়ি রাখছি। হুজুর আমার সুবিধার জন্য অন্য আলেমের মত যদি নিয়েছিলাম যে দাড়ি রাখা তো সুন্নতে মুয়াক্কদাহ। যদিও আমার মনে সসম্ভবত অনুতপ্ত ভাব ছিল যে বেশিরভাগ আলেমই তো ওয়াজিব বা ফরয বলেছেন । সুবিধার জন্য অন্য আলেমের মত নেয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? বিবাহের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি এখন আল্লাহর রহমতে দাড়ি রাখছি।